সোমবার, ২০ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং
০৭:২৭ পি.এম
সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে, বাংলাদেশের প্রখ্যাত ক্রিকেটার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এই খবরটি একটি ভাইরাল ফটোকার্ডের মাধ্যমে প্রচারিত হয়, যেখানে দাবি করা হয় যে তিনি দুবাইতে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
তবে, এই খবরটি সম্পূর্ণরূপে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে রিউমর স্ক্যানার টিম। তাদের অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, মাশরাফীর মৃত্যুর দাবিটি সঠিক নয় এবং এটি কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই প্রচারিত হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানারের তদন্তে দেখা গেছে যে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো সংবাদমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্রে মাশরাফী দুবাইয়ে অবস্থান করছেন বা তার মৃত্যুর বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) উপলক্ষে সিলেট স্ট্রাইকার্স দলে মাশরাফীকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হওয়ায় বিতর্কের মুখে পড়েন এবং ফলে বিপিএলে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, যিনি বাংলাদেশের জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে জনসমক্ষে দেখা যাননি। এই পরিস্থিতিতে তার সম্পর্কে গুজব ছড়িয়ে পড়া একটি উদ্বেগজনক বিষয়।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ টাকায় শীতবস্ত্র প্রাপ্তির সুযোগ পেয়েছেন ৪০০ জন শীতার্ত মানুষ। সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, দুপুরে জেলা স্কুল বড়মাঠে জেলার ‘সহায়’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই বিশেষ আয়োজনের ব্যবস্থা করে।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সহায় সংগঠনের উপদেষ্টা লুৎফর রহমান মিঠু, ডা. শুভেন্দু কুমার দেবনাথ, সহায়-এর আহ্বায়ক শামিমুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন সাগরসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
কনকনে শীতের মধ্যে ৫ টাকায় শীতবস্ত্র পেয়ে শীতার্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যায়। সহায়-এর আহ্বায়ক শামিমুল ইসলাম এই কার্যক্রম সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন, ‘সহায় সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে। এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
এভাবে সমাজের অসহায় ও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহায় সংগঠন তাদের মানবিক দায়িত্ব পালন করছে, যা সমাজে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ ধরনের উদ্যোগগুলো সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে সহানুভূতি ও সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
বর্তমান সংগীত জগতের দুই জনপ্রিয় মুখ, প্রীতম হাসান এবং এলিটা করিম, একত্রিত হয়েছেন একটি নতুন প্রকল্পে। এই প্রকল্পে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী জয়া আহসান, যা নতুন একটি ভাবনার সূচনা করছে।
জয়া আহসান সোমবার (২০ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, প্রীতম এবং এলিটার সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি অত্যন্ত রোমাঞ্চিত। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, খুব শিগগিরই একটি চমকপ্রদ সিনেমা দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করতে পারবেন, যা পরিচালনা করছেন সাদিয়া ইসলাম রোজা।
এদিকে, প্রীতমও রবিবার (১৯ জানুয়ারি) একই ছবি শেয়ার করে তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই মাসের শেষের দিকে একটি নতুন গান প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে এলিটা করিম এবং জয়া আহসানের সঙ্গে তার সময় কাটানো হবে অত্যন্ত রোমাঞ্চকর।
প্রীতম এবং জয়ার পোস্ট দেখে দর্শকরা উৎকণ্ঠিত হয়ে উঠেছেন। তারা জানতে আগ্রহী, আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে। প্রীতম গণমাধ্যমে বলেন, "জয়া আপুর সঙ্গে এটিই আমার প্রথম স্ক্রিন শেয়ার করা। এটি আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। সাথে এলিটা করিমও আছেন। আশা করি এটি দারুণ কিছু হবে।"
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পর্নোগ্রাফি মামলায় এক স্কুলছাত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে যে, এই ছাত্রীর ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে পর্নো ভিডিও তৈরি করে টাকা দাবি করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত স্কুলছাত্রী, যিনি এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী, উপজেলার এক শিক্ষকের কন্যা। পুলিশ জানায়, গত ১৯ জানুয়ারি রাতে পূর্ব ভূঞাপুরের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে ২০ জানুয়ারি আদালতে পাঠানো হয়।
এদিকে, ওই ছাত্রীর গ্রেফতারের খবর শুনে থানায় হাজির হন একাধিক ভুক্তভোগী। তারা ওই ছাত্রীর পাশাপাশি তার অভিভাবকদেরও শাস্তির দাবি করেন। পুলিশ জানায়, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা, ছাত্রীর ছবি ব্যবহার করে একাধিক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করা হয়। এই গ্রুপগুলোতে পর্নো ভিডিও পোস্ট করা হয় এবং ভিডিওর সঙ্গে মোবাইল নম্বর দিয়ে লাখ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
‘দিলরুবা’ ও ‘রাকিবুল ইসলাম’ নামের আইডি ব্যবহার করে এলাকার অনেকের আইডি যুক্ত করে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করা হয়। পরে ফেসবুক এবং গুগল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইডিগুলোর মালিক বা ব্যবহারকারী সনাক্ত করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই ছাত্রীর ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয় এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জব্দকৃত ফোনে এসব পোস্ট ও ভিডিও ছড়ানোর সত্যতা পাওয়া যায়।
পর্নোগ্রাফি আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে অন্য ব্যক্তির সামাজিক বা ব্যক্তিগত মর্যাদা হানি করে অথবা ভয়ভীতির মাধ্যমে অর্থ আদায় করে, তাহলে তিনি অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন এবং সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
গ্রেফতারকৃত স্কুলছাত্রী জানায়, ‘আমার ছবি ব্যবহার করে পর্নো ভিডিও বানানো হয়েছে। সেই ভিডিও দিয়ে আমার পরিবারের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মির্জাপুরের সীমান্ত ও গোপালপুরের সিফাতকে পুলিশ ডেকে এনেছিল। তারা স্বীকারও করেছে। কিন্তু তারপরও তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ধরনের কাজের সঙ্গে আমি জড়িত না সেটার প্রমাণ আমার কাছে আছে।’
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ের ছবি দিয়ে নগ্ন ভিডিও বানিয়ে টাকা দাবি করা হয়েছিল। যে নম্বরগুলোতে টাকা চাওয়া হয়েছিল তাদের পুলিশ ধরেছিল। তারা স্বীকারও করেছে এই ঘটনা। সে সময় মেয়ের মোবাইল চেক করে কোন কিছু পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফেরত দিলেও রোববার রাতে মেয়েকে থানায় নিয়ে যায়। পরে সোমবার পর্নোগ্রাফি মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এটার সঙ্গে মেয়ে জড়িত না।’
ভূঞাপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জি-মেইল দিয়ে একাধিক ফেসবুক আইডি খোলা হয়েছে ওই ছাত্রীর মোবাইল দিয়ে। লোকলজ্জার ভয়ে অনেকেই কিছু বলতে চান না। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী একজন থানায় অভিযোগ করেন। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়। এতে গুগল, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে তদন্তে আইডি’র ব্যবহারকারীর পরিচয় সনাক্ত হওয়ার পরই ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্লাসরুমের সুষ্ঠু বণ্টনের দাবিতে গত দুই দিন ধরে চলা আন্দোলন অবশেষে একটি সমাধানে পৌঁছেছে। গত ১৯ জানুয়ারি, রোববার, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুম ফিরে পাওয়ার আশ্বাসে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত করে। আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীরা তাদের বরাদ্দকৃত ক্লাসরুম থেকে অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদের দাবি জানিয়ে আসছিল।
গত ১৮ জানুয়ারি, শনিবার, শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরেন এবং ১০ মিনিটের জন্য প্রধান ফটকে তালা মেরে প্রতিবাদ জানান। তারা উপাচার্যের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন। তবে পরদিন, রবিবার সকাল ১১টা ৫ মিনিটের মধ্যে দখলকৃত রুমগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ফের অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
বিকেল ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকে গিয়ে ক্যাম্পাস ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করেন। এ সময় চারটায় ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাওয়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন। শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবির প্রতি প্রশাসনের উদাসীনতা তাদের ক্ষুব্ধ করেছে। অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টোরিয়াল বডি এবং দুই বিভাগের সভাপতির উপস্থিতিতে একটি সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী তাহিরা তারমিম প্রাপ্তি বলেন, “ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষগুলো দখল রাখা শুধু বিভাগকেন্দ্রিক সমস্যা নয়, বরং পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা। আমরা আশ্বাস পেয়েছিলাম যে রবিবার সকাল ১১টা ৫ মিনিটের মধ্যে কক্ষ দখলমুক্ত হবে, কিন্তু তা হয়নি। প্রশাসন তাদের কথা রাখতে ব্যর্থ হলে আমরা পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ‘শাটডাউন’ করেছি।”
অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি, বলেন, “আমি উপ-উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ রবীন্দ্র-নজরুল ভবনের পূর্বপার্শ্বের সম্পূর্ণ ফ্লোর নিয়ে থাকবে এবং আমরা পশ্চিম পাশের সম্পূর্ণ ফ্লোর ব্যবহার করবো। এখানে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের যা কিছু রয়েছে, তা সোমবারের মধ্যে স্থানান্তর করা হবে এবং আজ বিকেলের মধ্যেই আমাদের শ্রেণিকক্ষে জিনিসপত্র রাখবো।”
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ