সোমবার, ১৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ইং
০৬:৪৬ এম
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী বাজারে একটি সিএনজির ধাক্কায় আব্দুস সালাম (৮৩) নামক এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনাটি ঘটে রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, বিকেল ৫ টার দিকে।
নিহত আব্দুস সালাম তিলাবদুল মুন্সী পাড়া মহল্লার বাসিন্দা ছিলেন এবং পেশায় মুড়ি বিক্রেতা ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, আব্দুস সালাম বিকেলে বাড়ি থেকে বটতলী বাজারে আসার উদ্দেশ্যে বের হন। এ সময় তিনি প্রধান সড়ক পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তখন জয়পুরহাটগামী দ্রুত গতির একটি সিএনজি তাকে ধাক্কা দেয়।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা দ্রুত আব্দুস সালামকে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। দুর্ভাগ্যবশত, সেখানেই জরুরি বিভাগে তার মৃত্যু ঘটে।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম এ বিষয়ে জানান, সিএনজির ধাক্কায় এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ নেয়ার জন্য একটি আবেদন পেয়েছেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে একটি ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে, যা সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে ঘটে এবং এর ফলে আতঙ্কিত হয়ে বহু মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ধৌলা কুয়ানের দুর্গাবাই দেশমুখ কলেজ অব স্পেশাল এডুকেশনের কাছাকাছি। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৫ কিলোমিটার এবং এর মাত্রা ছিল ৪। তবে, অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, অনুভূত কম্পনের তীব্রতা ৪ মাত্রার চেয়ে বেশি ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেছেন, ‘এটি কি সত্যিই ৪ মাত্রার ভূমিকম্প ছিল?’ অপর একজন ব্যবহারকারী সেখানে প্রতিউত্তরে লিখেছেন, ‘এটি নিশ্চিতভাবেই ৪ মাত্রার চেয়ে বেশি ছিল।’
এদিকে, ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, দিল্লির পাশাপাশি আগ্রা, হরিয়ানা এবং অন্যান্য অঞ্চলেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, এর আগে গত ১১ জানুয়ারি ও ২৩ জানুয়ারি দিল্লিতে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছিল।
ভারতের জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কারণে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক মাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘দিল্লি এবং আশেপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। সবাইকে শান্ত থেকে সুরক্ষাবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। আফটারশকের সম্ভাবনা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে প্রশাসন।’
এই ভূমিকম্পের ঘটনা জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং তারা নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। বিশেষজ্ঞরা ভূমিকম্পের পরবর্তী সম্ভাব্য আফটারশক সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
এখন সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো, তারা যেন সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন এবং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে থাকেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
জামালপুরের নান্দিনায় ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর সেতু নির্মাণের কাজ বর্তমানে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে থমকে গেছে। ২০২২ সালে এই নির্মাণকাজ শুরু হলেও, দুই বছরের মধ্যে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫০ শতাংশ। এর ফলে প্রায় চার লাখ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন এবং তাদের স্বপ্ন পূরণের পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে জামালপুর সদর উপজেলার তুলশীরচর ও লক্ষীরচর ইউনিয়নসহ শেরপুরের চরাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে নান্দিনায় ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর একটি সেতুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এই দাবি পূরণের লক্ষ্যে ২০২২ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ৬০৬ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু করে।
নির্মাণকাজ ২০২৫ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতা এবং ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর থেকে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে স্থানীয়দের চলাচল এবং কৃষিপণ্য পরিবহনে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
লক্ষীরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা ফালু মিয়া বলেন, ‘সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় আমরা অনেক কষ্টে আছি। মালামাল বহন করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
স্থানীয় মজিবর রহমান আরও বলেন, ‘তিন বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখনো হয়নি। আমরা অবহেলিত। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সময়মতো ক্লাস করতে পারছে না। চরাঞ্চলের উৎপাদিত ফসল নদী পারাপার করে আনা কষ্টসাধ্য। ৫০ বছর ধরে সেতুর দাবি জানিয়ে আসছি, দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ চাই।’
এ বিষয়ে জামালপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল ত্রিপুরা জানান, ‘নান্দিনা বাজারের জমি অধিগ্রহণের কিছু সমস্যার কারণে সেতুর নির্মাণকাজ ধীরগতিতে চলছে। মাঠপর্যায়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের বরাদ্দ পাওয়া গেলে নির্ধারিত সময়েই সেতুর কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।’
উল্লেখ্য, প্রায় ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সেতুটির কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পাঠানো ২ হাজার পাউন্ড ওজনের এমকে-৮৪ বোমার একটি চালান সম্প্রতি ইসরাইলে পৌঁছেছে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বাইডেন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারের সময় তুলে নেওয়ার পর এই চালানটি আসে।
২ হাজার পাউন্ড ওজনের এমকে-৮৪ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর ক্ষমতা রাখে। এই বোমার নির্মাণে কংক্রিট ও ধাতু ব্যবহার করা হয়েছে, যা গাজা অঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্যবহৃত হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা সৃষ্টি করে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা জানায়, গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসন সরবরাহের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর এই অস্ত্রশস্ত্র পাঠানো হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর বাইডেন প্রশাসন ইসরাইলে হাজার হাজার ২ হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা পাঠানোর উদ্যোগ নেয়, তবে পরে একটি চালান আটকে রাখা হয়। গত মাসে ট্রাম্প সেই চালানের ছাড়পত্র দেন।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কাটজ শনিবার রাতে জানান, ‘আজ রাতে যে গোলাবারুদের চালান ইসরাইলের এসেছে, সেটি ট্রাম্প প্রশাসনের পাঠানো। এগুলো বিমানবাহিনী ও আইডিএফ এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ এবং ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী মিত্রতার আরেকটি প্রমাণ।’
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও এই বোমার চালানটি ইসরাইলে পাঠানো হয়েছে। হামাস এবং ইসরাইল উভয়ই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে এবং হামাস জিম্মি মুক্তি দিতে অস্বীকার করায় যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যেতে বসেছিল।
গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে, এবং ইসরাইল যুদ্ধ শুরু করার পর যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে কয়েক কোটি ডলারের সহায়তা ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে, ইসরাইলের কাছে ভারী বোমার চালান পৌঁছানো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
মুন্সীগঞ্জের কামারখোলায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশার প্রভাবে পাঁচটি যানবাহনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনার ফলে ব্যস্ততম এক্সপ্রেসওয়েতে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
দুর্ঘটনাটি সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রথমে একটি পিকআপের পেছনে একটি বড় কাভার্ড ভ্যান সজোরে ধাক্কা দেয়। এরপর ইমাত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ওই কাভার্ড ভ্যানকে ধাক্কা দেয়, যার ফলে যানবাহনের গতি কমে যায়। কিছুটা দূরে পূর্বাভা পরিবহনের আরেকটি বাসকে একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে মুহূর্তের মধ্যে পাঁচটি যান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এর ফলে ঢাকামুখী লেনে যান চলাচল বিঘ্নিত হয় এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান, ‘ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্স দফায় দফায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।’
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি পালিয়ে গেছে। তবে বাকি চারটি যানবাহন উদ্ধারের কাজ চলছে।’
এ ধরনের দুর্ঘটনা সাধারণত ঘন কুয়াশার কারণে ঘটে, যা সড়ক নিরাপত্তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সড়ক ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ