সোমবার, ১৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ইং
০৪:২১ এম
কালিয়াকৈর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে বিদ্যালয়ের সামনে টিনের বেড়া দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলেছেন। অভিযোগ রয়েছে যে, এই বেড়া দেওয়ার ফলে বিদ্যালয়ের মাঠের মধ্যে একটি পাকা সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে, যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য আবারো অনিরাপত্তার সৃষ্টি করবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেনুপুর এলাকায় ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বেনুপুর বজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রায় ১ একর ৩৫ শতাংশ সরকারি জমিতে অবস্থিত। বিদ্যালয়ের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া দেওয়ার বাজার-বেনুপুর আঞ্চলিক সড়কটি বিভিন্ন যানবাহনের চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে ছিল। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার সড়কটি সরানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে সড়কটি বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে পাকা করা হয়। সড়কের এক পাশে বিদ্যালয় এবং অপর পাশে স্থানীয় বাসিন্দাদের জমি ও বাড়িঘর অবস্থিত। সড়কের অপর পাশে গোলাম মোস্তফা শাকিলের তিন তলা বিশিষ্ট ভবন রয়েছে, যা ১৫ বছর আগে নির্মিত। বর্তমানে ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং নিচতলায় পরিবারের সদস্যরা বসবাস করছেন।
তবে, প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি স্থানীয় আফসার উদ্দিন বাবুলের নির্দেশনায় ১০/১২ জন লোক নিয়ে সড়কের অপর পাশে মাত্র ২০ থেকে ২২ ফুট টিনের বেড়া দিয়ে দিয়েছেন। এই বেড়া দেওয়ার ফলে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মোস্তফার পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
এদিকে, সড়কের অপর পাশে বেড়া দেওয়ার ফলে বিদ্যালয়ের ভিতরেই সড়কটি রয়ে গেছে, যা আবারো দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করবে। প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে গত ৫ জুলাইয়ের পর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পরে তাকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হলে ২৪ নভেম্বর তিনি আবারো বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।
এখন তিনি আক্রোসের কারণে তিন তলা ভবনের সামনে টিনের বেড়া দিয়ে বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন। অভিযোগ উঠেছে যে, প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় বিএনপির নেতা একত্রে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সেখানে দোকান বরাদ্দের পায়তারা করছেন।
গোলাম মোস্তফা শাকিল বলেন, "সড়কের এ পাশে মাত্র তিন ফুট স্কুলের জমি হলেও সেখানে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। তারপরও সরকারি সড়কের এ পাশে আক্রোসের কারণে তারা এভাবে টিনের বেড়া দিয়েছেন।"
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ জানান, "শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এবং মাঠটি বড় করতেই সড়কটি সরিয়ে এক পাশে নেওয়া হয়েছে। তবে সড়কের ওই পাশে স্কুলের কিছু জমি আছে, সে সীমানা দিয়ে বেড়া দিচ্ছি।" তিনি দোকান বরাদ্দের কথাটি অস্বীকার করেন।
অপর অভিযুক্ত আফসার উদ্দিন বাবুল বলেন, "স্কুলের ওই জমিটুকু তাকে (মোস্তফা) খেতে দিবো কেন? তাই স্কুল সেখানে বেড়া দিচ্ছে।" তবে দোকান বরাদ্দের পায়তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, "এটি সরকারি সড়ক। সড়কের ওই পাশে এভাবে বেড়া দিলে এটি সঠিক হয়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।"
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দ্বারা সংঘটিত কিছু সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজ একটি প্রতিবাদ লিপি প্রদান করেছেন। এই প্রতিবাদ লিপিতে ৫০ জন শিক্ষক স্বাক্ষর করেছেন।
শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে উক্ত প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে যে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি কিছু অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ও নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শিক্ষকগণ মনে করেন যে, প্রশাসনের উচ্চপর্যায় থেকে এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করা জরুরি।
প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখিত ঘটনার মধ্যে প্রথমত, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে নিয়োগপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যাবলীর প্রশাসনিক তত্ত্বাবধান করবেন। তবে, তার মতামত বা অবজারভেশন গ্রহণ না করেই একাডেমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। উপ-উপাচার্যকে পাশ কাটিয়ে গৃহীত এই সকল সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে ভবিষ্যতে কঠিন আইনি প্রশ্ন উত্থাপিত হতে পারে। ফলে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ মারাত্মকভাবে বিপদগ্রস্ত হতে পারেন। সুতরাং, এই বেআইনি কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে উপ-উপাচার্যের কার্যালয় থেকে সকল বিভাগের চেয়ারম্যানদের নিয়ে একাডেমিক অগ্রগতি সংক্রান্ত একটি সভা আহ্বান করা হয়। তবে, রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত একটি পাল্টা পত্রে উক্ত সভাকে বিধিবর্হিভূত বলা হয়। এই পত্রের যুক্তি এতটাই দুর্বল যে, এর ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ববর্তী একাডেমিক কমিটির সভা, পরীক্ষা কমিটির সভা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক সভা অবৈধ হয়ে যেতে পারে। ফলে, এই পত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কর্মকাণ্ডের জন্য একটি মহা বিপর্যয় হিসেবে দেখা দিয়েছে।
তৃতীয়ত, উপ-উপাচার্যের আহুত সভায় চেয়ারম্যানদের অংশগ্রহণকে চাকরি-সংক্রান্ত বিধিবিধানের পরিপন্থি বলে অভিহিত করা হয়েছে। এই ধরনের চিঠির ভীতিকর ও অপমানকর ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজকে গভীরভাবে ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ করেছে।
শিক্ষকগণ উক্ত প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করেছেন যে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট সত্ত্বেও শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে শিক্ষাকার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা, মনন ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে দেশে-বিদেশে সফলভাবে কর্মক্ষেত্রে নিযুক্ত হতে সক্ষম হয়েছে। এ অবস্থায়, শিক্ষকগণ প্রত্যাশা করেন যে, উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য সকল রকম স্বৈরাচারী মনোবৃত্তি পরিত্যাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতির জন্য ইতিবাচক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন।
এই প্রত্যাশায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজের পক্ষ থেকে উক্ত প্রতিবাদ লিপি জমা দেওয়া হয়েছে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী বাজারে একটি সিএনজির ধাক্কায় আব্দুস সালাম (৮৩) নামক এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনাটি ঘটে রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, বিকেল ৫ টার দিকে।
নিহত আব্দুস সালাম তিলাবদুল মুন্সী পাড়া মহল্লার বাসিন্দা ছিলেন এবং পেশায় মুড়ি বিক্রেতা ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, আব্দুস সালাম বিকেলে বাড়ি থেকে বটতলী বাজারে আসার উদ্দেশ্যে বের হন। এ সময় তিনি প্রধান সড়ক পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তখন জয়পুরহাটগামী দ্রুত গতির একটি সিএনজি তাকে ধাক্কা দেয়।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা দ্রুত আব্দুস সালামকে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। দুর্ভাগ্যবশত, সেখানেই জরুরি বিভাগে তার মৃত্যু ঘটে।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম এ বিষয়ে জানান, সিএনজির ধাক্কায় এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ নেয়ার জন্য একটি আবেদন পেয়েছেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে একটি ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে, যা সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে ঘটে এবং এর ফলে আতঙ্কিত হয়ে বহু মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ধৌলা কুয়ানের দুর্গাবাই দেশমুখ কলেজ অব স্পেশাল এডুকেশনের কাছাকাছি। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৫ কিলোমিটার এবং এর মাত্রা ছিল ৪। তবে, অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, অনুভূত কম্পনের তীব্রতা ৪ মাত্রার চেয়ে বেশি ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেছেন, ‘এটি কি সত্যিই ৪ মাত্রার ভূমিকম্প ছিল?’ অপর একজন ব্যবহারকারী সেখানে প্রতিউত্তরে লিখেছেন, ‘এটি নিশ্চিতভাবেই ৪ মাত্রার চেয়ে বেশি ছিল।’
এদিকে, ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, দিল্লির পাশাপাশি আগ্রা, হরিয়ানা এবং অন্যান্য অঞ্চলেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, এর আগে গত ১১ জানুয়ারি ও ২৩ জানুয়ারি দিল্লিতে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছিল।
ভারতের জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কারণে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক মাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘দিল্লি এবং আশেপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। সবাইকে শান্ত থেকে সুরক্ষাবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। আফটারশকের সম্ভাবনা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে প্রশাসন।’
এই ভূমিকম্পের ঘটনা জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং তারা নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। বিশেষজ্ঞরা ভূমিকম্পের পরবর্তী সম্ভাব্য আফটারশক সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
এখন সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো, তারা যেন সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন এবং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে থাকেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
জামালপুরের নান্দিনায় ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর সেতু নির্মাণের কাজ বর্তমানে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে থমকে গেছে। ২০২২ সালে এই নির্মাণকাজ শুরু হলেও, দুই বছরের মধ্যে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫০ শতাংশ। এর ফলে প্রায় চার লাখ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন এবং তাদের স্বপ্ন পূরণের পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে জামালপুর সদর উপজেলার তুলশীরচর ও লক্ষীরচর ইউনিয়নসহ শেরপুরের চরাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে নান্দিনায় ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর একটি সেতুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এই দাবি পূরণের লক্ষ্যে ২০২২ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ৬০৬ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু করে।
নির্মাণকাজ ২০২৫ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতা এবং ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর থেকে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে স্থানীয়দের চলাচল এবং কৃষিপণ্য পরিবহনে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
লক্ষীরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা ফালু মিয়া বলেন, ‘সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় আমরা অনেক কষ্টে আছি। মালামাল বহন করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
স্থানীয় মজিবর রহমান আরও বলেন, ‘তিন বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখনো হয়নি। আমরা অবহেলিত। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সময়মতো ক্লাস করতে পারছে না। চরাঞ্চলের উৎপাদিত ফসল নদী পারাপার করে আনা কষ্টসাধ্য। ৫০ বছর ধরে সেতুর দাবি জানিয়ে আসছি, দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ চাই।’
এ বিষয়ে জামালপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল ত্রিপুরা জানান, ‘নান্দিনা বাজারের জমি অধিগ্রহণের কিছু সমস্যার কারণে সেতুর নির্মাণকাজ ধীরগতিতে চলছে। মাঠপর্যায়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের বরাদ্দ পাওয়া গেলে নির্ধারিত সময়েই সেতুর কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।’
উল্লেখ্য, প্রায় ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সেতুটির কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ