সোমবার, ১৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ইং
০২:১৫ এম
শাহনাজ আক্তার পারভীন, যিনি শানু নামে পরিচিত, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে শিকলবন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। তিনি সন্তানের জন্য অপেক্ষা করছেন, কিন্তু তাঁর মানসিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। স্থানীয়দের মতে, তাঁর জীবন একটি গভীর মানবিক সংকটের প্রতীক।
শানুর পৈতৃক পরিচয় হলো মুক্তাগাছা পৌর শহরের নন্দীবাড়ীর মৃত আব্দুস সালাম ও আসমা বেগমের কন্যা। ছোটবেলা থেকেই তাঁর মেধা ও আচরণ প্রতিবেশীদের মাঝে প্রশংসা কুড়িয়েছে। ২০০৬ সালে তাঁর বিয়ে হয় জেলার তারাকান্দায়, যেখানে তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তবে, এই সুখের দিনগুলো বেশিদিন স্থায়ী হয়নি; বিয়ের দেড় বছর পর তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। স্বামীর কাছে রেখে দেওয়া একমাত্র সন্তানকে হারানোর শোকে শানু ধীরে ধীরে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সন্তানের শোকে পাগল হয়ে তিনি রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে থাকেন। পরিবারের অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে তাঁর চিকিৎসা সম্ভব হয়নি, ফলে শানুর মানসিক অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হতে থাকে। অবশেষে, পরিবারের সদস্যরা বাধ্য হয়ে তাঁকে ঘরবন্দী করে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন। এ অসহায় মেয়েটির ভাগ্যে কখনও সরকারি অনুদান বা সহায়তা জোটেনি।
প্রতিবেশীরা জানান, শানুর একটি ভাই রয়েছে, যিনি দর্জির কাজ করেন। পরিবারের আয়ের কোনো উৎস নেই এবং ভাইয়ের সংসারে চারজন সদস্য রয়েছে। মানসিক ভারসাম্যহীন বোন ও মাকে সে লালন-পালন করে। শানুকে শিকলে বেঁধে না রাখলে তিনি বিভিন্ন জায়গায় ছুটে যান, যা পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবেশীদের ধারণা, যদি শানুকে ভালো চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায়, তবে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সক্ষম হবেন।
শানুর মা, ষাটোর্ধ্ব আসমা বেগম, ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "টাকার অভাবে মেয়েকে ভালো চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। সারাদিন মেয়ের পিছনে লেগে থাকতে হয়। আমি মরে গেলে কে দেখাশুনা করবে তাকে।"
মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না বলে জানান। তিনি শানুর পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে সরকারিভাবে সহায়তার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
বরগুনা জেলার একটি ঘটনায়, স্বামী আবুল কালাম আজাদ তার স্ত্রী আসমা আক্তার পুতুলকে গলাকেটে হত্যা করার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। এই ঘটনা ঘটে রোববার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে রাত ৮টার সময় বরগুনা পৌরসভার বাগানবাড়ি এলাকায়।
হত্যাকারী আবুল কালাম (৩৫) বরগুনা পৌরসভার শহীদ স্মৃতি সড়কের বড়িয়ালপাড়া এলাকার আব্দুল করিম আকনের পুত্র। তার স্ত্রী আসমা আক্তার পুতুল (৩০) বরগুনা চান্দখালীর বকুলতলী এলাকার মো. ইউনুসের কন্যা। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয় ২০১১ সালে। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।
১২ বছরের মেয়ে রাকা মনি ঘটনার বিষয়ে বলেন, ‘আমার বাবা ও মায়ের মধ্যে হাতের রুলি বানানোর টাকা নিয়ে ঝামেলা চলছিলো। এ নিয়ে কয়েকবার তাদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় আমাকে আমার বাবা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিল। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ছোট ভাই কান্না করছে। পাশের রুমে গিয়ে দেখি, আমার মাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। আমার মাকে আমার বাবা চাকু দিয়ে শরীরের অনেক জায়গায় কুপিয়েছে। আমার মাকে মেরে ফেলে রেখে আমার বাবা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই কিছুক্ষণ পরে পুলিশ গিয়ে আমার মাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।’
বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘আবুল কালাম নামের একজন থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে এবং তিনি জানান তিনি তার স্ত্রীকে খুন করে এসেছেন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠাই। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কি কারণে হত্যা করেছে, এ বিষয়ে এখনো সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে আলোচনা আমাদের জন্য বেদনার। এই মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণে মেয়েদের ওয়াশরুমের পাশে বিনামূল্যে নারীস্বাস্থ্য সুরক্ষার স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
ফারুকী তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন যে, স্যানিটারি ন্যাপকিন একটি অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। তিনি বলেন, "সরকার ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সারাদেশে উইমেন হেলথ হাইজিন নিয়ে সচেতনতা তৈরি করছে; সেখানে বইমেলায় এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়া আমাদের জন্য বেদনার।" তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানানো সকলের সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং তাদের বিস্ময় ও ক্ষোভকে সমর্থন করেন।
তিনি আরও জানান, বাংলা একাডেমি ইতোমধ্যে একটি বিবৃতির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে যে, ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মেলাপ্রাঙ্গণে মেয়েদের ওয়াশরুমের পাশে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করা হবে। বাংলা একাডেমি তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, বইমেলার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান স্পন্সরের সহায়তায় তাদের কার্যক্রম চালালেও নির্ধারিত নীতিমালা মানতে ব্যর্থ হয়েছে।
এছাড়া, অনুমতি না নিয়ে মেলায় যত্রতত্র বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি স্পষ্ট করে জানায় যে, তারা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে কোনো সংকোচ পোষণ করে না এবং বইমেলার নীতিমালা অনুযায়ী বিনামূল্যে ন্যাপকিন বিতরণ অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, অমর একুশে বইমেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রির কারণে দুটি স্টল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর মেলা কর্তৃপক্ষ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। বাংলা একাডেমি এই পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
কালিয়াকৈর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে বিদ্যালয়ের সামনে টিনের বেড়া দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলেছেন। অভিযোগ রয়েছে যে, এই বেড়া দেওয়ার ফলে বিদ্যালয়ের মাঠের মধ্যে একটি পাকা সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে, যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য আবারো অনিরাপত্তার সৃষ্টি করবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেনুপুর এলাকায় ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বেনুপুর বজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রায় ১ একর ৩৫ শতাংশ সরকারি জমিতে অবস্থিত। বিদ্যালয়ের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া দেওয়ার বাজার-বেনুপুর আঞ্চলিক সড়কটি বিভিন্ন যানবাহনের চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে ছিল। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার সড়কটি সরানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে সড়কটি বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে পাকা করা হয়। সড়কের এক পাশে বিদ্যালয় এবং অপর পাশে স্থানীয় বাসিন্দাদের জমি ও বাড়িঘর অবস্থিত। সড়কের অপর পাশে গোলাম মোস্তফা শাকিলের তিন তলা বিশিষ্ট ভবন রয়েছে, যা ১৫ বছর আগে নির্মিত। বর্তমানে ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং নিচতলায় পরিবারের সদস্যরা বসবাস করছেন।
তবে, প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি স্থানীয় আফসার উদ্দিন বাবুলের নির্দেশনায় ১০/১২ জন লোক নিয়ে সড়কের অপর পাশে মাত্র ২০ থেকে ২২ ফুট টিনের বেড়া দিয়ে দিয়েছেন। এই বেড়া দেওয়ার ফলে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মোস্তফার পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
এদিকে, সড়কের অপর পাশে বেড়া দেওয়ার ফলে বিদ্যালয়ের ভিতরেই সড়কটি রয়ে গেছে, যা আবারো দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করবে। প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে গত ৫ জুলাইয়ের পর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পরে তাকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হলে ২৪ নভেম্বর তিনি আবারো বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।
এখন তিনি আক্রোসের কারণে তিন তলা ভবনের সামনে টিনের বেড়া দিয়ে বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন। অভিযোগ উঠেছে যে, প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় বিএনপির নেতা একত্রে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সেখানে দোকান বরাদ্দের পায়তারা করছেন।
গোলাম মোস্তফা শাকিল বলেন, "সড়কের এ পাশে মাত্র তিন ফুট স্কুলের জমি হলেও সেখানে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। তারপরও সরকারি সড়কের এ পাশে আক্রোসের কারণে তারা এভাবে টিনের বেড়া দিয়েছেন।"
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ জানান, "শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এবং মাঠটি বড় করতেই সড়কটি সরিয়ে এক পাশে নেওয়া হয়েছে। তবে সড়কের ওই পাশে স্কুলের কিছু জমি আছে, সে সীমানা দিয়ে বেড়া দিচ্ছি।" তিনি দোকান বরাদ্দের কথাটি অস্বীকার করেন।
অপর অভিযুক্ত আফসার উদ্দিন বাবুল বলেন, "স্কুলের ওই জমিটুকু তাকে (মোস্তফা) খেতে দিবো কেন? তাই স্কুল সেখানে বেড়া দিচ্ছে।" তবে দোকান বরাদ্দের পায়তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, "এটি সরকারি সড়ক। সড়কের ওই পাশে এভাবে বেড়া দিলে এটি সঠিক হয়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।"
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দ্বারা সংঘটিত কিছু সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজ একটি প্রতিবাদ লিপি প্রদান করেছেন। এই প্রতিবাদ লিপিতে ৫০ জন শিক্ষক স্বাক্ষর করেছেন।
শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে উক্ত প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে যে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি কিছু অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ও নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শিক্ষকগণ মনে করেন যে, প্রশাসনের উচ্চপর্যায় থেকে এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করা জরুরি।
প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখিত ঘটনার মধ্যে প্রথমত, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে নিয়োগপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যাবলীর প্রশাসনিক তত্ত্বাবধান করবেন। তবে, তার মতামত বা অবজারভেশন গ্রহণ না করেই একাডেমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। উপ-উপাচার্যকে পাশ কাটিয়ে গৃহীত এই সকল সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে ভবিষ্যতে কঠিন আইনি প্রশ্ন উত্থাপিত হতে পারে। ফলে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ মারাত্মকভাবে বিপদগ্রস্ত হতে পারেন। সুতরাং, এই বেআইনি কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে উপ-উপাচার্যের কার্যালয় থেকে সকল বিভাগের চেয়ারম্যানদের নিয়ে একাডেমিক অগ্রগতি সংক্রান্ত একটি সভা আহ্বান করা হয়। তবে, রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত একটি পাল্টা পত্রে উক্ত সভাকে বিধিবর্হিভূত বলা হয়। এই পত্রের যুক্তি এতটাই দুর্বল যে, এর ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ববর্তী একাডেমিক কমিটির সভা, পরীক্ষা কমিটির সভা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক সভা অবৈধ হয়ে যেতে পারে। ফলে, এই পত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কর্মকাণ্ডের জন্য একটি মহা বিপর্যয় হিসেবে দেখা দিয়েছে।
তৃতীয়ত, উপ-উপাচার্যের আহুত সভায় চেয়ারম্যানদের অংশগ্রহণকে চাকরি-সংক্রান্ত বিধিবিধানের পরিপন্থি বলে অভিহিত করা হয়েছে। এই ধরনের চিঠির ভীতিকর ও অপমানকর ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজকে গভীরভাবে ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ করেছে।
শিক্ষকগণ উক্ত প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করেছেন যে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট সত্ত্বেও শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে শিক্ষাকার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা, মনন ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে দেশে-বিদেশে সফলভাবে কর্মক্ষেত্রে নিযুক্ত হতে সক্ষম হয়েছে। এ অবস্থায়, শিক্ষকগণ প্রত্যাশা করেন যে, উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য সকল রকম স্বৈরাচারী মনোবৃত্তি পরিত্যাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতির জন্য ইতিবাচক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন।
এই প্রত্যাশায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজের পক্ষ থেকে উক্ত প্রতিবাদ লিপি জমা দেওয়া হয়েছে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ