সোমবার, ১৩ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং
০৭:২২ পি.এম
থাইল্যান্ডের মন্ত্রিসভা সম্প্রতি একটি বিতর্কিত বিল অনুমোদন করেছে, যা দেশের নির্দিষ্ট বিনোদন কমপ্লেক্সে জুয়া খেলা বৈধ করার প্রস্তাব করে। এই বিলটি ১৩ জানুয়ারি সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয় এবং এর মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের পর্যটন শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের থিম পার্ক, ওয়াটার পার্ক, হোটেল এবং শপিং মলসহ বিভিন্ন পর্যটন কমপ্লেক্সে ক্যাসিনো স্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী প্যাতংতারন শিনাবাত্রা সাংবাদিকদের জানান, এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের রাজস্ব বৃদ্ধি করা, বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা এবং অবৈধ জুয়া সমস্যার সমাধান করা হবে।
এখন এই বিলটি সংসদে আইনপ্রণেতাদের মধ্যে আলোচনা ও বিতর্কের জন্য যাবে এবং খসড়া তৈরির জন্য কাউন্সিল অব স্টেটের অফিসে পাঠানো হবে। বিলটি পাস হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির পর থাইল্যান্ডের পর্যটন শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকার বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেছে, যেমন চীনা ও ভারতীয় ভ্রমণকারীদের জন্য ভিসা সহজীকরণ, যাতে আরও বেশি দর্শনার্থী আকৃষ্ট করা যায়।
দেশটির উপ-অর্থমন্ত্রী জুলাপুন আমোরনভিভাত আশা প্রকাশ করেছেন যে, এই বিনোদন কমপ্লেক্সগুলো পর্যটকদের সংখ্যা ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ বাড়াতে সক্ষম হবে এবং ১৫ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। তবে, প্রস্তাবিত কমপ্লেক্সগুলোর সঠিক অবস্থান ও নির্মাণের সময়সূচি এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
থাইল্যান্ডে, যেখানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা বেশি, রক্ষণশীল শক্তিগুলো দীর্ঘদিন ধরে জুয়া বৈধ করার এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছে। প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন কম্বোডিয়া, লাওস এবং মিয়ানমার ইতোমধ্যে গোপন ক্যাসিনো কমপ্লেক্স গড়ে তুলেছে।
গত বছর জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম অফিস একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করেছে যে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ক্যাসিনোগুলো গোষ্ঠীগত অপরাধের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের ব্যাংকিং কাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস শেষে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই সচিবালয়ের সকল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও একটি বিশেষ গেট খোলা রাখা হয়েছে, তাতে মানুষ বের হতে পারলেও গাড়ি বের হতে পারছে না। এই অবস্থায় সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
১৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে বিকালে, প্রশাসনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত সচিবালয়ে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তার কারণে গেটগুলো বন্ধ থাকলেও, ভেতরে এবং বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সচিবালয়ের সামনের সড়কে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছে। এই অবস্থায় অতিরিক্ত সতর্কতার কারণে প্রশাসন সচিবালয়ের গেট বন্ধ করে দিয়েছে। তবে কর্মকর্তাদের বের হওয়ার জন্য প্রেস ক্লাবের দিকের ৫ নম্বর গেট খোলা রাখা হয়েছে, যা দিয়ে পায়ে হেঁটে বের হতে পারছেন সবাই।
একটি মাত্র গেট খোলা থাকায়, একসঙ্গে শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী বের হতে গেলে ভিড় জমে যায়। অন্যদিকে, ১ ও ২ নম্বর গেট বন্ধ থাকায় কোনো গাড়ি সচিবালয় থেকে বের হতে পারছে না।
এদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প সময়মতো শেষ করতে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের দাবিসহ তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে সচিবালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, "আমরা আমাদের দাবিগুলো সচিবালয়ে দায়িত্বরতদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। প্রশাসনের কাছ থেকে সুস্পষ্ট বার্তা আমরা পেতে চাই।"
এর আগে, সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ও অনশন পালন করেন শিক্ষার্থীরা। অনশন থেকে অসুস্থতার কারণে প্রায় ১৬ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে উপাচার্য আশ্বাস দিলেও ধর্মঘট ভাঙতে রাজি হননি তারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, "শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এ কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। আগামী মিটিংয়ে প্রকল্পের অবস্থা বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমরা আমাদের দাবির অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।"
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকার গেন্ডারিয়া (দক্ষিণ) কার্যালয়ের ভবনে স্থাপিত মাদকরোধক ডিসপ্লে বোর্ডে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ শিরোনামে একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। এই ঘটনাটি ইতোমধ্যে অধিদপ্তরের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার (১২ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে ডিসপ্লেতে ছাত্রলীগের ভয়ংকর রূপে ফেরার বিষয়টি লক্ষ্য করেন স্থানীয়রা। এই লেখা দেখে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে কার্যালয়ের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন।
এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।
খবর পেয়ে গেন্ডারিয়া থানার টহল পুলিশ এসআই মো. আব্দুর কাদির ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। রাতেই মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং ডিসপ্লেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস্ ও গোয়েন্দা), অ্যাডিশনাল ডিআইজি তানভীর মমতাজ বলেন, "আমরা আজ (সোমবার) বিকেলে বিষয়টি জানতে পেরেছি। ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ এই লেখাটি কীভাবে ডিসপ্লেতে এলো সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
এদিকে, দক্ষিণ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মানজুরুল ইসলাম জানান, ডিসপ্লে বোর্ডটি সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়ার কারণে তার কাছে ফুটেজ নেই। তবে নতুন যে পেনড্রাইভ সংযুক্ত করা হয়েছে, সেখানে লেখা থাকলে তা থাকতে পারে। এই ঘটনার পর অতিরিক্ত পরিচালক লিখিতভাবে প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করেছেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম সম্প্রতি এক জনসভায় বক্তব্য প্রদানকালে উল্লেখ করেছেন যে, সংস্কারের নামে দেশে নির্বাচনের সময়সীমা দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, "চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।"
শামীম আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুই বছর আগে ৩১ দফা সংস্কারের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি মনে করেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব।
তিনি নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার এ এম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। এই সমাবেশের উদ্দেশ্য ছিল দেশবিরোধী অপতৎপরতা রোধ করা এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানানো।
শামীম বলেন, "২০২৪ সালের স্বৈরাচার মুক্ত আন্দোলনে বিএনপির ৪২২ জন নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন।" তিনি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ বছরে গুম, খুন, হামলা ও মামলার মাধ্যমে বাকশাল কায়েমের চেষ্টা করেছেন। তবে, বাংলার জনগণ সংগঠিত হয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, হাতিয়ার রাজনীতি ব্যক্তি রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং বিএনপির রাজনীতি হবে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের। তিনি বলেন, "যার মনোনয়ন পাবেন, আমরা সবাই তার জন্য একসঙ্গে কাজ করব।"
শামীম হাতিয়ার উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন যে, বিএনপি সরকার গঠন করলে হাতিয়া একটি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে উঠবে। তিনি উল্লেখ করেন, "এখানে জলপথ এবং স্থলপথের যাতায়াত ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হবে।" এছাড়া, নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং বাণিজ্যিক উন্নয়নের জন্য একটি নৌ-বন্দর প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। উন্নতমানের হাসপাতাল নির্মাণের মাধ্যমে সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
জনসভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক খোকনের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আলা উদ্দিন রনি, সাবেক আহ্বায়ক শওকত হোসেন সাখাওয়াত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিসানুল আলম লেনিন, দ্বীপ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আমিরুল হায়দার চৌধুরী সাজ্জাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা কাদের হালিমী, হাতিয়া পৌরসভা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোকাররম বিল্লাহ শাহাদাত, যুগ্ম সম্পাদক লুৎফুল্লাহ হিল মুজিদ নিশানসহ উপজেলা বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চারজন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) সাতজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সাতজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নয়জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিনজন এবং রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩৭৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র লাভ করেছেন।
বর্তমানে, চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬৯ জন। এই আক্রান্তদের মধ্যে ৬০ দশমিক এক শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ দশমিক নয় শতাংশ নারী।
এছাড়া, চলতি বছর ডেঙ্গু রোগের কারণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, যা পরিস্থিতির গুরুত্বকে নির্দেশ করে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত এই তথ্যগুলো জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ