শনিবার, ১১ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং
১১:২২ পি.এম
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বর্তমানে একটি সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে, যা অবিলম্বে সংস্কারের দাবি জানাচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতে বিদ্যমান অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মধ্যে অন্যতম হলো পদ্ধতিগত অদক্ষতা এবং অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো। বিশেষ করে গ্রামীণ এবং সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে বাধা ও বৈষম্য একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যাগুলোর কারণে স্বাস্থ্য খাতে টেকসই অর্থায়নের মডেলগুলো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা জনসাধারণের ওপর আর্থিক বোঝা চাপিয়ে দিয়ে তাদের দুর্ভাগ্যজনক স্বাস্থ্য ব্যয়ের দিকে পরিচালিত করছে। এর ফলে অনেক পরিবার ক্রমেই দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
জনবহুল বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের সুবিধা অপ্রতুল। সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা এতটাই বেড়ে গেছে যে সেগুলো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় ডাক্তার, নার্স, ওষুধপত্র এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে পর্যাপ্ত সেবাপ্রদান প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সক্ষমতার তুলনায় তিন থেকে চার গুণ বেশি রোগীকে সেবা প্রদান করা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। এই সুযোগে অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল ব্যবসায়িক লাভের জন্য অতি উচ্চ চিকিৎসা ব্যয় ধার্য করছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
বিভিন্ন পরিষেবায় অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত চিকিৎসকদের আকাশছোঁয়া ফি পরিশোধে জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে। অবৈধ ও অসাধু উপায়ে অর্থ উপার্জনকারী ছাড়া মধ্য ও নিম্নবিত্ত নাগরিকদের জন্য চিকিৎসা ব্যয় মেটানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্য খাত দেশের অন্যতম দুর্দশাগ্রস্ত খাতগুলোর একটি। কম বাজেট বরাদ্দ, প্রশাসনিক সুশাসনের অভাব, অনিয়ম ও দুর্নীতি, চিকিৎসকদের মূল্যবোধের অভাব এবং অত্যধিক বাণিজ্য প্রবণতা এই খাতকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে।
পতিত সরকারের আমলে স্বাস্থ্য খাতের নানা বিষয় সংস্কারের জন্য অর্ধশতাধিক সুপারিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এসব সুপারিশের মধ্যে যেগুলো শুধুমাত্র ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষা করেছে, সেগুলোই বাস্তবায়িত হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে সমস্যার মূল কারণ হলো সরকারি ও বেসরকারি খাতে যত্রতত্র মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে দুভাগে বিভক্ত করা, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা থেকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি ব্যবস্থাপনা আলাদা করা, এবং বেসরকারি খাতে ক্লিনিক ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়া।
এছাড়া, ব্যবস্থাপনার ত্রুটি, স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে মাঠ প্রশাসনকে শক্তিশালী না করা এবং ওষুধের গুণগত মান রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ার মতো নানা অব্যবস্থা ও ভুল নীতি স্বাস্থ্য খাতকে দুর্দশাগ্রস্ত করে তুলেছে। বর্তমান সরকারের অধীনে রাষ্ট্র মেরামতের সব অঙ্গের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতকে অধিকতর প্রাধান্য দেওয়া আবশ্যক। অতএব, পর্যাপ্ত সময় নিয়ে গভীর ও পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে চলমান সংকটগুলো চিহ্নিত করা অপরিহার্য।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় পর জাতীয় দলে ফিরছেন। ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনালের পর থেকে তিনি দলের বাইরে ছিলেন। অবশেষে, ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের মাধ্যমে তিনি দলে ফিরবেন।
শামির দলে ফেরার খবরটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, কারণ এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বোর্ডার গাভাস্কার সিরিজে তার দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছিল। তবে, ফিটনেস সমস্যা এবং হাঁটুতে হালকা চোটের কারণে তিনি সেই সিরিজে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিসিসিআই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে। সূর্যকুমার যাদবকে অধিনায়ক করে ঘোষিত দলে মোহাম্মদ শামির অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হয়েছে। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, শামি ওয়ানডে সিরিজে অংশগ্রহণ নাও করতে পারেন, কারণ তার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে।
মোহাম্মদ শামি দলে ফিরলেও, ১৫ জনের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি জসপ্রিত বুমরাহের। পিঠের চোটের কারণে তিনি অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সিডনি টেস্টের শেষ ইনিংসে বল করতে পারেননি। এছাড়া, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে রিশভ পন্তও দলে নেই। তার পরিবর্তে ধ্রুব জুড়েল ও সাঞ্জু স্যামসনকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ভারতীয় দলের স্কোয়াড হলো: সুর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), সাঞ্জু স্যামসন, অভিষেক শর্মা, নীতিশ কুমার রেড্ডি, তিলক ভার্মা, আর্শদীপ সিং, হার্শিত রানা, অক্ষর প্যাটেল, ধ্রুব জুড়েল, রিংকু সিং, হার্দিক পান্ডিয়া, রবি বিষ্ণোই, বরুণ চক্রবর্তী, মোহাম্মদ শামি এবং ওয়াশিংটন সুন্দর।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্বামী ও স্ত্রীকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বসন্তপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। আহতদের মধ্যে রয়েছেন বসন্তপুর ইউনিয়নের হাটজয়পুর গ্রামের খলিল মোল্লার ছেলে আবু বক্কর মোল্লা (৫৫) এবং তার স্ত্রী শিউলী বেগম (৪৫)। আহত অবস্থায় আবু বক্কর মোল্লাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এবং তার স্ত্রী শিউলী বেগমের হাত ভেঙে যাওয়ার কারণে চিকিৎসক তাকে প্লাস্টার করে ছেড়ে দিয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবু বক্কর মোল্লা জানান, "দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী মিলন মোল্লাদের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। বিরোধপূর্ণ জমির সব ধরনের কাগজপত্র আমাদের কাছে রয়েছে, কিন্তু মিলন মোল্লাদের কোনো কাগজপত্র নেই। বেশ কয়েকবার স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে বসে মীমাংসার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও মিলন মোল্লারা উপস্থিত হয়নি এবং তাদের কোনো কাগজপত্রও দেখায়নি। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ওই জমি থেকে তারা জোরপূর্বক মাটি কেটে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়। তখন বাধা দেওয়ার পর তারা বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি-ধামকি দেয়।"
তিনি আরও বলেন, "শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে আমি ও আমার স্ত্রী শিউলী বেগম রাজবাড়ী শহরের আসার জন্য বসন্তপুর বাসস্ট্যান্ডে গেলে পরিকল্পিতভাবে মিলন মোল্লা, রিপন মোল্লা, রাজ্জাক মোল্লা, ইমন মোল্লা, ইমতিয়াজ মোল্লা, রাজিব মোল্লা, কোশিক মোল্লাসহ ৮ থেকে ১০ জন চাপাতি, লাঠিসোটা ও দেশীয় অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে হারুন ডাক্তারদের দোকানের সামনে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় আমাকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করার পর চাপাতি দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। আমার স্ত্রী ঠেকাতে এলে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে তার ডান হাত ভেঙে দেয়।"
তিনি আরও জানান, "আমার মাথায় মোট সাতটি সেলাই লেগেছে। মিলন মোল্লা ও তার পরিবারের সদস্যরা অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মাধ্যমে এলাকায় প্রভাব দেখিয়ে চলাচল করে আসছে এবং এখনও একই কাজ করছে। এ ঘটনায় আমার ছেলে শাকিল মোল্লা বাদী হয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। আমাদের যারা হাসপাতালে পাঠিয়েছে, আমি তাদের সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।"
অভিযুক্ত মিলন মোল্লা দাবি করেন, "ওই জমি আমরা ৪০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছি এবং আদালতের রায়ও আমাদের পক্ষে হয়েছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) আবু বক্কর গোয়ালন্দ মোড় থেকে সন্ত্রাসী বাহিনী এনে ওই জমির টিনের বেড়া ভেঙে নিয়ে গেছে এবং আমাকেসহ আমার ভাই-ভাতিজাদের মারধর করেছে। এ নিয়ে শনিবার বসন্তপুর স্টেশন বাজারে আমার চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে আবু বক্করের তর্কাতর্কি হয়েছে। এ সময় আবু বক্কর আমার ভাইকে স্যান্ডেল দিয়ে মারলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। এছাড়া কোনো ঘটনা ঘটেনি। শুক্রবার টিনের বেড়া ভাঙার সময় আবু বক্করের মাথা কেটে গেছে। কিন্তু আজ সে মিথ্যা অভিযোগ করছে। এছাড়া তার স্ত্রীর হাতও ভাঙেনি। তিনি শুধু ব্যান্ডেজ করে মিথ্যা কথা বলছেন।"
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, "এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। এ ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে শহরের হর্কাস মার্কেটে অগ্নিকান্ডের এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা জামাল উদ্দিন বিশাদ ও ফয়জুল জাহান জানান, রাতে হঠাৎ হর্কাস মার্কেটে আগুনের ফুলকি দেখতে পাই স্থানীয় লোকজন। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত কিছু বোঝা যাচ্ছে না। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২০-২৫টির অধিক দোকান পুড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে এর সংখ্যা বাড়তে পারে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী,পুলিশ রয়েছে।
মাইজদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সেন্টি ইয়াছিন মোল্লা জানান, হর্কাস মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পাঁচটি টিম পৌঁছেছে। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। ফায়ার সার্ভিসের আরো কয়েকটি টিম সেখানে পাঠানো হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ