ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২০ই মার্চ, ২০২৫খ্রিষ্টাব্দ ০৬ই চৈত্র, ১৪৩২বঙ্গাব্দ ২০ই রমজান, ১৪৪৬হিজরী
বৃহস্পতিবার, ২০ই মার্চ, ২০২৫ইং ০৬ই চৈত্র, ১৪৩২বাং

অসহায় যাত্রীদের যন্ত্রণার জন্য দায়ী অটোরিকশা চালকদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছে সরকার : যাত্রী কল্যাণ সমিতি


অসহায় যাত্রীদের যন্ত্রণার জন্য দায়ী অটোরিকশা চালকদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছে সরকার : যাত্রী কল্যাণ সমিতি

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী অভিযোগ করেছেন যে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অসহায় যাত্রীদের সিএনজি চালকদের হাতে তুলে দিয়েছে। তিনি বলেন, মিটারে না চালানোর একদফা দাবিতে আন্দোলনকারী সিএনজি চালকদের কাছে নতিস্বীকার করে বিআরটিএ মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারী অটোরিকশার বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশনা বাতিল করেছে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় উল্লেখ করেন, বিগত সরকারের আমলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৬,৯৯৬টি সিএনজিচালিত অটোরিকশার রিপ্লেসমেন্ট প্রক্রিয়া চলাকালীন, তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তার পরিবারের আশির্বাদে বিআরটিএ’র কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক সমিতি, ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ, এবং অটোরিকশা উত্তরা মোটরের কিছু ডিলার মিলে একটি ভয়াবহ দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে।

তিনি আরও জানান, এই সিন্ডিকেট সিএনজি অটোরিকশার রিপ্লেসমেন্ট খাত থেকে প্রায় ১২০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। ফলে, ৩ লাখ টাকার একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার দাম বর্তমানে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। তৎকালীন সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পরিবার এই দুর্নীতির সাথে সরাসরি জড়িত থাকায়, সেই সময়ে কেউ এই বিষয়ে কিছু বলার সাহস পায়নি।

আরও পড়ুন: নির্বাচন বিষয়ে কমিশনের ওপর কোনও ধরনের চাপ নেই: আলী রীয়াজ

প্রেস বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওবায়দুল কাদের আত্মগোপনে চলে গেলেও সিএনজি অটোরিকশা খাতের এই আওয়ামী দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট এখনও সক্রিয় রয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে সিএনজিচালিত অটোরিকশা রিপ্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত বিআরটিএ’র শীর্ষ কর্মকর্তারা গত এক দশক ধরে একই পদে বহাল রয়েছেন। তারা বিভিন্ন আন্দোলনে উস্কে দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এছাড়া, এই সিন্ডিকেট সিএনজি অটোরিকশাকে সোনার ডিম পাড়া হাসের মতো মনে করে। বর্তমান সরকারের সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শিথিলতা এবং সরকারের দুর্বলতাকে পুঁজি করে তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তারা কখনও এক যুগ আগে যাচাই-বাছাইয়ে বাদপড়া অস্থিত্বহীন মিশুক অটোরিকশার রিপ্লেসমেন্ট প্রক্রিয়া রাতারাতি সম্পন্ন করতে চায়, আবার কখনও ঢাকা মহানগরীতে ৫০০০ এবং চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৪০০০ চালকের নামে সিএনজিচালিত অটোরিকশার দাবি নিয়ে আন্দোলন করে।

প্রেস বার্তায় আরও জানানো হয়েছে যে, এই সিন্ডিকেটের নির্দেশে সিএনজি অটোরিকশা খাতকে আলোচনায় রেখে বিআরটিএকে দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা মিটারে না চালালে ৫০,০০০ টাকা জরিমানার পুরনো আইনটি নতুন করে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইন জারির পর, কিছু সিন্ডিকেটধারী সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা চালকদের উস্কে দিয়ে নগরজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে, বিআরটিএ এই সিন্ডিকেটের কাছে নতিস্বীকার করে অসহায় যাত্রীদের সিএনজি চালকদের হাতে তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির নেতারা। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, বিআরটিএয়ের মতো একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জনগণের টাকায় পরিচালনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে।

আরও পড়ুন: সন্ধ্যার মধ্যে তিন জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আঘাত

উল্লেখ্য, ‘ঢাকা মহানগরীর ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কর বাসের উচ্ছেদ ঠেকাতে গোলাপি কালার, বাস সংকটে ভয়াবহ যাত্রী দুর্ভোগ’ এবং সিএনজি অটোরিকশা চালকদের তাণ্ডবের প্রতিবাদে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১.০০ টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

পরবর্তী খবর

মহিষের দুধের দইকে জিআই পণ্য স্বীকৃতি দিতে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অনলাইন ডেস্ক

রবিবার, ১৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ইং

০৯:০৫ পি.এম


মহিষের দুধের দইকে জিআই পণ্য স্বীকৃতি দিতে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মহিষের দুধ থেকে উৎপাদিত দইয়ের জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি উল্লেখ করেন, মহিষ আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। মহিষের মাংসে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম, যা স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মহিষের দুধ থেকে তৈরি দইয়ের বৈচিত্র্যও লক্ষ্যণীয়। এই দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত 'মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন' শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা কর্মশালায় এসব কথা বলেন। তিনি মহিষ পালনকারী খামারিদের প্রতি সকল প্রকার সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান এবং মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, "মহিষ আমাদের সম্পদ। এর মাংসে কোলেস্টেরল কম, তাই মহিষের মাংসকে জনপ্রিয় করতে হবে।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, মহিষের দুধ থেকে তৈরি দইয়ের বৈচিত্র্য দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় এবং এজন্য এ দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য কাজ করতে হবে।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ক্লাইমেট চেঞ্জের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে বলেন, "ক্লাইমেট চেঞ্জ এখন বাস্তব। তাই মহিষকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী হিসেবে দেখতে হবে, যা এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম।" তিনি মহিষ পালনকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কমিউনিটি পর্যায়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। অভিজ্ঞ মহিষ খামারিরা মহিষের হিটে আসা শনাক্ত করতে সক্ষম এবং তাদের জ্ঞানকে বিজ্ঞানের ভাষায় প্রকাশ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, "যদি আমরা খাদ্যে আমিষের জোগানের ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনতে চাই, তাহলে আমাদের পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন।" তিনি আরও বলেন, "যারা মহিষ পালন করেন, তাদের প্রতি যদি কোনো সহায়তা না করি, তাহলে উন্নয়নের ধারণা পরিবর্তন হওয়া উচিত।"

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বিএলআরআই-এর গবেষণার ফলাফল জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন যে, এই ধরনের গবেষণা ছোট পরিসরে নয় বরং বৃহত্তর পরিসরে হওয়া উচিত। তিনি বিএলআরআই-এর নানাবিধ সংকট নিরসনে মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাসও প্রদান করেন।

কর্মশালায় বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বিএআরসি'র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম, এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান।

এছাড়া, বিএলআরআই-এর অতিরিক্ত পরিচালক ড. এ বি এম মুস্তানুর রহমান স্বাগত বক্তৃতা প্রদান করেন এবং মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, অগ্রগতি ও অর্জন তুলে ধরেন প্রকল্পটির পরিচালক ও বিএলআরআই-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গৌতম কুমার দেব। কর্মশালায় বিএলআরআই-এর সাবেক মহাপরিচালক ড. তালুকদার নুরুন্নাহার এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুকসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংগঠন থেকে আগত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

পরবর্তী খবর

নিজস্ব স্বার্থে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে সম্মতি দেবে ভারত: প্রধান উপদেষ্টা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অনলাইন ডেস্ক

রবিবার, ১৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ইং

০৯:১০ পি.এম


নিজস্ব স্বার্থে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে সম্মতি দেবে ভারত: প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি একটি বৈঠকে মন্তব্য করেছেন যে, দেশের ভৌগলিক অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি থামানো সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, "আমরা খুবই সুবিধাজনক অবস্থানে আছি। যদি আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে কাজ করতে পারি, তাহলে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে আমাদের উন্নতির সুযোগ রয়েছে।"

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, নেপাল জলবিদ্যুৎ সরবরাহে রাজি রয়েছে এবং বাংলাদেশও এটি গ্রহণে আগ্রহী। তবে, ভারতের ৪০ কিলোমিটার পথ এই প্রক্রিয়ায় একটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ভারত তাদের স্বার্থের কারণে এই বাধা দূর করবে। তিনি বলেন, "বাংলাদেশকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না। আমাদের পণ্য নেপালে যাবে এবং সেভেন সিস্টার্সে যাবে। প্রতিবেশীদের পণ্য আমাদের দেশে আসবে, এবং এভাবে বাংলাদেশ একটি লাভজনক অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।"

তিনি আরও বলেন, "হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই। আমি হতাশ হই না। আমাদের এখানের মানুষদের এক সময় বোঝা মনে করা হতো, কিন্তু আমি তাদের সম্পদ মনে করি। আগামী দিনে আমাদের এখান থেকে অনেক কর্মী নেয়া হবে। আমরা তেমন করেই নিজেদের গড়ে তুলতে চাই।"

প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্য দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কের গুরুত্বকে তুলে ধরেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

পরবর্তী খবর

শরীয়তপুরের মিনি চিড়িয়াখানা থেকে উদ্ধার হলো ৩১টি বন্যপ্রাণী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তালাশ বিডি ডেস্ক

রবিবার, ১৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ইং

০৯:১৩ পি.এম


শরীয়তপুরের মিনি চিড়িয়াখানা থেকে উদ্ধার হলো ৩১টি বন্যপ্রাণী

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম এন্ড মিনি চিড়িয়াখানা থেকে অবৈধভাবে রাখা ৩১টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে। এই অভিযানে বন বিভাগ ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, দিনব্যাপী এই অভিযানটি কলুকাঠি এলাকায় পরিচালিত হয়। উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণীগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলো ভাল্লুক, মিঠা পানির কুমির, বার্মিজ অজগর, সজারু, মেছো বিড়াল, কালিম পাখি, ঘুঘু পাখি এবং বালিহাঁস। বন বিভাগ ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মকর্তাগণ জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই প্রাণীগুলো খাঁচায় বন্দি অবস্থায় প্রদর্শিত হচ্ছিল।

বন্যপ্রাণী আইন ২০১২ অনুযায়ী, অনুমতি ব্যতীত বন্যপ্রাণী সংগ্রহ, দখলে রাখা, প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এই আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি জানার পর বন বিভাগ ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণীর মধ্যে কিছু প্রাণী গাজীপুরের সাফারি পার্কে স্থানান্তরিত করা হয়, এবং কিছু পাখি অবমুক্ত করা হয়।

মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম এন্ড মিনি চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম জানান, "বন্যপ্রাণীগুলো এভাবে রাখা যাবে না, বিষয়টি আমাদের জানা ছিলো না। গত আড়াই মাস আগে আমরা বন বিভাগকে একটি চিঠি দিয়েছিলাম আমাদের কাছে অনুমোদিত প্রাণী সম্পর্কে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ তারা সেই প্রাণীগুলো নিয়ে গেছে এবং কিছু পাখি অবমুক্ত করেছে। তবে যদি আইনি বিষয়টি জানতাম, তাহলে আমরা আগেই ছেড়ে দিতাম। আজ তারা এসে আমাদের অবগত করার পর আমরা এসব প্রাণী তাদের হাতে তুলে দিয়েছি।"

বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথিন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, "আমাদের কাছে তথ্য ছিলো যে এখানে অবৈধভাবে দশ প্রজাতির ৩১টি বন্যপ্রাণী খাঁচায় বন্দি অবস্থায় প্রদর্শন করা হচ্ছিল। সংরক্ষণ নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, আমরা এসব বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছি। কিছু প্রাণী গাজীপুর সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হবে এবং কিছু অবমুক্ত করা হয়েছে।"

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

পরবর্তী খবর

লাখো ফিলিস্তিনি ভ্রাম্যমাণ বাড়ি’র আশায় বাধা দিচ্ছে ইসরাইল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রবিবার, ১৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ইং

০৯:১৬ পি.এম


লাখো ফিলিস্তিনি  ভ্রাম্যমাণ বাড়ি’র আশায় বাধা দিচ্ছে ইসরাইল

গাজা উপত্যকার রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে শত শত ট্রাক, যেগুলো বুলডোজার এবং ভ্রাম্যমাণ বাড়ি বহন করছে। এই ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস ও ইসরাইলের ষষ্ঠ ধাপের বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হওয়ার পর এসব ভ্রাম্যমাণ বাড়ি গাজায় ঢোকার কথা ছিল। তবে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এই ত্রাণ সামগ্রীগুলো গাজায় প্রবেশ করতে অনুমতি দিচ্ছে না, যার ফলে লাখ লাখ উদ্বাস্তু মানুষের অপেক্ষার প্রহর আরও দীর্ঘ হচ্ছে।

প্রায় ১৫ মাসের নজিরবিহীন সামরিক আগ্রাসনের ফলে এক সময়ের সাজানো-গোছানো গাজা উপত্যকা এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে সেখানে প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু জীবনযাপন করছে। যদিও গত মাসে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, গাজায় খাদ্য, পানি এবং অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র সংকট বিরাজমান। তীব্র শীত এবং খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে গাজাবাসী খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে।

বিভিন্ন দেশ থেকে অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ বাড়ি এবং সেগুলো স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, হামাস ও ইসরাইলের ষষ্ঠ ধাপের বন্দি বিনিময়ের পর এসব ভ্রাম্যমাণ বাড়ি গাজায় প্রবেশের কথা ছিল। কিন্তু ইসরাইলের বাধার কারণে এই ত্রাণ ও সহায়তা গাজার জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। ইসরাইলি গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজার ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস অভিযোগ করেছে যে, ভ্রাম্যমাণ বাড়ি এবং ভারি যন্ত্রপাতি উপত্যকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। মিডিয়া অফিসের প্রধান ইসমাইল আল-থাওবাততাহ রোববার বলেন, "চুক্তি ও মানবিক নীতি অধীনে ইসরাইলের চুক্তি শর্ত পালনে ব্যর্থ হয়েছে, যা মধ্যস্থতাকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।"

থাওয়াবতাহ আরও উল্লেখ করেন, "ইসরাইলের হামলায় ধ্বংস হওয়া অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো মোবাইল হোম বা ভারি যন্ত্রপাতি এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় পৌঁছায়নি।" তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে চুক্তির শর্তাবলী মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য ইসরাইলের ওপর প্রকৃত চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান।

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

আর্কাইভ

Please select a date!

নামাজের সময়সূচী

তারিখঃ ২০ই রমজান, ১৪৪৬হিঃ
ফজর ০৪:৪৭
জোহর ১২:০৭
আসর ০৪:২৮
মাগরিব ০৬:১০
ইশা ০৭:২০
সূর্যোদয় : ০৬:০৩ সূর্যাস্ত : ০৬:১০
অনলাইন জরিপ
ফলাফল
থার্টি-ফার্স্ট নাইটে তরুণদের জন্য প্রকাশ্যে পানি-টানি খাওয়ার বিরুদ্ধে আহ্বান। আপনার মন্তব্য দিন
হ্যা
100%
না
0%
মন্তব্য নেই
0%