মঙ্গলবার, ১৪ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং
১১:২৫ পি.এম
মীনা বাজার, একটি সুপরিচিত সুপার শপ, সম্প্রতি সেলসম্যান এবং ক্যাশিয়ার পদে জনবল নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০ জন কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করছে, এবং আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি বা এইচএসসি পাস হতে হবে। এছাড়াও, প্যাকেজিং এবং পণ্য ডেলিভারিতে দক্ষতা থাকা আবশ্যক। ক্যাশিয়ার পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের ক্যাশ কাউন্টার পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
এই চাকরিটি ফুলটাইম এবং কর্মক্ষেত্র হবে আউটলেটে। প্রার্থীদের মধ্যে শুধুমাত্র পুরুষদের আবেদন করার অনুমতি রয়েছে। বয়সসীমা ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে হতে হবে। কর্মস্থল হিসেবে ঢাকা শহরের আফতাবনগর এবং বনশ্রী এলাকা নির্ধারিত হয়েছে।
বেতন কাঠামো অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রার্থীদের মাসিক বেতন ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। এছাড়াও, উপস্থিতি ও খাবারের জন্য সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা ভাতা, লক্ষ্য ভিত্তিক সেলস ইনসেনটিভ, বছরে দুইটি উৎসব বোনাস, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা এবং সপ্তাহে একদিন ছুটির সুবিধা প্রদান করা হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানানো হয়েছে যে, আগ্রহী প্রার্থীরা বিডি জবসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের জন্য সময়সীমা আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ইং তারিখ পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হওয়ার পর দীর্ঘ ১৭ বছর সাত মাস পর, ১৪ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, আদালতের রায়ে খালাস পেয়েছেন। এই রায়ের পর আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী। অন্যদিকে, বাবরের সমর্থকরা উল্লাস প্রকাশ করে মিছিল শুরু করেন।
এই দিন, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বাবরের খালাসের রায় প্রদান করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান। আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান এবং আইনজীবী শিশির মনির।
আইনজীবী শিশির মনির জানান, লুৎফুজ্জামান বাবরকে ৭৮ দিন রিমান্ডে রাখা হয়েছিল। রিমান্ডের সময় রাষ্ট্রপক্ষ তাঁকে চাপ প্রয়োগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িত করে জবানবন্দি দিতে বলেছিল। তবে, বাবর ৭৮ দিন রিমান্ডে থাকার পরও এ ধরনের জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, এই মামলায় তাঁকে আসামি করার পেছনে এটি মূল কারণ।
শিশির মনির আরও বলেন, আদালত আজ একটি অ্যাডভান্স অর্ডার সই করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, আজকের মধ্যে এই আদেশ পৌঁছাবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বাবর কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন। বর্তমানে তিনি কেরানীগঞ্জ কারাগারে অবস্থান করছেন। আদেশ যথানিয়মে পৌঁছানোর পর তাঁর স্বজন, আত্মীয়স্বজন এবং গুণগ্রাহী সকলেই আইন মেনে তাঁকে বাসায় পৌঁছে দেবেন।
এই মামলায় ১৪ জনের সাজা হয়েছিল, এর মধ্যে পাঁচজন খালাস পেয়েছেন এবং পাঁচজনের সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুজনিত কারণে চারজনের আপিল নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।
গত ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের দণ্ড এবং ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট মামলায় খালাস পান বাবর। সর্বশেষ, ১৮ ডিসেম্বর ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পান। বিএনপির এই নেতা দুর্নীতি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের মতো মামলায় দণ্ডিত হয়েছিলেন। তবে, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে লুৎফুজ্জামান বাবর খালাস পান।
লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৫৮ সালের ১০ অক্টোবর নেত্রকোণায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯১ সালে প্রথমবার নেত্রকোণা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এবং সর্বশেষ ২০০১ সালে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় তাঁকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক ইকোনমিক সেক্রেটারির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পদত্যাগপত্রে টিউলিপ সিদ্দিক প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, "প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমার প্রতি আপনি যে আস্থা প্রদর্শন করেছেন, তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।" তিনি মন্ত্রীদের মানদণ্ড বিষয়ক স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, যিনি তার স্বপ্রণোদিত আবেদনটি দ্রুত ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করেছেন।
টিউলিপ উল্লেখ করেছেন যে, স্যার লরি নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি মন্ত্রিত্ববিধি ভঙ্গ করেননি এবং তার মালিকানাধীন বা বসবাসকৃত সম্পত্তি বৈধ উপায় ছাড়া অন্য কোনো উৎস থেকে আসেনি। তিনি আরও বলেন, "আমার পারিবারিক সম্পর্ক সর্বজনবিদিত এবং যখন আমি মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হই, তখন আমি আমার সমস্ত সম্পর্ক এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের তথ্য সরকারের কাছে জমা দিয়েছিলাম।"
তিনি জানান, কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যাপক পরামর্শের পর তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যে, তার ফুপু বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় তাকে বাংলাদেশ সংক্রান্ত বিষয় থেকে বিরত থাকতে হবে, যাতে স্বার্থের সংঘাতের কোনো সন্দেহ না থাকে। টিউলিপ সিদ্দিক আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি এসব বিষয়ে সর্বদা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ছিলেন এবং কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুসারে কাজ করেছেন।
তিনি পদত্যাগপত্রে আরও উল্লেখ করেছেন, "এটি স্পষ্ট যে অর্থনৈতিক সচিব হিসেবে আমার ভূমিকা সরকারি কাজের জন্য একটি বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে।" তিনি তার আনুগত্য লেবার সরকারের প্রতি প্রকাশ করে বলেন, "তাই, আমি আমার মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার কাজ ছিল যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি মোকাবেলা করা। তবে, তার মাতৃভূমি বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, যেখানে তিনি এবং তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া, যুক্তরাজ্যে টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি মন্ত্রী থাকা অবস্থায় খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট গ্রহণ করেছেন। এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে যে, তিনি কোনো বিশেষ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সেই উপহারের ফ্ল্যাট গ্রহণ করেছেন কি না।
এমন পরিস্থিতিতে, প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার জন্য। তবে, হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেটের এমপি টিউলিপ দাবি করেছেন যে, তিনি কোনো ভুল করেননি।
এদিকে, ইউকে অ্যান্টি-করাপশন কোয়ালিশন একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে যে, টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ সরকারের যে দায়িত্ব পালন করছেন এবং তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো স্পষ্টতই গুরুতর ‘স্বার্থের সংঘাত’। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার খালা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে তদন্ত করছে, তাতে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম এসেছে।
যুক্তরাজ্যের দুর্নীতিবিরোধী দাতব্য সংস্থাগুলোর এই জোট আরও বলেছে যে, যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্যতা এবং খ্যাতি রক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন। তবে, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কারণে সৃষ্ট স্বার্থ-সংঘাতে এটি এখন স্পষ্ট নয় যে, তিনি এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অবস্থানে আছেন কি না।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
সম্প্রতি দেশে ফিরে একের পর এক তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে অংশগ্রহণ করছেন প্রখ্যাত ইসলামি বক্তা ও গবেষক ড. মিজানুর রহমান আজহারী। কক্সবাজার, যশোর এবং সিলেটের সফল বয়ানের পর, তিনি এবার লালমনিরহাটে মাহফিলে যোগ দিতে যাচ্ছেন।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তবে আগামী শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি লালমনিরহাটে পৌঁছাবেন এবং যোহর নামাজের পর বয়ান পেশ করবেন। এই মাহফিলকে কেন্দ্র করে লালমনিরহাটের ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। আয়োজকদের ধারণা, মাহফিলে অন্তত ১০ থেকে ১২ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে।
এদিকে, মাহফিলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য বিপুলসংখ্যক আনসার, পুলিশ, র্যাব এবং সেনাবাহিনীসহ আয়োজকদের স্বেচ্ছাসেবকদের বিশাল একটি দল প্রস্তুত রয়েছে।
মিজানুর রহমান আজহারী, যিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিদেশে নির্বাসিত ছিলেন, ৫ আগস্ট দেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকে দেশের মানুষের আগ্রহে বিভিন্ন স্থানে মাহফিল আয়োজন শুরু করেন। তার ধারাবাহিকতায় আগামী শনিবার তিনি লালমনিরহাটে মাহফিল করবেন।
ঐতিহাসিক এই মাহফিলের আয়োজন করছে ইসলামিক সোসাইটি লালমনিরহাট। আয়োজকরা জনসমাগমের কথা মাথায় রেখে দর্শকদের জন্য চারটি মাঠ প্রস্তুত করছেন। জেলার সবচেয়ে বড় সোহরাওয়ার্দী মাঠে মূল মঞ্চ স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া কালেক্টরেট মাঠ, পিসি স্কুল মাঠ এবং নারীদের জন্য জেলা স্টেডিয়াম মাঠ প্রস্তুত করা হচ্ছে। সোহরাওয়ার্দীসহ সকল মাঠে প্রজেক্টরের ব্যবস্থা থাকবে।
এই মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন আব্দুল হাকিম ইসলামিক অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম। জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে দেশ ছাড়ার প্রায় সাড়ে ৪ বছর পর, চলতি বছরের ২ অক্টোবর দেশে ফিরেছিলেন মিজানুর রহমান আজহারী। তবে মাত্র ৯ দিন দেশে অবস্থান করে ১১ অক্টোবর আবারও মালয়েশিয়া চলে যান তিনি।
মিজানুর রহমান আজহারী ১৯৯০ সালের ২৬ জানুয়ারি ঢাকার ডেমরায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লার মুরাদনগরের পরমতলা গ্রামে অবস্থিত।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
ডোনাল্ড ট্রাম্প, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, সম্প্রতি ন্যাটোর সদস্য দেশগুলিকে তাদের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পাঁচ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এই প্রস্তাবের সঙ্গে একমত নন। তিনি বলেন, জার্মানির জন্য জিডিপি-র পাঁচ শতাংশ খরচ করা মানে হবে প্রতিরক্ষায় ২০ হাজার কোটি ইউরো ব্যয় করা, যা জার্মানির মোট ফেডারেল বাজেটের ৫০ হাজার কোটি ইউরোর চেয়ে অনেক বেশি।
শলৎস আরও উল্লেখ করেছেন যে, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করতে হলে কর বৃদ্ধি বা অন্যান্য খাতে ব্যয় কমাতে হবে। তবে, তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, জার্মানির জন্য অন্যান্য খাতে ব্যয় করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, "আমি কখনই পেনশন কমাব না, স্থানীয় সরকার বা যানবাহন পরিকাঠামোর জন্য খরচ ছাঁটাই করব না।"
গত বছর, জার্মানি তাদের জিডিপির দুই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করেছে, যা ঠান্ডা যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো। শলৎস নিশ্চিত করেছেন যে, এই খরচ বজায় রাখা হবে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যারা জিডিপির দুই শতাংশের বেশি ব্যয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তারা সেই অর্থ কোথা থেকে আসবে তা জানাতে হবে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর, শলৎস জার্মানির সেনাবাহিনীর জন্য ১০ হাজার কোটি ইউরোর একটি বিশেষ তহবিল গঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু বাজেট পরিস্থিতি এবং ঘাটতির কারণে তিনি তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি।
জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস, যিনি শলৎসের দলের নেতা, তিনি বলেছেন যে, সেনাবাহিনীর জন্য ব্যয় বৃদ্ধি করা উচিত। তিনি একটি অনুষ্ঠানে বলেন, "আমাদের আগামী দিনে সেনার ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।" তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, ২০২৫ সালে এই প্রবণতা বজায় রাখা হবে এবং পরবর্তী বছরগুলিতে প্রতিরক্ষায় আরও বিনিয়োগ করতে হবে। বর্তমানে, জিডিপির দুই শতাংশ দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং এটি আরও বৃদ্ধি করতে হবে।
এদিকে, রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড ২০২৪ সালে তাদের জিডিপির চার দশমিক দুই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে। অন্যান্য দেশগুলির মধ্যে এস্তোনিয়া জিডিপির তিন দশমিক চার, লাটভিয়া তিন দশমিক ১৫, লিথুয়ানিয়া দুই দশমিক ৮৫ এবং ফিনল্যান্ড দুই দশমিক ৪১ শতাংশ ব্যয় করছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় হচ্ছে তিন দশমিক ৩৭ শতাংশ।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ