বুধবার, ১৫ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং
১১:১৫ পি.এম
এফএনএস এক্সক্লুসিভ: দেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও, শিক্ষক ও চিকিৎসকের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। বর্তমানে মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস কোর্সের আওতায় আটটি মৌলিক বিষয় পড়ানো হয়। এই বিষয়গুলো হলো অ্যানাটমি, বায়োকেমিস্ট্রি, কমিউনিটি মেডিসিন, ফরেনসিক মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথলজি, ফার্মাকোলজি এবং ফিজিওলজি।
সরকারি মেডিকেল কলেজে বেসিক বিষয়গুলোতে পাঠদানের জন্য ২ হাজার ৫ পদের মধ্যে ৫০৯টি শিক্ষকপদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে অধ্যাপকের জন্য অনুমোদিত ২১৩টির মধ্যে ১৪৮টি, সহযোগী অধ্যাপকের জন্য নির্ধারিত ২৫৫টির পদের মধ্যে ৮৮টি, সহকারী অধ্যাপকের ৩৪৪টির মধ্যে ১০৮টি, এবং কিউরেটরের ৫২ পদের মধ্যে আটটি শূন্য রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, বিভিন্ন সময়ে দেশে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বাড়ানোর ফলে শিক্ষার্থী আসনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা দেশের হাসপাতালের শয্যাসংখ্যাও বেড়েছে। কিন্তু শিক্ষক ও চিকিৎসকের সংখ্যা বৃদ্ধি না পাওয়ার কারণে সরকারি পর্যায়ে ৬ হাজার ১৮৩ জন চিকিৎসক পদোন্নতি বঞ্চিত রয়েছেন। দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজে অধ্যাপকের পদ রয়েছে ৮৩৩টি, এর মধ্যে ৫২৩টি অর্থাৎ ৬২ দশমিক ৭৮ শতাংশ পদই ফাঁকা। একইভাবে, সহযোগী অধ্যাপকের ১ হাজার ৫২৬ পদের মধ্যে ৫৬০টি, সহকারী অধ্যাপকের ২ হাজার ২৮৪ পদের মধ্যে ১ হাজার ৭৮টি, কিউরেটরের ৬২ পদের মধ্যে ১৩টি এবং প্রভাষকের ১ হাজার ৪২০ পদের মধ্যে ৩০৮টি পদ ফাঁকা রয়েছে।
মোট ৬ হাজার ১২৫ পদের মধ্যে ২ হাজার ৪৮২টি অর্থাৎ শূন্য রয়েছে ৪০ দশমিক ৫২ শতাংশ শিক্ষকের পদ। সূত্র জানায়, ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন গত বছর বাংলাদেশের এমবিবিএস পরীক্ষার সনদের অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল করেছে। এর কারণ হলো বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। বর্তমানে ৬ হাজারের বেশি চিকিৎসক পদোন্নতির অপেক্ষায় আছেন। পদোন্নতির সব শর্ত পূরণ করেও তাদের দুই থেকে ১৫ বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে দেশের চিকিৎসা শিক্ষা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, এবং রোগীদের সেবাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মূলত, নন-ক্যাডার থেকে যাঁরা ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন, তাঁদের এবং ক্যাডারদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। এছাড়াও, ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী চিকিৎসকরা অধ্যাপক হতে পারবেন কিনা, সে বিষয়ে জটিলতা বিদ্যমান। যাঁরা বৈষম্যের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণসংক্রান্ত জটিলতাও সমাধান হয়নি। তাছাড়া, মূল বিষয়ের বাইরে যাঁদের সাব-স্পেশালিটি রয়েছে, তাঁদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতাও নিরসন হয়নি।
তবে, এ ধরনের জটিলতা নিরসনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই কমিটি মতামত প্রকাশ করবে এবং তারপর পদোন্নতির কার্যক্রম শুরু হবে। এদিকে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পদোন্নতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে, এ ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকারে ব্যাপক হ্রাস ঘটতে যাচ্ছে। বর্তমানে এডিপির প্রকল্প বাস্তবায়নে তেমন গতি নেই এবং বিদেশি সহায়তার প্রবাহও অত্যন্ত দুর্বল। এই পরিস্থিতিতে, বিদেশি সহায়তা বাবদ বরাদ্দ থেকে প্রায় ২৫ শতাংশ কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য এডিপিতে বিদেশি সহায়তা বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল প্রায় এক লাখ কোটি টাকা। তবে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর চাহিদা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের বাস্তবতা বিবেচনায় তা ২৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৭৫ হাজার কোটি টাকায় নির্ধারণ করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
বর্তমানে দেশের চলমান এডিপির আকার ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় বা নিজস্ব উৎস থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রকল্প সাহায্য হিসেবে এই অর্থ পাওয়ার কথা ছিল। বাকি অর্থ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলো নিজেদের প্রকল্পে যে অর্থায়ন করছে, সেখান থেকে জোগান দেওয়া হবে। কিন্তু বর্তমানে সব ক্ষেত্রেই এডিপির আকার কমানো হচ্ছে, ফলে এডিপির মোট আকার আড়াই লাখ কোটি টাকার নিচে নেমে আসবে। এ বিষয়ে চলতি জানুয়ারি মাসেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, বিদেশি সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলোর ওপর কাটছাঁট করার প্রক্রিয়া গত নভেম্বর মাস থেকেই শুরু হয়েছে। ওই মাসের প্রথম সপ্তাহে ইআরডি ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব ও প্রধানদের কাছে এ ব্যাপারে চিঠি পাঠায়। চিঠিতে বলা হয়, প্রশাসনিক অনুমোদন ব্যতীত কোনো নতুন প্রকল্পে বরাদ্দের প্রস্তাব করা যাবে না। যদি কোনো প্রকল্পের মেয়াদ বা খরচ বৃদ্ধির প্রয়োজন হয়, তাহলে সরকারি আদেশের কপি পাঠাতে হবে। এরপর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন নেয়া প্রকল্পের পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক দফায় বৈঠক করে ইআরডি কর্মকর্তারা। পরবর্তী সময়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা কমানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যদিও বৈঠকগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ৯১ হাজার কোটি টাকা দেয়ার চাহিদা ছিল।
এছাড়া, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে প্রতি মাসেই যত বিদেশি সহায়তা এসেছে, তার চেয়ে বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে। বর্তমান এডিপিতে মোট ১ হাজার ৩৫২টি প্রকল্প রয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর অপ্রয়োজনীয় এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেয়া প্রকল্পগুলো বাদ বা বরাদ্দ কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে বিদেশি সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পের ওপরই কাটছাঁট বেশি হচ্ছে। সংশোধিত এডিপিতে বাদ পড়তে পারে একশ’র মতো প্রকল্প। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস, জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত, এডিপির মাত্র ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। বাস্তবায়ন হারের পাশাপাশি, টাকার অঙ্কেও এই সময়ে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম অর্থ খরচ হয়েছে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে নাটোরের সিংড়ার একটি কলেজের শিক্ষককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযোগ করা হয়েছে যে, শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী বিভাগের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুসরাত জেরিন আবুল কালাম আজাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি নাটোরের সিংড়ার টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের কম্পিউটার প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
দুদকের আদালত পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম জানান, আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর দুদকের রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে, গত বছরের ১৭ই সেপ্টেম্বর দুদকের রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন আদালতে একটি চার্জশিট দাখিল করেন। উক্ত চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আবুল কালাম আজাদ তার জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ইচ্ছাকৃতভাবে ৩২ লাখ ৮৩ হাজার টাকার সম্পদ গোপন করেছেন।
এছাড়াও, তার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ৯১ লাখ ৭৩ হাজার ১৪৫ টাকার সম্পদ ভোগ দখলে রয়েছে। এই কারণে তাকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এর পর থেকে আবুল কালাম আজাদ পলাতক ছিলেন।
বুধবার, তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
সুনামগঞ্জের ছাতকে আমার দেশ আমার অধিকার সামাজিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ও তরুন ব্যবসায়ী এমদাদুর রহমান সামির জন্মদিন পালন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও তরুন ব্যবসায়ী এমদাদুর রহমান ছামি’র জন্মদিন ও আমার দেশ আমার অধিকার নামে সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে স্থানীয় গোবিন্দগঞ্জে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়। এতে অংশগ্রহন করেন বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষজন। এ বিষয়ে এমদাদুর রহমান ছামি জানান আমার দেশ আমার অধিকার দেশের সর্বস্তরের মানুষের জন্য কাজ করবে। শিক্ষা সহায়তা, আইনি সহায়তা, চিকিৎসা সহায়তা, ক্রীড়া সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি উপজেলার চোরাচালান ও অসামাজিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কাজ করবে। এসব কাজে দেশের সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান এমদাদুর রহমান ছামি।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে দুই নারীকে সমিলে আটকে রেখে ধর্ষণের একটি ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মো. মহসিন যুবদলের সদস্য নন বলে দাবি করেছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের নেতারা।
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি বিকেলে কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগর পাড়ে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা যুবদলের সদস্যসচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু এই তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, ৯ জানুয়ারি নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নে সমিলের ভেতরে দুই নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. মহসিনের নাম বিভিন্ন গণমাধ্যমে যুবদল নেতার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, যা তিনি ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন।
ফরিদ উদ্দিন শিবলু আরও জানান, নাঙ্গলকোট যুবদলের কোনো কমিটি নেই এবং প্রাথমিক সদস্য তালিকাতেও মহসিনের নাম নেই। তিনি দাবি করেন, মহসিন আসলে বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলামের অনুসারী ও সক্রিয় কর্মী। যুবদলের সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মহসিনকে এই ঘটনায় জড়ানো হয়েছে।
ফরিদ উদ্দিন শিবলু বলেন, "যুবদলের কেউ অপরাধে জড়িত হলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।"
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বিপ্লব, মো. শাহ আলম, সাইফুল ইসলাম রনি, অ্যাডভোকেট মাসুদ হাসান টিপু, তুষার পাল, কামাল হোসেন ও সোহেল রানা।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ