বুধবার, ১৫ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং
০৮:০১ পি.এম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ মন্তব্য করেছেন যে, গত এক যুগ ধরে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তারই মহড়া দেওয়া হয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সামনে। তিনি বলেন, ‘বাঙালি বাঙালি স্লোগান দিয়ে, বাঙালি ছাড়া অন্য জাতিসত্ত্বার লোকদের অস্বীকার করার চেষ্টা চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে থামিয়ে দেয়া হয়েছে।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত একটি বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য রাখছিলেন, যেখানে তিনি জাতিগত বিভাজন জিইয়ে রাখার অপচেষ্টা ও এনসিটিবির সামনে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘যারা হামলায় অংশগ্রহণ করেছে, তাদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
তিনি অভিযোগ করেন যে, জাতিগত সম্প্রীতিকে উপেক্ষা করে দেশকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। হাসনাত বলেন, ‘তারা চায় বিভাজন, আমরা থাকবো ঐক্যবদ্ধ। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে হবে।’
এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, ‘বাহাত্তরের মুজিববাদী সংবিধান সরাতে না পারলে অন্যান্য জাতিসত্ত্বার মানুষের রক্ত ঝরতেই থাকবে। মুজিববাদী সংবিধানে পাহাড়ের ভাই-বোনদের স্থান দেয়া হয়নি। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বিদেশি কোনো চক্রান্তে পা না দেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘যারা লাশের রাজনীতি করতে চায়, তারা এই রাজনীতি থেকে সরে আসুন। পাহাড় ও সমতলের সবাইকে রাজপথে থেকে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। যারা এসবের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রেখেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এর আগে, দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে এনসিটিবির সামনে আদিবাসী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি নামক একটি প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে আসা লোকজন এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
আহতদের মধ্যে আদিবাসী যুব ফোরামের সহ-সভাপতি টনি ম্যাথিউ চিরান, সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ফুটন্ত চাকমা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রূপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঘা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। আহতদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, নবম-দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পেছনের প্রচ্ছদে আদিবাসী লেখা গ্রাফিতি বাতিল ও বহাল নিয়ে দুপক্ষই এনসিটিবি ঘেরাও করে রাখে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মানব ব্যারিকেড ভেঙে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই কার্যক্রমটি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনার অংশ হিসেবে বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, দুপুর ২টায় পলাশবাড়ী পৌরশহরের বিভিন্ন মোড়ে এবং পথচারীদের মধ্যে পরিচালিত হয়। উপজেলা জিয়া মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত এই লিফলেট বিতরণ কর্মসূচীতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব মো. শহিদুর রহমান মন্ডল সুমন, পলাশবাড়ী উপজেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক মিজানুর রহমান সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক কাজল মাহমুদ, এবং সদস্য সচিব জসিম উদ্দীন খানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রাজা, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার লিটন, সদর উপজেলা জিয়া মঞ্চের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ওয়াহেদুজ্জামান মন্ডল সজল, গাইবান্ধা পৌর জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব ফিরোজ আহম্মেদ রিপন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খবিরুজ্জামান, বাদিয়াখলী ইউনিয়ন জিয়া মঞ্চের আহবায়ক তোয়াবুল করিম তমাল, রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন জিয়া মঞ্চের আহবায়ক এনামুল হক, পলাশবাড়ীর কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন জিয়া মঞ্চের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জসিম উদ্দিন, হোসেনপুর ইউনিয়ন জিয়া মঞ্চের আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান এবং পবনাপুর ইউনিয়ন জিয়া মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক ফয়জুর আলীসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
এই লিফলেট বিতরণ কর্মসূচীর মাধ্যমে বিএনপি দলের ৩১ দফা বাস্তবায়নের গুরুত্ব এবং এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
সড়কে শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৮৫টি মামলা দায়ের করেছে। সম্প্রতি, রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায়, পুলিশ কর্তৃপক্ষ এই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশের কার্যক্রমে শিথিলতা দেখা দেয়, যার ফলে উচ্ছৃঙ্খল গাড়িচালকরা ট্রাফিক আইন অমান্য করতে শুরু করে। রাজধানীর প্রধান সড়কে অবৈধ রিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল বৃদ্ধি পায়, ফলে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং রাজধানীবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এক বার্তায় জানান যে, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ট্রাফিক বিভাগের পরিচালিত অভিযানে এসব মামলা ও জরিমানা করা হয়। অভিযানের অংশ হিসেবে ৮১টি গাড়ি ডাম্পিং এবং ৩টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মেগাসিটি ঢাকার প্রায় ২ কোটি মানুষের জন্য ট্রাফিক পুলিশের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। রাজধানীর ৩৩৯টি পয়েন্টে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ সদস্যরা দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন। তারা ট্রাফিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিরলসভাবে কাজ করছেন।
পুলিশ কর্তৃপক্ষ সড়কে শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অবৈধ এবং আইন অমান্যকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে রাজধানীতে ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় গ্রামীণ মাটির রাস্তা টেকসই করণের উদ্দেশ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) রাস্তা নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়েছে। এই নির্বাচন প্রক্রিয়া লটারির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে, যা গতকাল বুধবার (১৫ জানুয়ারী) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এই লটারির উদ্বোধন করেন পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা খাতুন।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে ৭৯ লাখ ২৬ হাজার টাকা ব্যয়ে গ্রামীণ রাস্তা টেকসই করণের লক্ষ্যে এইচবিবি রাস্তা (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় মোস্তফাপুর ইউনিয়নের কাশিপুর মন্ডলপাড়া পাকা কাশিপুর মসজিদ থেকে কমলাপুর জোলাপুকুর পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের জন্য লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রকল্পের জন্য বৈধ দরদাতাদের মধ্যে থেকে একজন ঠিকাদার নির্বাচনের লক্ষ্যে দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলার ২৫০ জন ঠিকাদার অংশগ্রহণ করেন।
লটারির ফলস্বরূপ, দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ‘মেসার্স ছিদ্দিক কনস্ট্রাকশন’ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হন। লটারির সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বতীপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ আহসান হাবীব, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ছানাউল্লাহ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নাজিম উদ্দিন সরকার, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রব প্রামানিক, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান, এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারি মো. রাসেল মন্টু।
এই লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচন প্রক্রিয়া উন্মুক্ত, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে, যা স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সুপারিশ করেছে যে, জাতীয় অথবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যদি ৪০ শতাংশ ভোটার ভোট প্রদান না করেন, তবে পুনরায় ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হবে। কমিশন সরকারের কাছে আরও একগুচ্ছ সুপারিশও উপস্থাপন করেছে।
বুধবার, প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য ৯ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ড. বদিউল আলম মজুমদার নেতৃত্বাধীন কমিশন। এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত সুপারিশগুলোর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো:
প্রথমত, কমিশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধান বাতিল করার সুপারিশ করেছে। এছাড়াও, নির্বাচনকালীন সময়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, যদি কোনো আসনে মোট ভোটারের ৪০% ভোট না পড়ে, তাহলে পুনরায় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
এছাড়া, কমিশন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন বন্ধ করার সুপারিশ করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে সৎ, যোগ্য এবং ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনে ‘না-ভোট’ বিধান প্রবর্তনের প্রস্তাবও রয়েছে। এই বিধান অনুযায়ী, নির্বাচনে না-ভোট বিজয়ী হলে সেই নির্বাচন বাতিল হবে এবং পুনরায় নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাতিলকৃত নির্বাচনের কোনো প্রার্থী নতুন নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য কমিশন কিছু সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে ঋণ-বিল খেলাপিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা, আদালত কর্তৃক ফেরারি আসামি হিসেবে ঘোষিত ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা এবং বেসরকারি সংস্থার কার্যনির্বাহী পদে আসীন ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ওই পদ থেকে তিন বছর আগে অবসর গ্রহণের বিধান বাতিল করার প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কমিশন আরও সুপারিশ করেছে যে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬(২)(ঘ) এর অধীনে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করা উচিত। এছাড়া, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের প্রস্তাবও রয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে পদত্যাগ না করার বিধানও সুপারিশ করা হয়েছে। তরুণ, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১০% মনোনয়নের সুযোগ তৈরির বিধান প্রবর্তনের প্রস্তাবও রয়েছে।
নির্বাচনী ব্যয় সংক্রান্ত সুপারিশগুলোর মধ্যে সংসদীয় আসনের ভোটার প্রতি ১০ টাকা হিসেবে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ এবং সব নির্বাচনী ব্যয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা আর্থিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালনার প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এছাড়া, নির্বাচনী অভিযোগ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ বিচারিক সত্তা গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি করবে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার কাছে আরও তিনটি কমিশন, যথা সংবিধান, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন নিজেদের সংস্কারের সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখন অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে এবং ঐকমত্য হলে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়িত হবে। ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ