বৃহস্পতিবার, ২০ই মার্চ, ২০২৫ ইং
১০:২৯ এম
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় একজন চালক নিহত হয়েছেন এবং তিনজন আহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের হাতিয়া নামক স্থানে।
দুর্ঘটনার সময়, উত্তরাঞ্চল থেকে আসা একটি আলুবাহী ট্রাকের সঙ্গে ঢাকা থেকে আসা একটি চালবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষের ফলে ঘটনাস্থলেই চালবাহী ট্রাকের চালক নিহত হন। আহতদের মধ্যে চালক ও সহকারীসহ তিনজন রয়েছেন, যাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যমুনা সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক এসআই নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। নিহতের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
এই দুর্ঘটনা আবারও সড়ক নিরাপত্তার গুরুত্বকে সামনে নিয়ে এসেছে এবং সড়ক দুর্ঘটনার কারণে প্রাণহানির ঘটনা দেশের বিভিন্ন স্থানে উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল সম্প্রতি ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্য একটি চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণার প্রেক্ষাপটে, বিশেষভাবে দুই প্রবাসী খেলোয়াড় হামজা চৌধুরী এবং ফাহমিদুল ইসলাম নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে ছিল। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা হামজাকে দলের অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যা প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু ফাহমিদুল ইসলামকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ দল আজ সকালে ভারতের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেছে, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে ভারতকে পরাজিত করা। হামজা চৌধুরী গতকাল দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন, যা দলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি। বিমানবন্দরে হামজার উপস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। শেফিল্ড ইউনাইটেডের এই তারকা খেলোয়াড়কে নিয়ে বেশিরভাগ প্রশ্ন ছিল সাংবাদিকদের।
বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড় সোহেল রানা হামজার সঙ্গে পরিচয়ের পর উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, "হামজা খুবই তাড়াতাড়ি আমাদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে। মনে হচ্ছে সে অনেকদিন ধরেই আমাদের সঙ্গে খেলছে।" এটি দলের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
এদিকে, নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার তপু বর্মণ হামজার অন্তর্ভুক্তিকে একটি ইতিবাচক ঘটনা হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, "গতকাল সে (হামজা চৌধুরী) অফিসিয়ালি আমাদের সঙ্গে ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করেছে। এটি আমাদের জন্য একটি ভালো ব্যাপার। সে ফিট আছে এবং আমরাও ফিট আছি। আমার কাছে মনে হয় এটি একটি পজিটিভ ব্যাপার।"
তপু বর্মণ আরও জানান, "আমরা জেতার জন্যই ভারতে যাচ্ছি। আমাদের প্রস্তুতি, মানসিক সক্ষমতা এবং চিন্তাধারা এবারে পুরোপুরি আলাদা। এটি আমার কাছে বড় ব্যাপার। আমাদের চিন্তাধারা উইনিং মেন্টালিটি।"
এভাবে, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল তাদের প্রস্তুতি নিয়ে ভারত সফরের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, যেখানে হামজা চৌধুরীর উপস্থিতি তাদের প্রত্যাশা এবং আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তুলছে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির সম্প্রতি হোলি উৎসব উদযাপন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তিনি চলতি বছর বলিউডের একটি সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যার নাম ‘সরদার জি-৩’। এই সিনেমার শুটিং ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
হোলি উপলক্ষে, হানিয়া ভারতীয় অনুরাগীদের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কিছু ছবি প্রকাশ করেন। ছবিগুলোতে দেখা যায়, তিনি ইংল্যান্ডের রাস্তায় বান্ধবীদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন এবং কপালে কমলা রঙের টিপ পরেছেন। হানিয়া তার পোস্টে উল্লেখ করেন, “একজন বুদ্ধিমান মানুষ বলেছেন, খারাপ কথা শুনো না, খারাপ জিনিস দেখো না, খারাপ কথা বলো না। সকলকে জানাই হোলির শুভেচ্ছা।”
তবে, এই পোস্টটি পাকিস্তানের কিছু নেটিজেনের কাছে ভালোভাবে গৃহীত হয়নি। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, মুসলিম হওয়ার পরও কিভাবে তিনি কপালে টিপ পরলেন। কিছু মন্তব্যকারী দাবি করেছেন যে, হানিয়া সম্ভবত বলিউডে স্থান তৈরি করার জন্য ভারতীয়দের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।
একজন পাকিস্তানি মন্তব্য করেছেন, “আপনি বরং হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করুন। তাহলে বলিউডে যথেষ্ট ভালোবাসা পাবেন।” অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, “লজ্জা হওয়া উচিত। রমজানের সময় অন্তত নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। গোটা বছর তো এমনিতেই আপনারা হিন্দু হয়ে ওঠার চেষ্টা করেন!”
অন্যদিকে, হানিয়ার সমর্থনে কিছু মন্তব্যও এসেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, “এমন অশিক্ষিতের মতো কথাবার্তা দেখলে সত্যিই বিরক্ত লাগে। কিছু কিছু বিষয় ধর্মের ঊর্ধ্বে। মানবতা বলেও কিছু বিষয় থাকে।”
এখনো পর্যন্ত হানিয়ার সিনেমাটি মুক্তির নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। তবে সিনেমার নায়ক চরিত্রে অভিনয় করা দিলজিৎ জানিয়েছেন, চলতি বছরের জুন মাসে ‘সরদার জি-৩’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মিলন হোসেন নামের এক যুবককে অপহরণ করে। অপহরণকারীদের দাবি অনুযায়ী, ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ প্রদান করার পরও মিলনের পরিবার তার মরদেহ পায়।
জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ কলেজছাত্র মিলনের মরদেহ উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন হলেন সদর উপজেলার শিবগঞ্জ মহেশপুর বিট বাজার এলাকার মো. মতিয়র রহমানের ছেলে মো. সেজান আলী। অপরজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। উল্লেখ্য, মিলন হোসেন দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র এবং ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাও এর চাপাপাড়া এলাকার পানজাব আলীর পুত্র।
জেলা পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। তারা স্বীকার করেছে যে, অপহরণের শিকার কলেজছাত্র মিলনকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার সেজান আলীর বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের নিচ থেকে মিলনের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কলেজপড়ুয়া মিলনকে অপহরণ করে একটি চক্র। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিকের পেছনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন মিলন। ঘটনার দিন রাত ১টার দিকে ভুক্তভোগীর পরিবারকে ফোন করে অপহরণের বিষয়টি জানায় চক্রটি। প্রথমে মুক্তিপণের জন্য ৩ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। পরে তারা আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করে এবং অবশেষে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ৯ মার্চ রাতে মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা অপহরণকারীদের কাছে পৌঁছে দেন মিলনের বাবা পানজাব আলী।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় অবৈধভাবে স্যালাইন ও খাবার ট্যাং তৈরি করার অভিযোগে একটি যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এই অভিযানে সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। অভিযানের ফলস্বরূপ বিপুল পরিমাণ নকল স্যালাইন, ট্যাং এবং বিভিন্ন ভেজাল খাদ্য পানীয় তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয় এবং পরে সেগুলো ধ্বংস করা হয়। এ ঘটনায় একটি অবৈধ কারখানার মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উপজেলার আনোয়ারখিলা ও গোদারিয়া গ্রামে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক। তিনি জানান, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে আনোয়ারখিলা এলাকার একটি অবৈধ কারখানায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে নকল ও অবৈধভাবে স্যালাইন উৎপাদনের অপরাধে কারখানার মালিক খসরু তালুকদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এরপর গোদারিয়া এলাকায় আরও দুটি অবৈধ কারখানায় অভিযান চালানো হয়, যেখানে বিপুল পরিমাণ নকল স্যালাইন, ট্যাং এবং বিভিন্ন ভেজাল খাদ্য ও পানীয় তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত উপকরণগুলো জব্দ করে ধ্বংস করা হয় এবং কারখানাগুলো সিলগালা করা হয়। এই অভিযানটি অবৈধ খাদ্য উৎপাদন ও বিক্রির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের একটি উদাহরণ।
এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে এবং ভেজাল খাদ্যপণ্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ