মঙ্গলবার, ৭ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং
১০:০২ পি.এম
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ভূমিকম্পের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, ৩ জানুয়ারি এবং ৭ জানুয়ারি দুবার ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রভাব ফেলেছে। যদিও এই ভূমিকম্পগুলোর উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশ থেকে দূরে, তবুও এ ধরনের ঘটনা আমাদের জন্য একটি সতর্কতা সংকেত হিসেবে কাজ করছে। ৩ জানুয়ারি ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ছিল মিয়ানমারের হোমালিন থেকে, এবং ৭ জানুয়ারি ভূমিকম্পটির উৎপত্তি চীনের জিজাং এলাকা থেকে।
ভূমিকম্পের ঘটনা সাধারণত পৃথিবীর টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে ঘটে, যা ভূত্বককে কাঁপিয়ে তোলে এবং এই শক্তি পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অনুভূত হতে পারে। যদিও বাংলাদেশের জন্য এই ভূমিকম্পগুলোর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি, তবুও ভবিষ্যতে এর পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে, ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলিতে, যেখানে বহু মানুষ বসবাস করছে, সেখানে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের ঝুঁকি যথেষ্ট রয়েছে।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এবং সিলেট অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ গঠন এমনভাবে তৈরি যে, এখানে ভবিষ্যতে ভূমিকম্পের আঘাত হতে পারে। ইতোমধ্যেই দেশের কিছু অঞ্চলে ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে, তবে আমাদের ভূমিকম্পের মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নেই। তিব্বতে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে চীনে যে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সতর্কতার কারণ। একইভাবে, ভারত ও নেপালের বিভিন্ন অংশেও এই ভূমিকম্পের প্রভাব অনুভূত হয়েছে।
এটি স্পষ্ট যে, ভূমিকম্পের প্রভাব এক অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা অন্যান্য অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই, এখন করণীয় হলো ভূমিকম্পের প্রস্তুতি গ্রহণ করা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা এবং জনগণের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালনা করা। এছাড়া, উন্নত প্রযুক্তি ও তথ্যভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে ভবিষ্যতের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া এবং দ্রুত উদ্ধার কাজের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সরকার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উচিত, এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি আরো সুসংগঠিত করা। ভূমিকম্পের প্রভাব বিশাল হতে পারে, তাই আমাদের এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক এবং প্রস্তুত থাকতে হবে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন যে, সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তিনি বলেন, "আমাদের কার্যক্রম যেন মেধার বিকাশ ঘটায় এবং শিক্ষার্থীবান্ধব হয়, তার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।"
৭ জানুয়ারি, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব ২০২৫’ পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাহিদুল ইসলাম উৎসবের সফলতা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, "আজকে আমার এই প্রকাশনা উৎসব খুবই ভালো লাগছে। শিক্ষার্থীরাও উৎসবকে খুব ভালোভাবে নিয়েছেন।"
তিনি আরও বলেন, "ছাত্রশিবির গতানুগতিক কোন সংগঠন নয়। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার উপর ভিত্তি করেই ছাত্রশিবির সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।" তিনি সংগঠনের গবেষণাধর্মী তিন পাতার ক্যালেন্ডার সম্পর্কে বলেন, "আপনারা ছাত্রশিবিরের যেই গবেষণাধর্মী তিন পাতার ক্যালেন্ডার দেখছেন, তা অল্প সময়ে আমরা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।"
প্রকাশনা সম্পর্কিত আলোচনা করতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন যে, "বাংলাদেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ আমাদের এই প্রকাশনাকে গ্রহণ করছে। আমাদের ২০০ প্লাস প্রকাশনা বা উপকরণ রয়েছে।" তিনি আরও জানান, "আমরা প্রতি বছর এই প্রকাশনাগুলোকে আপডেট করি এবং শিক্ষার্থীরা যেন উপকৃত হয়, সেই ভাবেই আমরা প্রকাশনাগুলো তৈরি করি।"
এছাড়াও, পরিদর্শনের সময় ছাত্রশিবিরের রাবি শাখার সদ্য সাবেক সভাপতি আব্দুল মোহাইমিন, নবনির্বাচিত সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ এবং সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদ ফয়সালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল ও কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব-২০২৫ এর আয়োজন করেছে শাখা ইসলামি ছাত্রশিবির। উৎসবটি আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
সাভারের আশুলিয়ায় জুলাই ঘোষণাপত্রের গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি লিফলেট বিতরণ করেছে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে সংগঠনের সদস্যরা সাতটি দাবির প্রতি জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন।
মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, বিকেলে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এই লিফলেট বিতরণ করা হয়। বক্তারা উল্লেখ করেন যে, দেশের প্রান্তিক জনগণের পাশাপাশি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং পেশাজীবীদের মধ্যে ঘোষণাপত্রের গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য এই সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।
তারা অভিযোগ করেছেন যে, সরকার এখনও পর্যন্ত ঘোষণাপত্রের বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বক্তাদের মতে, গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে সরকারের উচিত হবে সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
লিফলেট বিতরণের পর নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিলও বের করেন, যা তাদের দাবিগুলোর প্রতি জনসাধারণের সমর্থন অর্জনের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
পঞ্চগড়ে একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় হোসনে আরা মালা (৪২) নামে এক এনজিওকর্মী নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৪ জন পথচারী।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পঞ্চগড় শহরের প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে মহাসড়কে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত মালা পঞ্চগড় পৌরসভার ধাক্কামারা এলাকার শামসুজ্জোহা তরুণের স্ত্রী এবং তিনি বেসরকারি এনজিও 'আশা'-তে মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, তেঁতুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা নুসাইবা এক্সপ্রেস নামে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জেলা শহরের মিঠাপুকুর এলাকায় বেশ কয়েকটি ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। এরপর বাসটি জেলা শহরের প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা হোসনে আরা মালা ছিটকে মহাসড়কে পড়ে যান এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে।
এ দুর্ঘটনায় আহত ১৪ পথচারীর মধ্যে পাঁচজনকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ নিশ্চিত করেছেন যে, ঘটনার পর নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এছাড়া, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি জব্দ করা হয়েছে, তবে ঘটনার পরপরই বাসচালক পালিয়ে যান। এ বিষয়ে থানায় পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
প্রতিবেদন: প্রেমের গল্পে মাখানো হৃদয়ের নুপুর ধ্বনি
প্রেম—একটি শব্দ যার গভীরতা মাপা অসম্ভব। এটি কখনো মিষ্টি রোদ্দুরের মতো মন ছুঁয়ে যায়, আবার কখনো ঝরাপাতার মতো বিষণ্ণতা আনে। ভালোবাসার এই অনুভূতি নিয়ে সম্প্রতি লেখা হয়েছে এক মনোমুগ্ধকর প্রেমের কবিতা।
কবিতাটি শুরু হয় নায়কের একাকিত্বের গল্প দিয়ে। শীতল সন্ধ্যার বাতাসে ভেসে আসা এক নারীর কণ্ঠস্বর তার হৃদয়ে জাগিয়ে তোলে এক নতুন সুর। সেই সুরের মাঝে হারিয়ে যায় কবি।
---
“তোমার চোখে দেখেছি স্বপ্নের চাঁদ,
তোমার হাসিতে বাঁধা সুরের বাঁধ।
যেন জীবন পেলো নতুন এক গান,
তোমার ভালোবাসায় পেয়েছি অবিরাম প্রাণ।”
---
এই কবিতার প্রতিটি পঙক্তি যেন ভালোবাসার গভীর অনুভূতিকে তুলে ধরে। কবি তার প্রেমিকার চোখে খুঁজে পেয়েছেন চাঁদের মায়া, তার হাসিতে জীবনের সুর। প্রেমিক এবং প্রেমিকার সম্পর্কের গভীরতা ফুটে ওঠে কবিতার প্রতিটি লাইনে।
পরবর্তী অংশে প্রেমিক তার ভালোবাসার কথা জানাতে গিয়ে লিখেছেন—
---
“তোমার ছোঁয়ায় বদলে গেছে জীবন,
তুমি এলে যেন প্রকৃতি হলো আপন।
তোমার হাতের ছায়ায় খুঁজে পাই ঘর,
তুমি ছাড়া যেন কিছুই নেই আমার।”
---
কবিতার এই অংশে ভালোবাসার গভীরতা এবং পারস্পরিক নির্ভরতার দিকটি স্পষ্ট। প্রেমিক জানান, তার প্রেমিকা শুধু তার জীবন নয়, তার পুরো পৃথিবী বদলে দিয়েছে।
এই কবিতা শুধুই একটি প্রেমের গল্প নয়, এটি দুই হৃদয়ের গভীর সংযোগের প্রতিচ্ছবি। কবি যেন প্রতিটি শব্দে তার হৃদয়ের আবেগকে ঢেলে দিয়েছেন।
কবিতার শেষাংশে প্রেমিক ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনে বলেন—
---
“তোমার হাত ধরে এগোবো চিরকাল,
জীবনের পথে হবে না কোনো কাল।
তোমার সঙ্গেই শুরু, তোমাতেই শেষ,
তোমার ভালোবাসা যেন আকাশের রেশ।”
---
এই কবিতা পাঠককে প্রেমের এক গভীর অনুভূতির ভেতর নিয়ে যায়। এটি প্রেমের গল্প হলেও, এর প্রতিটি পঙক্তি জীবনের সঙ্গে মিলে যায়।
ভালোবাসার এই কবিতাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে। পাঠকরা বলছেন, এটি কেবল একটি কবিতা নয়, বরং হৃদয়ের গহীনে জেগে থাকা এক অমলিন প্রেমের গল্প।
এই ভালোবাসার কবিতা প্রমাণ করে, প্রেম একটি অনুভূতি যা সবকিছুকে বদলে দিতে পারে। এটি জীবনে নিয়ে আসে রঙ, আনন্দ এবং নতুন করে বাঁচার প্রেরণা।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ