ঢাকা সোমবার, ১৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫খ্রিষ্টাব্দ ০৪ই ফাল্গুন, ১৪৩২বঙ্গাব্দ ১৮ই শাবান, ১৪৪৬হিজরী
সোমবার, ১৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ইং ০৪ই ফাল্গুন, ১৪৩২বাং

ডেঙ্গুতে আরও এক মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৭


ডেঙ্গুতে আরও এক মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৭

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৭ জন। চলতি বছরের প্রথম ১২ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এখন পাঁচ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মোট সংখ্যা ৬৩০ জনে পৌঁছেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নতুন ৫৭ রোগীর মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৮ জন, ঢাকা বিভাগে ছয়জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২১ জন, খুলনা বিভাগে তিনজন, রাজশাহী বিভাগে চারজন এবং বরিশাল বিভাগে পাঁচজন ভর্তি হয়েছেন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ৩১১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৭০ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ১৪১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আরও পড়ুন: জুলাই আগস্টে তরুণদের অসাধারণ ভূমিকা দৃষ্টান্তমূলক: প্রধান উপদেষ্টা

গত বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন, এর মধ্যে মারা যান ৫৭৫ জন। এক বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির এ সংখ্যা ছিল তৃতীয় সর্বোচ্চ এবং মৃত্যুর হিসাবে এটি ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করে আসছে। ২০২৩ সালে ডেঙ্গু রোগের কারণে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭০৫ জন।

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

পরবর্তী খবর

প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে নেসকো কার্যালয়ে বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তালাশ বিডি ডেস্ক

রবিবার, ১২ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং

০৭:১০ পি.এম


প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে নেসকো কার্যালয়ে বিক্ষোভ

এফএনএস: সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহক ফোরাম জনস্বার্থকে উপেক্ষা করে হয়রানিমূলক প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বন্ধের জন্য বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তারা দাবি করেছেন যে, প্রিপেইড মিটার ক্রয়ের নামে ১৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং গণবিরোধী প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর মহানগরীর শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিক্ষুব্ধ বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা তাদের দাবি জানান। সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারীরা নগরীর খামার মোড়ের নেসকোর প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। নিরাপত্তার স্বার্থে কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক বন্ধ রাখে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ গ্রাহক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, মির্জা বাবর বাবলু, সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, লিখন চৌধুরী, মনির হোসেন মিন্টু প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নিম্নমানের প্রিপেইড মিটার কেনার নামে ২৬ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। এই নিম্নমানের প্রিপেইড মিটার জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।

বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, প্রিপেইড মিটার স্থাপন হলে গ্রাহকদের অতিরিক্ত চার্জ পরিশোধসহ নানা হয়রানির শিকার হতে হবে। বিতর্কিত এই প্রিপেইড মিটার সংযোগের মাধ্যমে গ্রাহকরা মিটার ভাড়া ও সারচার্জ বাবদ ৩০% আর্থিক ক্ষতি ও ভোগান্তির শিকার হবেন। প্রতি এক হাজার টাকা রিচার্জে গ্রাহকদের এজেন্ট কমিশন বাবদ ২০ টাকা পরিশোধ করতে হবে এবং প্রতিমাসে মিটার ভাড়া বাবদ ৪০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

বক্তারা প্রশ্ন তুলেন, গ্রাহকরা নিজেদের টাকায় ইতিপূর্বে অ্যানালগ ও ডিজিটাল মিটার ক্রয় করলেও বিদ্যুৎ বিভাগ তার জন্য কোনো টাকা পরিশোধ করেনি। তারা আরও জানান, প্রতি এক হাজার টাকা রিচার্জে গ্রাহকরা কত ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন এবং বাণিজ্যিক ও আবাসিক রেট কীভাবে নির্ধারিত হবে, এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।

বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা অভিযোগ করেন, প্রিপেইড মিটার স্থাপনের নামে জনগণের পকেট থেকে টাকা লোপাটের নতুন ফাঁদ পাতানো হয়েছে। তারা জানান, প্রিপেইড মিটারে ব্যালেন্স শেষ হলে ২০০ টাকা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের জন্য ৫০ টাকা হারে সুদ পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া, প্রিপেইড মিটার লক হয়ে গেলে লক খোলার জন্য ৬০০ টাকা জমা দিতে হবে।

বিদ্যুতের ওভারলোডের কারণে অনেক সময় বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং এই প্রিপেইড মিটারের রিচার্জ করার সঙ্গে সঙ্গে টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট না থাকলে রিচার্জ করা যাবে না, যা কৃষকদের জন্য একটি বড় সমস্যা। কৃষিকাজে ব্যবহৃত সেচ পাম্পগুলো মওসুমের শুরুতে কৃষকরা বাকিতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। বর্তমানে প্রিপেইড মিটার পদ্ধতিতে সেই সুযোগ নেই।

এছাড়া, প্রিপেইড মিটার স্থাপন করলে বিদ্যুৎ বিভাগের হাজার হাজার কর্মচারী পেশা হারিয়ে পথে বসতে হবে। বক্তারা অভিযোগ করেন, সার্ভার ডাউন হলে প্রিপেইড মিটারের গ্রাহকদের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

বিক্ষুব্ধ সাধারণ গ্রাহকেরা বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে দফায় দফায় বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছিল। রেন্টাল-কুইক রেন্টালের নামে বিদ্যুৎ খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে, যার খেসারত জনগণকে এখনো দিতে হচ্ছে। সারা দেশের মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবার আওতায় নিয়ে আসার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। অথচ সেটির পরিবর্তে একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম হোসেন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রকৌশলী জানিয়েছেন, গণশুনানি অচিরেই করা হবে। তারা জানান, প্রিপেইড মিটারের ভালো দিক রয়েছে, তবে অনেকে বিষয়টি ভালোভাবে জানেন না, যার কারণে গ্রাহক পর্যায়ে নেতিবাচক আলোচনা হচ্ছে।

এর আগে, গত ৯ জানুয়ারি মহানগর নাগরিক কমিটি হয়রানিমূলক প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করে। ২৬ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ গ্রাহক স্বার্থরক্ষা কমিটি এবং সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহক পৃথকভাবে মানববন্ধন করে। গ্রাহকদের স্বার্থরক্ষায় গত ১৭ ডিসেম্বর নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সে সময়ে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে গণশুনানির আশ্বাস দিলেও তা না করেই তড়িঘড়ি করে প্রিপেইড মিটার সংযোগ স্থাপন শুরু করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

পরবর্তী খবর
রিভারাইন পিপল ক্লাবের মানববন্ধন

পানি সংকটে বিপর্যস্ত উত্তরাঞ্চলের কৃষি, অর্থনীতি ও বাস্তুসংস্থান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তালাশ বিডি ডেস্ক

রবিবার, ১২ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং

০৭:১২ পি.এম


পানি সংকটে বিপর্যস্ত উত্তরাঞ্চলের কৃষি, অর্থনীতি ও বাস্তুসংস্থান

এফএনএস (মমিনুল ইসলাম রিপন; রংপুর) : ১২ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:৪৫ পিএম।

ভারতের একতরফা তিস্তার পানি প্রত্যাহারের ফলে উত্তরাঞ্চলের কৃষি, অর্থনীতি ও বাস্তুসংস্থান মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য এবং পানি প্রত্যাহার বন্ধের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আদালতের হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায়, তিস্তা নদীর উপর নির্ভরশীল জনগণ, তাদের জীবনযাত্রা এবং জীববৈচিত্র্য চরম হুমকির সম্মুখীন হবে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন সমাবেশে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন নদী সংগঠকরা। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রধান ফটকের সামনে রিভারাইন পিপল ক্লাব এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বেরোবি রিভারাইন পিপল ক্লাবের আহ্বায়ক ছাওমুন পাটোয়ারী সুপ্ত। সদস্য সচিব শিহাব প্রধানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও রিভারাইন পিপলের পরিচালক ড. তুহিন ওয়াদুদ, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান উমর ফারুক, নদী সংগঠক ও শিক্ষক খাইরুল ইসলাম পলাশ, নদীকর্মী ও শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন, রহমত আলী প্রমুখ।

বক্তারা উল্লেখ করেন, বর্তমানে তিস্তা নদী পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। দেশের অন্যান্য নদ-নদীগুলোর অবস্থাও সন্তোষজনক নয়। অতীতের নতজানুনীতি থেকে বেরিয়ে এসে সরকারকে তিস্তা পানিচুক্তি ছাড়াও অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানিচুক্তি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায়, নদীর উপর নির্ভরশীল মানুষের দুঃখ-দুর্দশা অব্যাহত থাকবে।

এ সময় বক্তারা তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার দাবি জানান এবং ভারত কর্তৃক একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে সৃষ্ট বাংলাদেশের ভূপ্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণ করে তার ক্ষতিপূরণ চাওয়ার বিষয়েও আলোচনা করেন।

নদী গবেষক ও সংগঠক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, নদীকেন্দ্রিক কৃষিজমি রক্ষা, ভাঙন রোধ এবং চরগুলো রক্ষায় সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। নয়তো, উজানের পলিতে নদীর বুক ভরাট হলে প্রতিবছর অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ বাড়তেই থাকবে। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি তিস্তা নদীর সুরক্ষার বিষয়টিও এখন জরুরি।

তিনি আরও বলেন, ১৭৮৭ সালে ভয়াবহ বন্যার সময় তিস্তা নদীর প্রবাহের সৃষ্টি হয়েছিল। ২৩৭ বছর আগে তৈরি হওয়া এই নদীর আজ পর্যন্ত কোনো সঠিক পরিচর্যা করা হয়নি। ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান পর্ব এবং বাংলাদেশ যুগের কোনো সময়েই এ নদীর সঠিক পরিচর্যা হয়নি। বরং, দফায় দফায় এ নদীর সর্বনাশ করার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে, যে নদী উত্তরাঞ্চলের জীবনরেখা হওয়ার কথা ছিল, সেটি আজ অভিশাপে পরিণত হয়েছে। নদীকে যদি আমরা অভিশাপের হাত থেকে আশীর্বাদে পরিণত করতে চাই, তাহলে তিস্তা নদীর সুরক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজন। নদীর ন্যায্য হিস্যা বুঝে নিতে আন্তর্জাতিক আদালতে এর প্রতিকার চেয়ে সরকারের আবেদন করা উচিত।

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

পরবর্তী খবর

বশেমুরবিপ্রবিতে দুদকের অভিযান চালানো হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তালাশ বিডি ডেস্ক

রবিবার, ১২ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং

০৭:১৫ পি.এম


বশেমুরবিপ্রবিতে দুদকের অভিযান চালানো হয়েছে

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) একটি অভিযান পরিচালনা করেছে। এই অভিযানটি ১২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে সকাল ১১টায় শুরু হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদকের গোপালগঞ্জ জেলার পরিচালক মো. মশিউর রহমান।

অভিযানের সময়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। বিশেষ করে, সার্টিফিকেটের জন্য নিম্নমানের কাগজ সরবরাহ, কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পানি শোধনাগার অব্যবহৃত থাকা, এবং কোটি টাকার আসবাবপত্র ক্রয়ে অনিয়মের মতো গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে। এছাড়াও, আসবাবপত্র বাইরে ফেলে রাখার বিষয়টিও উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদকের জেলা উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, অভিযানে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। কর্মকর্তাদের আত্মীয়স্বজনের নামে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে টেন্ডার বাণিজ্য করার অভিযোগে নজরুল ইসলাম হিরা এবং কোটি কোটি টাকার আসবাবপত্র ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে তুহিন মাহমুদসহ বেশ কিছু কর্মকর্তার নাম প্রকাশিত হয়েছে।

এই অভিযানের ফলস্বরূপ, সংশ্লিষ্ট ফাইল ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। দুদক কিছু বিষয়ে মামলা করার প্রস্তাবনাও করবে। পরবর্তীতে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মামলা দায়েরসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

পরবর্তী খবর

লেখক-পাঠকের মিলনমেলা: বইমেলার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তালাশ বিডি ডেস্ক

রবিবার, ১২ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং

০৭:১৯ পি.এম


লেখক-পাঠকের মিলনমেলা: বইমেলার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে

অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এর প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। বইপ্রেমীদের জন্য এই মেলা একটি বিশেষ আয়োজন, যা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। বিগত এক দশকের মতো এবারও মেলার আয়োজন হলেও, সার্বিক বিন্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

বর্তমানে স্টল তৈরির প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। যদিও কিছু প্রকাশকের মধ্যে প্যাভিলিয়ন না-পাওয়া এবং স্টল পরিধি ছোট হওয়া নিয়ে অসন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে, তবুও মেলা কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা, এবারের বইমেলায় সকলের অংশগ্রহণে নতুন বাংলাদেশের চেতনা প্রতিফলিত হবে।

পাতাঝরা শীতের শেষ লগ্নে, স্মৃতির ফাল্গুনের হাতছানি দিচ্ছে। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের অপেক্ষা, তারপর শুরু হবে কালো অক্ষরে স্বপ্ন বোনা লেখক-পাঠকের সংসার।

রোববার (১২ জানুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন করে দেখা যায়, প্রাথমিকভাবে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি এবং মাপজোখের কাজ চলছে। সারি সারি বাঁশের গাঁথনিতে ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে বইমেলার কাঠামো। এর পরেই হাতুড়ি-পেরেকের ছন্দে শুরু হবে স্টল নির্মাণের কাজ।

জানা গেছে, পুরানো ছক ভেঙে এবারের বইমেলা নতুন আঙ্গিকে অনুষ্ঠিত হবে। সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে লেখক, পাঠক এবং প্রকাশকদের মধ্যে একটি মেলবন্ধন গড়ে তোলা হবে।

যদিও স্টল পরিধি এবং প্যাভিলিয়ন নিয়ে প্রকাশকদের মধ্যে অসন্তুষ্টি রয়েছে, তবে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব সরকারের আমীন জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের চেতনা মাথায় রেখে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

আর্কাইভ

Please select a date!

নামাজের সময়সূচী

তারিখঃ ১৮ই শাবান, ১৪৪৬হিঃ
ফজর ০৫:১৪
জোহর ১২:১৩
আসর ০৪:১৮
মাগরিব ০৫:৫৫
ইশা ০৭:০৭
সূর্যোদয় : ০৬:৩০ সূর্যাস্ত : ০৫:৫৫
অনলাইন জরিপ
ফলাফল
থার্টি-ফার্স্ট নাইটে তরুণদের জন্য প্রকাশ্যে পানি-টানি খাওয়ার বিরুদ্ধে আহ্বান। আপনার মন্তব্য দিন
হ্যা
100%
না
0%
মন্তব্য নেই
0%