মঙ্গলবার, ১৪ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং
০৬:২৩ পি.এম
রংপুরের বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বর্তমানে একটি গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, যা হলো নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি পাওয়ার কোম্পানি (নেসকো) কর্তৃক জোরপূর্বক প্রিপেইড মিটার স্থাপন। গ্রাহকদের অভিযোগ, কোনো পূর্ব আলোচনা ছাড়াই এই মিটার স্থাপন করা হচ্ছে এবং প্রতিবাদ জানালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠন এই বিষয়ে লাগাতার আন্দোলন করলেও কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
রংপুর নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায়, যেমন মহন্ত পাড়া, রামপুরা, মধ্য রামপুরা, মতিনের মোর, পার্বতীপুর, শতরঞ্জি পাড়া এবং গুদরিবাজারে অন্তত দেড় হাজার বাড়িতে প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। অধিকাংশ বাড়ি টিনশেড ও আধাপাকা হওয়া সত্ত্বেও পুরাতন মিটার সরিয়ে নতুন মিটার স্থাপন করা হয়েছে কোনো নোটিশ ছাড়াই।
গ্রাহকদের অভিযোগ, তারা মিটার পরিবর্তনের বিষয়ে অস্বীকৃতি জানালেও নেসকো কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক নতুন মিটার স্থাপন করছে। এর ফলে তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ, মধ্য রামপুরা এলাকার বাসিন্দা নাছরিন বেগম জানান, তিনি ৫ জানুয়ারির পর দুই দফায় এক হাজার টাকা রিচার্জ করেও ১২ জানুয়ারি তার ব্যালেন্স শেষ হয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি ইমারজেন্সি রিচার্জে বিদ্যুৎ চালাচ্ছেন।
অন্যদিকে, রামপুরা মহন্ত পাড়ার বাসিন্দা প্রভাত মহন্ত বলেন, "৫ জানুয়ারি আমাদের পাড়ায় নতুন মিটার নিয়ে আসলে আমি নিষেধ করলেও তারা জোর করে মিটার লাগিয়ে দেয়।" মুক্তা মহন্ত একই এলাকার বাসিন্দা, তিনি জানান, "নতুন মিটার লাগানোর পর বিদ্যুৎ না থাকলে আমরা বিদ্যুৎ অফিসে যাই। পুরাতন মিটার পুনরায় লাগানোর কথা বললে অফিসের কর্মকর্তারা বলেন, 'এখন ওই মিটার খুললে আমাদের নামে মামলা করা হবে।'"
পার্বতীপুর এলাকার বাসিন্দা তাজুল ইসলাম জানান, "বিদ্যুৎ অফিস প্রথমে টিনশেড ও আধাপাকা বাড়িগুলোকে টার্গেট করে প্রিপেইড মিটার লাগাচ্ছে। বেশিরভাগ পুরুষ কর্মক্ষেত্রে থাকায় মহিলাদের দিয়ে বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে মিটার লাগানো হচ্ছে।" মতিনের মোর এলাকার বাসিন্দা দুলাল মিয়া বলেন, "যদি আমরা প্রিপেইড মিটার লাগাতে না চাই, তাহলে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন বলেন, পরবর্তীতে এই মিটার ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ করলেও পাওয়া যাবে না।"
এদিকে, অতিরিক্ত দাম, রিচার্জে সমস্যা, হিডেন চার্জসহ বিভিন্ন অসুবিধার কথা জানিয়ে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে গেল এক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে বিভিন্ন সংগঠন। রংপুর বিদ্যুৎ গ্রাহক ফোরামের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন জানান, "এই প্রিপেইড মিটার অত্যন্ত নিম্নমানের হওয়ার পরও গ্রাহকদের কাছ থেকে মিটার বাবদ ১৬ বছর পর্যন্ত প্রতি রিচার্জে ৪০ টাকা করে কাটবে নেসকো।"
তিনি আরও বলেন, "কোনো প্রিপেইড মিটার রংপুরে স্থাপন করতে দেয়া হবে না।" একইসাথে যেগুলো লাগানো হয়েছে সেগুলোও সাত দিনের মধ্যে অপসারণের দাবি জানান তিনি। দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেন গ্রাহক ফোরামের এই নেতা।
রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ বলেন, "বিদ্যুৎ বিভাগ যদি জবরদস্তিমূলকভাবে এই মিটার লাগায় তাহলে গণপ্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে তাদের।" বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করেই সরকারের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, "সাধারণ মানুষ নিতে না চাইলে প্রিপেইড মিটার জোর করে চাপায় দেয়া ঠিক হবে না।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেসকো কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
প্রিপেইড মিটারের অসুবিধাসমূহের মধ্যে রয়েছে:
1. প্রিপেইড মিটারে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে, কারণ গ্রাহকের ডিমান্ড চার্জ, এনার্জি চার্জ, মিটারের ভাড়া এবং ভ্যাট ইত্যাদি বিলের সাথে যুক্ত হয়ে রিচার্জের সাথে কেটে নেয়।
2. বিদ্যুতের ওভারলোডের কারণে অনেক সময় বিদ্যুৎ প্রবাহ আপনাআপনিই বন্ধ হয়ে যায়।
3. ওভারলোড নিতে পারে না বলে, বিভিন্ন বড় অফিস বা কারখানায় এটি ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।
4. ১৬ বছর পর্যন্ত প্রতি রিচার্জে গ্রাহকদের মিটার বাবদ ৪০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
5. সার্ভার ডাউন হলে গ্রাহকদের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় একটি চিকিৎসকের বাড়িতে কেয়ারটেকার ওহাব মাতুব্বরের হত্যার ঘটনা নিয়ে তদন্তের পর রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। জানা গেছে, চুরি করতে গিয়ে কেয়ারটেকারকে দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি সকালে গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য প্রকাশ পায়।
পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গ্রেফতারকৃতরা হলেন: আল আমিন কাজী (৪০), অভি হাওলাদার (২৪) এবং আব্দুর রহমান (২০)। আল আমিন ভাঙ্গা উপজেলার আলেখারকান্দা গ্রামের মৃত রাজ্জাক কাজীর ছেলে, অভি সদরপুর উপজেলার চরব্রাক্ষ্মনদী গ্রামের আব্দুল কাইযুম হাওলাদারের ছেলে এবং আব্দুর রহমান সদরপুর উপজেলার হাজিরকান্দি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ৮ জানুয়ারি ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের আলেখারকান্দা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে কেয়ারটেকার ওহাব মাতুব্বরের (৭০) হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাড়িটির মালিক ঢাকায় বসবাস করায় ওহাব মাতুব্বর ওই বাড়ির দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতেন।
হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশ মাঠে নামে এবং সোমবার আল আমিন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যানুসারে, সদরপুর উপজেলা থেকে অভি হাওলাদার এবং কোতোয়ালি এলাকা থেকে আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও স্ক্রু ড্রাইভার উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানান, তারা ওই বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন। কেয়ারটেকার ওহাব মাতব্বর তাদের দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়। নিহতের বোন নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর ভোর রাতে অভিযুক্ত তিনজন ওই বাড়িতে চুরি করতে যান এবং একই রাতে কেয়ারটেকার ওহাব মাতব্বরকে হত্যা করা হয়। নিহত ওহাব মাতব্বর অবিবাহিত ছিলেন এবং তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী তুজারপুর গ্রামে।
বাড়ির মালামাল চুরি হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার জানান, বাড়ির মালিক মৃত চিকিৎসক জামাল উদ্দিনের মেয়ে ফারহার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানান, বাড়িটিতে কিছু আসবাবপত্র এবং থালাবাসন ছাড়া তেমন কিছুই নেই, ফলে তেমন কিছুই খোয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি সকালে নুরজাহান বেগম ভাইকে দেখতে ভিজানো চিতই পিঠা নিয়ে ওই বাড়িতে যান। ডাকাডাকি করে ভাইকে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন এবং চিকিৎসকের স্ত্রী কামরুন্নাহার হেনাকে মোবাইলে কল করে ভাই কোথায় জিজ্ঞাসা করেন। পরে কামরুন্নাহার হেনা জনৈক মনিরুজ্জামানকে ফোন করে তার বাড়িতে যেতে বলেন। মনিরুজ্জামান আরও কয়েকজনকে নিয়ে ওই বাড়িতে যান। ডাকাডাকি করে ওহাব মাতুব্বরকে না পেয়ে একপর্যায়ে বাড়ির দ্বিতীয় তলার কক্ষের দরজা খোলা পেয়ে ভেতরে দুর্গন্ধ পান। এক পর্যায়ে চিলেকোঠায় রশি দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে ৯৯৯ এ কল করে বিষয়টি জানানো হয়। ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মাদ ইমদাদ হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ বিন কালাম, সহকারী পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) আসিফ ইকবাল, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকছেদুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) অষ্টম আসরে ২২ উইকেট শিকার করে ক্রিকেট বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন ইহসানউল্লাহ। ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বল করার ক্ষমতা নিয়ে তিনি পাকিস্তানের ক্রিকেটের পরবর্তী বড় তারকা হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের ফলে পাকিস্তান জাতীয় দলের জন্য খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল। তবে, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে কনুইয়ের ইনজুরির কারণে তার ক্যারিয়ারে একটি বড় পরিবর্তন আসে।
পিএসএলে আর কখনোই খেলবেন না বলে ঘোষণা করেছেন ইহসানউল্লাহ। তিনি বলেন, "আমি পিএসএল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে চাই না। আমার লক্ষ্য হচ্ছে পিএসএলের ওপর নির্ভর না করেই পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করা।" এই ফাস্ট বোলার ২০২৩ সালের পিএসএলে মুলতান সুলতানসের হয়ে ১৪ ম্যাচে ২২ উইকেট শিকার করেন এবং তার গড় রান ছিল প্রতি ওভারে ৭.৫৯। তার এই পারফরম্যান্স তাকে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে স্থান করে দিয়েছিল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে অভিষেকের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকও ঘটে। কিন্তু ইনজুরির কারণে তার ক্যারিয়ার বাধাগ্রস্ত হয়।
ইহসানউল্লাহ জানান, "অতীতে ভালো পারফরম্যান্স করার পরেও আমাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। যদি আপনি পারফর্ম করেন, তাহলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর উচিত আপনার পেছনে ছোটানো। কিন্তু কেউই আমার কাছে পৌঁছেনি।" তিনি মনে করেন যে ইনজুরির কারণে তার গতির হারানোর আশঙ্কা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আগ্রহকে কমিয়ে দিয়েছে।
তবে, তিনি ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার প্রতিজ্ঞা করেছেন। তিনি বলেন, "আমি ১৫০-১৬০ কিলোমিটার গতিতে বল করব। যারা আমাকে নিয়ে সন্দেহ করছেন যে, আমি ১৩০-১৩৫ কিলোমিটার গতির বোলার, আমি তাদের দেখিয়ে দেব যে, আমি আগের চেয়েও শক্তিশালী। দেড় মাসের মধ্যেই আমি আগের চেয়েও ভালো বোলার হয়ে উঠব।" সোয়াত উপত্যকায় জন্ম নেওয়া ইহসানউল্লাহ সর্বশেষ গত বছর ডিসেম্বরে খেলেছেন এবং ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে চার ম্যাচে মাত্র ২টি উইকেট শিকার করেছেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানান যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্ধারণের দায়িত্ব সরকারের এবং রাজনৈতিক দলের। তিনি উল্লেখ করেন যে, জাতিসংঘ নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চায় না, বরং এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা সরকারের এবং রাজনৈতিক দলের হাতে রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "নির্বাচন কখন হবে, সেটা সরকার ও রাজনৈতিক দল ঠিক করবে।" তিনি আরও বলেন, "আমরা নির্বাচনে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিতে চাই।" জাতিসংঘের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
গোয়েন লুইস জানান, জাতিসংঘ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য কারিগরিসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, "আজ আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী আমরা সহযোগিতা দেব।"
এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন যে, নির্বাচনে সহায়তার জন্য একটি প্রতিনিধিদল আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রাম সফর করবে। সেখানে প্রতিনিধিদল রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে। এই বৈঠকের পর প্রতিনিধিদল একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বর্তমানে তিনি মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী এবং হাসিখুশি অবস্থায় রয়েছেন। হাঁটার সময়ও তিনি নিয়মিতভাবে হাঁটাচলা করছেন। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এবং খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এম এ মালেক এই তথ্য প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে এম এ মালেক বলেন, "মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে সার্বক্ষণিক রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং নাতনি ব্যারিস্টার জায়মা রহমানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য। সবার সঙ্গে খালেদা জিয়ার সময় কাটানো খুব ভালো যাচ্ছে।"
এদিকে, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, নিয়মিত ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, ন্যাপ্রলজি কনসালটেন্ট, হেপাটোলজি কনসালটেন্ট এবং লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন চিকিৎসক প্রতিদিন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে চিকিৎসায় কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
ডা. জাহিদ হোসেন আরও বলেন, "অতীতে বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার যে চিকিৎসা হয়েছে, সেগুলোর কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার লিভার ডিজিজ এবং হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে রিপোর্ট এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।" তিনি উল্লেখ করেন যে, খালেদা জিয়ার সমস্ত রিপোর্ট হাতে পেতে আগামী শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এই সময়ের মধ্যে চিকিৎসকরা পরবর্তী চিকিৎসা সম্পর্কে একটি পরিকল্পনা তৈরি করার চেষ্টা করবেন।
চিকিৎসকরা বর্তমানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় দ্রুত পরিবর্তন আনতে কাজ করছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে দেশের জনগণের উদ্বেগ যেমন রয়েছে, তেমনি এখানকার চিকিৎসকরা তার টেক কেয়ার নিয়ে যথেষ্ট মনোযোগী রয়েছেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ