বুধবার, ১২ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ইং
০৬:২০ পি.এম
সম্প্রতি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস 'আয়নাঘর' নামে পরিচিত যৌথবাহিনীর বন্দিশালা পরিদর্শন করেছেন। এই পরিদর্শনে তিনি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকার কচুক্ষেতের ডিজিএফআই এবং উত্তরা ও আগারগাঁওয়ে র্যাবের আয়নাঘর পরিদর্শন করেন।
ভারতীয় সাংবাদিক অর্ক দেব, যিনি 'ইনস্ক্রিপ্টিডটমি' এর সম্পাদক, এই পরিদর্শনের সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন। আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে, অর্ক দেব একটি ইলেকট্রিক চেয়ারের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে উল্লেখ করেন যে, "এই চেয়ারটা দেখে রাখা জরুরি। ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনার আয়নাঘরের একটি কক্ষে রাখা এই চেয়ার (আগারগাঁও অঞ্চলে)। 'হাই ভ্যালু' বন্দিদের ইলেকট্রিক শক দিতে ব্যবহার হতো এই চেয়ার।"
তিনি আরও জানান যে, ডিজিএফআইয়ের কাউন্টার টেররিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি) এই আয়নাঘরের দায়িত্বে ছিল। এই ঘরগুলিতে সারাক্ষণ একজস্ট ফ্যান চলত, এবং ফ্যান বন্ধ হলে কান্না ও গোঙানির শব্দ শোনা যেত। অর্ক দেবের দাবি, "আজ থেকে গোটা বিশ্ব আয়নাঘরের সব ছবি দেখবে।"
অর্ক দেবের আরেকটি পোস্টে তিনি মাইকেল চাকমার বন্দিত্বের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "প্রথম যে দুটো রুম দেখা যাচ্ছে, ঠিক এই রুমগুলোর মধ্যে ১১৩ নম্বর সেল যেটি একেবারে বাথরুমের পাশে এবং সেলের ভেতর ঢোকার সময় বাঁ সাইডের কোনায় একটি সিসি ক্যামেরা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে। এই সেলে আমি প্রায় দুই বছর বন্দি ছিলাম।"
অন্যদিকে, আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ শাসনামলকে 'আইয়ামে জাহিলিয়াতের' সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি গুম কমিশনকে আয়নাঘর আবিষ্কারের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, "আইয়ামে জাহেলিয়াত বলে একটা কথা আছে, গত সরকার (আওয়ামী লীগ সরকার) আইয়ামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠা করে গেছে সর্বক্ষেত্রে, এটা (আয়নাঘর) তার একটা নমুনা।"
https://www.facebook.com/arka.deb3
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানান যে, শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকা আয়নাঘরও খুঁজে বের করা হবে। তিনি বলেন, "দেশে ৭০০ থেকে ৮০০ আয়নাঘর আছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নির্দেশেই এসব হয়েছে।"
গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এক সপ্তাহের মাথায় তারা গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করেন এবং প্রকাশ্যে আসে এর ছবি।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে হারের জন্য নিজের কাঁধে দায় নিলেন। ম্যাচের ফলাফল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, "আমরা নিজেরাই সুযোগ হারিয়েছি। এভাবে এগিয়ে গিয়ে হেরে যাওয়া সত্যিই হতাশাজনক।" গার্দিওলা আরও উল্লেখ করেন যে, এটি প্রথমবার নয়, এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং প্রিমিয়ার লিগে তাদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি ম্যাচের ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তবে, তিনি মনে করেন যে, তাদের আরও গোল করার সুযোগ ছিল। আনচেলত্তি বলেন, "ফলাফল নিয়ে আমাদের খুশি থাকা উচিত। ম্যাচে আমরা অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম।" তিনি সিটির খেলার প্রশংসা করে বলেন, "সিটি দুর্দান্ত খেলেছে। আমাদের ঠিকঠাক আক্রমণ করতে দেয়নি।"
ম্যাচের প্রথমার্ধে এবং দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আর্লিং হলান্ডের গোলে ম্যানচেস্টার সিটি লিড পায়। তবে, শেষ মুহূর্তে ব্রাহিম দিয়াজের পর যোগ করা সময়ে বেলিংহ্যামের গোলে রিয়াল মাদ্রিদ ৩-২ ব্যবধানে জয়লাভ করে।
গার্দিওলা সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, "দুর্ভাগ্যবশত, এটি প্রথমবার নয়। আশা করছি পরের লেগে ঘুরে দাঁড়াব।" সিটির জন্য এই হার কষ্টকর হলেও, তারা ইতোমধ্যে অতীতে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।
রিয়াল মাদ্রিদের কোচ আনচেলত্তি দ্বিতীয় লেগের জন্য প্রস্তুতি নিতে গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, "এ বিষয় মাথায় রেখে দ্বিতীয় লেগের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।"
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি মুখোমুখি হবে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) গাজার পরিস্থিতি মোকাবেলা করার লক্ষ্যে একটি জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত পরিকল্পনা, যা গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে, সেটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। মিশর, যা ওআইসির একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য দেশ, এই বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, গাজার ফিলিস্তিনিদের তাড়ানোর পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের একটি জরুরি বৈঠকের জন্য একটি প্রাথমিক ঐকমত্যে পৌঁছানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি সৌদি আরব, পাকিস্তান, ইরান, জর্ডান এবং গাম্বিয়াসহ অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে ফিলিস্তিন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই আলোচনার ফলস্বরূপ আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি কায়রোতে আরব শীর্ষ সম্মেলনের পর ওআইসি মন্ত্রী পর্যায়ের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে বৈঠকের জন্য নির্দিষ্ট কোনো তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে যে, এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য হল ফিলিস্তিনের স্বার্থে ফিলিস্তিনি, আরব ও ইসলামি দেশগুলোর দীর্ঘদিনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করা। বিশেষ করে, ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং তাদের নিজ মাতৃভূমিতে বসবাসের অধিকার সমুন্নত রাখার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে গাজা উপত্যকা ইসরাইলের ১৫ মাসের সামরিক আগ্রাসনের ফলে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গত মাসে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনিরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই ফিরে আসছেন। তারা নিজেদের মাতৃভূমিকে নতুন করে গড়ার স্বপ্ন দেখছেন।
তবে, ফিলিস্তিনিদের এই স্বপ্নপূরণে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল গাজাকে সম্পূর্ণভাবে দখল করার পরিকল্পনা করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার কর্মকর্তারা দাবি করছেন যে, গাজা দখল করে পুনর্নির্মাণ করবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিস্তিনিদের জর্ডান ও মিশরের মতো দেশগুলোতে পুনর্বাসন করা হবে।
জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ হোয়াইট হাউস সফরের সময় ট্রাম্পকে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নিতে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাদশাহ তা মানতে রাজি হননি এবং বলেছেন যে, তার দেশ ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সায় দেবে না। বরং, তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ফিলিস্তিনিদের না সরিয়েই গাজাকে নতুন করে সাজানো সম্ভব।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি চমকপ্রদ জয় অর্জন করেছে, যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে অস্ট্রেলিয়ার জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইনজুরির কারণে ইতোমধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাদ পড়েছেন অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ, অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং পেসার জশ হ্যাজেলউড। এছাড়া, অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিসও হঠাৎ করে অবসরের ঘোষণা দিয়ে দল থেকে সরে গেছেন। সর্বশেষ, বিশ্বকাপজয়ী পেসার মিচেল স্টার্কও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলটিই এখন মূল টুর্নামেন্টের দল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বুধবার কলম্বোয় অনুষ্ঠিত ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা অস্ট্রেলিয়াকে ৪৯ রানে পরাজিত করেছে। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৪৬ ওভারে ২১৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়া যখন জবাব দিতে নেমে ৩৩.৫ ওভারে মাত্র ১৬৫ রানে গুটিয়ে যায়, তখন তাদের জন্য পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।
এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া বেশিরভাগ নিয়মিত খেলোয়াড়কে ছাড়াই মাঠে নেমেছিল। স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশেন, অ্যালেক্স ক্যারি এবং অ্যাডাম জাম্পা ছাড়া বাকিরা নিয়মিত একাদশে ছিলেন না। অনভিজ্ঞ এই দলটি বল হাতে ভালো শুরু করলেও ব্যাটিংয়ে তারা হতাশাজনক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে। শ্রীলঙ্কা ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক চরিথ আসালঙ্কা অসাধারণ একটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলের পরিস্থিতি পরিবর্তন করেন।
দুনিথ ভাল্লালাগে ছাড়া অন্য কেউ আসালঙ্কাকে সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি, তবে তিনি একাই লড়াই চালিয়ে যান। পরে বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রান করা অ্যালেক্স ক্যারিকে আউট করে ম্যাচসেরা হন আসালঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার প্রথম চার ব্যাটার দ্রুত সাজঘরে ফিরে গেলেও, আসালঙ্কা এবং ভাল্লালাগের মধ্যে ৭০ রানের জুটি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভাল্লালাগে ৩০ রান করার পর বিদায় নেন, কিন্তু আসালঙ্কা একাই লড়াই চালিয়ে যান। নবম উইকেটে ইশান মালিঙ্গার সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি গড়ে তিনি ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
শেষ পর্যন্ত ১২৬ বলে ১৪ চার ও ৫ ছয়ে ১২৭ রান করে আসালঙ্কা আউট হন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অ্যাবোট ৩টি, জনসন, হার্ডি এবং এলিস ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
অস্ট্রেলিয়া যখন ব্যাটিং করতে নামে, তখন তারা প্রথমে ম্যাথ্য শর্টকে হারায়। তৃতীয় ওভারে ফ্রেসার-ম্যাকগার্কও বিদায় নেন। অস্ট্রেলিয়ার স্কোর তখন ২ উইকেটে ৭ রান। দলের ১৮ রানে কুপার কনোলি এবং ৩১ রানে অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে হারিয়ে তারা বিপদে পড়ে।
মার্নাস লাবুশেন এবং অ্যালেক্স ক্যারি জুটি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে লাবুশেন ২৭ বলে ১৫ রান করে বিদায় নেন। ক্যারি ৩৮ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৪১ রান করে আসালঙ্কার শিকারে পরিণত হন।
অ্যারন হার্ডি এবং অ্যাবোট কিছু রান যোগ করার চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। হার্ডি ৩৭ বলে ৩২ রান করেন এবং শেষ দিকে জাম্পা ২৯ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে থিকসানা ৪টি, আসিথা ফার্নান্দো ও ভাল্লালাগে ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আজ বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে দেশব্যাপী সমাবেশের আয়োজন করেছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলটি প্রথমে ছয়টি জেলায় সমাবেশের আয়োজন করেছে, যেখানে কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য প্রদান করছেন।
লালমনিরহাট রেলওয়ে মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দেশে কোনো পরিবর্তন চোখে পড়ছে না, সবকিছু আগের মত চলছে। বাজার ব্যবস্থায় সিন্ডিকেট এখনও অব্যাহত। সরকার এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে নাই। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনেও নাই, দেশ পরিচালনাও ব্যর্থ। তারা শুধু সংস্কার নিয়ে ব্যস্ত।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন যে বিএনপি নির্বাচনের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করবে না।
অন্যদিকে, খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ। সরকারের অনেকেই বিগত শেখ হাসিনা সরকারের সহযোগী এবং তারা সরকার পরিচালনায় অদক্ষ।’ তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে অর্ধেক সংস্কার হয়ে গেছে। মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার নির্বাচিত সরকার ছাড়া সম্ভব নয়। সংবিধান সংস্কারের অধিকার নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া আর কারও নেই। নির্বাচিত সরকার অবশ্যই এসব সংস্কার করবে।’
মেজর হাফিজ সংস্কার নামে কালক্ষেপণ না করে দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান। দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পৌরশহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে হাজির হন নেতাকর্মীরা। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী।
এছাড়া বিকেলে সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পটুয়াখালীতেও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক উত্তরণে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলাসহ বিভিন্ন দাবিতে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ