মঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ইং
০৫:৪৯ পি.এম
বর্তমানে ক্যারিয়ারের একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা নেইমার জুনিয়র। সাম্প্রতিক সময়ে, ইউরোপের নামীদামী ক্লাবগুলোর মধ্যে তার প্রতি আগ্রহের অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইনজুরির কারণে দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকার ফলে তিনি নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারছেন না।
একসময় নেইমারকে লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে তুলনা করা হতো। তবে, মেসি ও রোনালদো নিজেদের ক্যারিয়ারে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছালেও নেইমার সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। ইউরোপে তার সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর, তিনি সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালে যোগদান করেন, যেখানে তিনি দলবদলের ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছিলেন। কিন্তু ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে থাকার ফলে আল হিলালও তার ওপর আস্থা হারিয়েছে।
নেইমারের বিদায়ের পর, আল হিলালের কোচ জর্জে জেসুস মন্তব্য করেছেন যে, নেইমার সৌদি প্রো লিগে খেলার জন্য উপযুক্ত নয়। এই মন্তব্যের সাথে সুর মিলিয়েছেন আল হিলালের সিইও এস্টিভ কালজাদাও। তিনি ডাচ গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, "আমি আসলে খুবই হতাশ যে নেইমারের কাছ থেকে আমরা কোনো ফলাফল পাইনি। সে আসার পরপরই ক্রুশিয়েট লিগামেন্টের চোটে পড়েছে। তার বিদায় এটাই প্রমাণ করে যে আল হিলাল এমন খেলোয়াড় খুঁজছে যারা ভালো পারফর্ম করতে পারে।"
তিনি আরও বলেন, "নেইমার যতই আমাদের মার্কেটিংয়ে অবদান রাখুক, খেলায় পারফরম্যান্সটাই আগে। এক্ষেত্রে মোটামুটি আমরা নিশ্চিত, প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করার মতো অবস্থায় নেইমারের আর নেই। তার সঙ্গে চুক্তি থেকে সরে আসা দুই পক্ষের জন্যই লাভ হয়েছে।"
এছাড়া, আল হিলালের কোচ জর্জে জেসুস নেইমারের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, "আমি নেইমারের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু জানি না। সৌদি প্রো লিগ এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা লিগ। সেই পর্যায়ে খেলার মতো অবস্থায় নেই ওর।"
নেইমারের এই পরিস্থিতি ফুটবল বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে তার ভবিষ্যৎ এবং ক্যারিয়ারের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। তিনি বলেন, "ফ্যাসিন্ট হাসিনা সরকারের ভারতীয় নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় সম্ভব হয়নি। তাই আসুন আমরা তিস্তা নদীর পানি ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেঘা প্রকল্প অভিলম্বে বাস্তবায়নের দাবীতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলি।"
এই বক্তব্যটি তিনি মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর-তিস্তা ব্রীজ পয়েন্টে আয়োজিত একটি বিশাল গণজমায়েতে প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক।
গণজমায়েতে বক্তৃতা করেন রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সেক্রেটারী মাহামুদুল নবি টিটুল, সহ-সভাপতি ডা. জিয়াউল ইসলাম জিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম জিন্নাহ, উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক বাবুল আহম্মেদ, পৌর বিএনপির আহব্বায়ক ইফতেখার হোসেন ভুঁইয়া নিপ্পন প্রমুখ।
বক্তাগণ তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং তিস্তা মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তা ব্রীজ পয়েন্টে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে আহ্বান জানান। তারা বলেন, দলমত নির্বিশেষে সকলকে এই আন্দোলনে অংশ নিতে হবে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছেন বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে।
মঙ্গলবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি জানান, আগামী ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক সামিটে ইউনূস ও মোদির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে, উভয়ের মধ্যে সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে আরও উল্লেখ করেন যে, আগামী ৪ এপ্রিল বিমসটেক সামিটে সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করবেন। এই সম্মেলনের ফাঁকে সদস্য দেশগুলো পারস্পারিক আলোচনা করে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠক নির্ধারণ করবে।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অংশগ্রহণ করবেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও সেখানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এই সম্মেলনের পর, ইউনূস ও মোদির মধ্যে সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।
এছাড়া, মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে একটি প্রশ্নের জবাবে বলেন, সার্ক এবং বিমসটেক উভয়ই আঞ্চলিক সংস্থা। এই দুই সংস্থার মধ্যে কোনো পারস্পারিক দ্বন্দ্ব নেই। একই দেশ একাধিক ফোরামে কাজ করতে পারে। অনেক দেশ সার্ক ও বিমসটেকের সদস্য, আবার কিছু দেশ আসিয়ানের সদস্যও। এই ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।
তিনি আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকার বিমসটেকের সহযোগিতা পাচ্ছে এবং বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বিমসটেককে শক্তিশালী করতে কাজ করছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার থেকে বিমসটেকে যথাযথ সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকেও তারা সম্মান করেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে একটি মাদরাসার ছাত্রকে শিক্ষকের বাইসাইকেল নিয়ে যাওয়ার অপরাধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাটি ঘটে ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় বৈদেশিরহাট নুরানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায়। আহত ছাত্র ইয়াসিন আলী (১৫) বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইয়াসিন আলী উপজেলার সংকৈর গ্রামের সামিউল ইসলামের ছেলে। তার গা বাম চোখ, নাক ও ঠোঁটে মারধরের চিহ্ন রয়েছে।
ইয়াসিন আলীর পিতা সামিউল ইসলাম জানান, রোববার বিকালে তার ছেলে মাদরাসা থেকে একটি বাইসাইকেল নিয়ে বাড়িতে আসে। পরে তিনি নিজেই বাইসাইকেলটি মাদরাসায় ফিরিয়ে দেন। সোমবার সন্ধ্যায় ইয়াসিন আলী আবার মাদরাসায় যায়, তখন শিক্ষক শাহ আলম তাকে বেধড়ক মারধর করেন। ইয়াসিনের চোখ, মুখ, নাক ও কান ফেটে রক্ত পড়েছে এবং তার হাত-পায়েও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সামিউল ইসলাম বলেন, "কেউ চোরকেও এভাবে পেটায় না। ছেলে সুস্থ হলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।"
চিরিরবন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবরার লাবিব জানিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থীর চোখে গুরুতর আঘাত রয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন দেখা গেছে। তবে চোখের আঘাতটি গুরুতর হওয়ায় তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক শাহ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহিন বলেন, "মাদরাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র ইয়াসিন আলী আমার বাইসাইকেল নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল। পরে আমি বাইসাইকেল খুঁজতে গিয়ে দেখি, সাইকেলটি নেই। সাইকেল না পেয়ে আমি রিকশাভ্যানে করে আমার কাজে চলে গেছি। পরে শুনতে পাই, আমাদের মাদরাসার শিক্ষক শাহ আলম ওই ছাত্রকে শাসন করেছে। শাসন করতে গিয়ে তার বেজায়গায় লেগেছে। ছেলেটি হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমি তার খোঁজ নিয়েছি।"
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
থালাপাতি বিজয়, দক্ষিণী চলচ্চিত্রের একজন প্রখ্যাত অভিনেতা, বর্তমানে তার ক্যারিয়ারের একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে চলেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিনোদন জগতে অসংখ্য সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন এবং অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয় রয়েছেন। সম্প্রতি, বিজয় ঘোষণা করেছেন যে তিনি শীঘ্রই রুপালি পর্দাকে বিদায় জানিয়ে রাজনীতিতে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করবেন।
বিজয়ের অভিনীত শেষ সিনেমা হবে ‘জন নায়ক’, যা পরিচালনা করছেন এইচ বিনোদন। এই সিনেমায় বিজয়ের সঙ্গে অভিনয় করবেন শ্রুতি হাসান, যিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা দেবেন। ইন্ডিয়ান গ্লিটজের সূত্রে জানা গেছে, শ্রুতি হাসান আগামী সপ্তাহে সিনেমাটির শুটিং শুরু করবেন। উল্লেখ্য, বিজয় এবং শ্রুতি হাসান সর্বশেষ ‘পুলি’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন, যা ২০১৫ সালে মুক্তি পায়। যদিও সিনেমাটি বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করতে পারেনি, তবুও তাদের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল।
‘জন নায়ক’ সিনেমায় বিজয় এবং শ্রুতি হাসানের পাশাপাশি আরও অনেক বিশিষ্ট শিল্পী যেমন ববি দেওল, প্রকাশ রাজ, পূজা হেগড়ে, প্রিয়ামণি এবং মমিতা বাইজু অভিনয় করছেন। সিনেমাটি বর্তমানে চেন্নাইয়ে শুটিং চলছে এবং এটি কেভিএন প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হচ্ছে।
থালাপাতি বিজয়ের পিতা এসএ চন্দ্রশেখর ছিলেন একজন তামিল সিনেমার পরিচালক এবং মাতা শোভা চন্দ্রশেখর একজন গায়িকা। বিজয় শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি জগতে প্রবেশ করেন এবং পরে তামিল সিনেমার শীর্ষ নায়কদের একজন হয়ে ওঠেন। তার সর্বশেষ সিনেমা ‘থালাপাতি ৬৯’ বা ‘জন নায়ক’ এর জন্য তিনি ২৭৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক গ্রহণ করেছেন।
বিজয় ক্যারিয়ারের শীর্ষ অবস্থানে থাকা অবস্থায় ‘তামিলাগা ভেটরি কাজাগম’ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় এক বছর আগে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দলের ঘোষণা করেন এবং বর্তমানে ২০২৬ সালের তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
১৯৯২ সালে ‘নালায়া থেরপু’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথম নায়ক চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান বিজয়। তার প্রথম ব্লকবাস্টার সিনেমা ছিল ‘পুভে উনাকাগা’, যা ১৯৯৬ সালে মুক্তি পায়। তবে ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘থিরুমালাই’ সিনেমাটি তার ক্যারিয়ারে একটি নতুন মাত্রা যোগ করে।
এরপর, ২০০৪ সালে ‘ঘিল্লি’ সিনেমায় একজন কাবাডি খেলোয়াড়ের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এই সিনেমার মাধ্যমে তিনি প্রথম তামিল অভিনেতা হিসেবে বক্স অফিসে ৫০ কোটি রুপি আয় করেন। পরবর্তীতে ‘থিরুপাচি’, ‘সাচেন’, ‘শিবাকাসি’, ‘পক্কিরি’, ‘কাবালান’, ‘নানবান’, ‘থুপ্পাক্কি’, ‘কাত্থি’, ‘মার্সাল’, ‘সরকার’, ‘মাস্টার’ প্রভৃতি সিনেমা তাকে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ