ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২০ই মার্চ, ২০২৫খ্রিষ্টাব্দ ০৬ই চৈত্র, ১৪৩২বঙ্গাব্দ ২০ই রমজান, ১৪৪৬হিজরী
বৃহস্পতিবার, ২০ই মার্চ, ২০২৫ইং ০৬ই চৈত্র, ১৪৩২বাং

শরীয়তপুরে এফসিপিএস ডাক্তার কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও সংবাদ প্রচার


শরীয়তপুরে এফসিপিএস ডাক্তার কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও সংবাদ প্রচার

শরীয়তপুরের ১০০ শয্যা সদর হাসপাতালে দায়িত্ব পালনরত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, এফসিপিএস ডক্টর কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে মানহানি করার উদ্দেশ্যে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল এবং স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে অসত্য সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে, সকাল দশটার পরে, ৭০ বছর বয়সী একজন বৃদ্ধ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই সময় হাসপাতালে দায়িত্বে ছিলেন ডাক্তার মোহাম্মদ ইলিয়াস।

রোগীর উপসর্গ দেখে তিনি বুঝতে পারেন যে বৃদ্ধ লোকটির হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। ডাক্তার রোগীটির চিকিৎসা প্রদান করেন, তবে রোগীর কর্তৃপক্ষকে বলেন যে, হার্ট অ্যাটাকের অবস্থা জানার জন্য একটি উন্নত মানের ক্লিনিক থেকে S.Trop I সম্পূর্ণ কোয়ান্টিটিভ মানের টেস্ট রেজাল্ট নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু রোগীর কর্তৃপক্ষ দালালদের দ্বারা প্রতারিত হয়ে শরীয়তপুর সদরের একটি মানহীন মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষাটি করিয়ে নিয়ে আসেন।

ডাক্তার পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট না হওয়ায়, তিনি রোগীর কর্তৃপক্ষকে পুনরায় একটি ভালো ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষাটি করানোর জন্য বলেন। এই বিষয়টি নিয়ে রোগীর কর্তৃপক্ষ এবং ডাক্তার মোহাম্মদ ইলিয়াসের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর কর্তৃপক্ষ মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকপক্ষকে অভিযোগ জানালে, মালিকপক্ষ সাংবাদিক এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে হাসপাতালে এসে ডাক্তার মোহাম্মদ ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করে।

আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ চালক নিহত

এ সময় ভারপ্রাপ্ত আর এম ও ডাক্তার মোহাম্মদ আকরাম এলাহী ডাক্তার কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াসকে নিয়ে এবং সাংবাদিক ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে বসে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করেন। সমাধানকালে ডাক্তার আকরাম এলাহী বলেন, "আমার জানামতে ডাক্তার কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন একজন দক্ষ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। তিনি রোগীদের সেবা প্রদান করেন এবং তাদের সুস্থ করে তোলেন। মাঝে মাঝে রোগীদের সঙ্গে কিছু সমস্যা হয়, যা স্বাভাবিক। আমি তার পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি।"

ডক্টর কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াস দরবারে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, "আমরা সব সময় রোগীর ভালো চাই। চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীর মুখে হাসি ফোটানোই আমাদের সার্থকতা। আমি রোগীটির হার্ট অ্যাটাক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় রেফার করতে পারতাম, কিন্তু আমি নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে রোগীটিকে সুস্থ করতে চেয়েছিলাম।"

এদিকে, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন শিরোনাম করে বলা হয়, "পছন্দের ক্লিনিকে টেস্ট না করায় রিপোর্ট ছুড়ে ফেললেন চিকিৎসক।" এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রকাশিত সংবাদকে তিনি তীব্র নিন্দা জানান। দরবারে সিনিয়র প্রবীণ সাংবাদিক বলেন, "ডাক্তাররা সবসময় রোগীর ভালো চান। হাসপাতালের আশেপাশে কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, যাদের পরীক্ষার উপর আমাদের আস্থা রাখা কঠিন। তবে কিছু ভালো ক্লিনিক রয়েছে, যাদের পরীক্ষার মান উন্নত।"

আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে ২ বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

পরবর্তী খবর

ইন্টারনেটের মূল্য হ্রাসে আইনি নোটিশ জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অনলাইন ডেস্ক

বুধবার, ২৯শে জানুয়ারী, ২০২৫ ইং

১০:৪০ এম


ইন্টারনেটের মূল্য হ্রাসে আইনি নোটিশ জারি

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানসহ ছয়জনকে একটি আইনি নোটিশ প্রেরণ করেছেন। এই নোটিশের উদ্দেশ্য হলো ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) এবং ন্যাশনাল ওয়াইড ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের (এনটিটিএন) মূল্য পুনর্নির্ধারণ এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মান নির্ধারণী বেঞ্চমার্ক স্থাপন করা।

আইনি নোটিশটি ২৮ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানিজিলা রহমান জুঁই মহিউদ্দিন আহমেদের পক্ষে পাঠান। এতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী, বিটিআরসির মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান, বিটিআরসির মহাপরিচালক আশিস কুমার কুণ্ডু, আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (আইআইজিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন এবং সর্বনিম্ন ২০ এমবিপিএস গতিসম্পন্ন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রয়োজন। তবে, সেবার মান নির্ধারণের জন্য আইআইজি ও এনটিটিএনের সেবার মূল্য কমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে আইআইজি এবং এনটিটিএন কাজ করে। এই দুই মাধ্যমের কোয়ালিটি এবং দাম পুনর্নির্ধারণ করা অত্যাবশ্যক। যদিও বিটিআরসি যদি গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমায়, তবে গ্রাহকরা অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হতে পারেন, কিন্তু সেবার মান আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিটিআরসি ২০২১ সালে কিছু আইআইজির জন্য ৩৬৫ টাকা ব্যান্ডউইথ রেট নির্ধারণ করেছিল। বর্তমানে, সকল আইআইজি ১৭০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে সেবা প্রদান করছে। একইভাবে, ২০২১ সালে এনটিটিএনের প্রতি এমবি সর্বনিম্ন ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু বর্তমানে এনটিটিএনরা ৯ থেকে ১২ টাকার মধ্যে ডাটা ক্যাপাসিটি বিক্রি করছে। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দাম কমে যাচ্ছে, কিন্তু বিটিআরসি কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে অনৈতিক সুবিধা প্রদান করছে, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে যে, যদি আইআইজি ও এনটিটিএনের দাম পুনর্নির্ধারণ করে ব্রডব্যান্ড সেবা প্রদানকারীদের সামর্থ্যের মধ্যে আনা যায়, তবে গ্রাহক পর্যায়ে মূল্য কমিয়ে এনে মান নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। গ্রাহকদের কল্যাণার্থে আইআইজি এবং এনটিটিএনের মূল্য পুনর্নির্ধারণ এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মান নির্ধারণে বেঞ্চমার্ক স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যদি সাত দিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হয়, তবে নোটিশ দাতা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবেন।

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

পরবর্তী খবর

দিল্লির ভয়ানক বায়ুদূষণ, ঢাকার পরিস্থিতি কী?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তালাশ বিডি ডেস্ক

বুধবার, ২৯শে জানুয়ারী, ২০২৫ ইং

১০:৪২ এম


দিল্লির ভয়ানক বায়ুদূষণ, ঢাকার পরিস্থিতি কী?

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সম্প্রতি ভয়াবহ বায়ুদূষণের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একই সময়ে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকেও স্বস্তির খবর আসছে না। কয়েক দিন ধরে ঢাকা শহরটি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় উপরের দিকে অবস্থান করছে।

বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের প্রকাশিত তথ্যানুসারে, ঢাকার একিউআই স্কোর ৩৩৬, যা ‘ঝুঁকিপূর্ণ বায়ুদূষণ’ হিসেবে বিবেচিত। একই সময়ে, দিল্লির স্কোর ৪৯৯, যা বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। এছাড়া, চীনের চেংদু শহর ৪২১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় এবং উহান শহর ৩৩৫ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। চংকিং শহরের স্কোর ১৯৭।

একিউআই স্কোরের মানদণ্ড অনুযায়ী, শূন্য থেকে ৫০ স্কোরকে ভালো হিসেবে গণ্য করা হয়। ৫১ থেকে ১০০ স্কোর মাঝারি হিসেবে বিবেচিত, এবং ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ স্কোর ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, যেখানে শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। ৩০১ থেকে ৪০০ স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচিত, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে।

একিউআই সাধারণত দূষণের পাঁচটি প্রধান উপাদানের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়, যেমন বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

ঢাকার বায়ুদূষণের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সাম্প্রতিক সময়ে, শহরের বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য কারণে বায়ুদূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ঢাকাকে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে নিয়ে এসেছে।

এদিকে, ঢাকার বাতাসের মানের অবনতি নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা এবং বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। তারা জনগণকে সচেতন থাকার এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে, ঢাকার বাতাসের মানের অবনতির কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শিশু এবং প্রবীণদের জন্য এটি একটি গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি।

এখন সময় এসেছে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের, যাতে ঢাকার বায়ুদূষণের সমস্যা সমাধান করা যায় এবং জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখা যায়।

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

পরবর্তী খবর

বিনামূল্যের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বই কালোবাজারে বিক্রি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তালাশ বিডি ডেস্ক

বুধবার, ২৯শে জানুয়ারী, ২০২৫ ইং

১০:৪৪ এম


বিনামূল্যের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বই কালোবাজারে বিক্রি!

নতুন বছরের এক মাস অতিবাহিত হলেও, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে এখনও পৌঁছায়নি সকল পাঠ্যবই। এ অবস্থায়, বিনামূল্যের পাঠ্যবইগুলি নীলক্ষেতসহ বিভিন্ন বইয়ের দোকানে কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, বই সরবরাহে দেরির সুযোগ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিক্ষাবিদরা সতর্ক করেছেন যে, দ্রুত বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো না গেলে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য অব্যাহত থাকবে।

রাজধানীর নীলক্ষেতের বিভিন্ন দোকানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল পাঠ্যবই সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। আইন অনুযায়ী, এসব বই বিক্রি একটি দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও, দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এই বিক্রি চলছে। বই বিক্রেতাদের দাবি, অভিভাবক কিংবা স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে তারা মূল কপি সংগ্রহ করে দেন অথবা পিডিএফ থেকে প্রিন্ট করে বিক্রি করছেন।

নতুন বছরের শিক্ষা কার্যক্রম হাতে গোনা কিছু বই দিয়ে শুরু হলেও, মাস পেরিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীরা এখনও সকল বই পায়নি। ফলে, শুধু ঢাকার নীলক্ষেত নয়, সারা দেশেই বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিক্রি হচ্ছে। এমনকি, ঢাকায় বই ছাপিয়ে তা বিক্রির জন্য সারা দেশে পাঠানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বই জব্দ করেছে।

শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো না পৌঁছানোর কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান মন্তব্য করেছেন যে, যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের দূরদর্শিতার অভাব রয়েছে এবং তারা তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

এনসিটিবি জানাচ্ছে, অসাধু প্রেস মালিকরা সঠিক সময়ে বই সরবরাহ না করে তা কালোবাজারে বিক্রি করছেন। এই কার্যক্রমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম রিয়াজুল হাসান বলেছেন, গুটিকয়েক অসাধু প্রিন্টার ও ব্যবসায়ীরা এই কাজটি করছেন এবং এটি বন্ধ করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। তিনি আরও জানান, দ্রুত শিক্ষার্থীদের হাতে সকল বই পৌঁছাতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

পরবর্তী খবর

লেবাননে যুদ্ধবিরতি চলাকালীন ইসরায়েলি বিমান হামলা, ২৪ জন আহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বুধবার, ২৯শে জানুয়ারী, ২০২৫ ইং

১০:৪৫ এম


লেবাননে যুদ্ধবিরতি চলাকালীন ইসরায়েলি বিমান হামলা, ২৪ জন আহত

লেবাননে যুদ্ধবিরতির পরিস্থিতির মধ্যে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দক্ষিণ লেবাননের নাবাতিহে এই হামলা চালানো হয়, যা লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

রয়টার্স এবং আনাদোলুর পৃথক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একটি ড্রোন নাবাতিহের আল-ফাওকার আল-রাওদাত স্কুলের নিকটবর্তী একটি রাস্তায় একটি পিকআপ ট্রাককে লক্ষ্য করে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই হামলায় পিকআপ ট্রাকটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায় এবং আশপাশে পার্ক করা অন্যান্য গাড়িগুলোও আগুনে পুড়ে যায়। হামলার ফলে ওই এলাকায় চলাচলরত কয়েকজন নাগরিক আহত হন। ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণের শব্দ আশপাশের এলাকায় ব্যাপকভাবে প্রতিধ্বনিত হয়।

নাবাতিহের আল-ফাওকার মেয়র ইয়াসির গান্দুর এই হামলার বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, ইসরায়েলি শত্রুরা বেসামরিক নাগরিকদের এবং শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসরত বাসিন্দাদের লক্ষ্যবস্তু করছে। তিনি এই ধরনের হামলাকে অত্যন্ত নিন্দনীয় হিসেবে উল্লেখ করেন।

লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি নাবাতিহে হওয়া এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি ইসরায়েলের সঙ্গে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন। মিকাতির অফিস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লেবাননের নেতারা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিতে ইসরায়েলের ওপর দৃঢ় চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই ইসরায়েলি সামরিক চৌকি ও ভূখণ্ডে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও তাদের মিত্ররা। এই সংঘাতে লেবাননে প্রায় চার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং ইসরায়েলি হামলার ফলে প্রায় ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

আর্কাইভ

Please select a date!

নামাজের সময়সূচী

তারিখঃ ২০ই রমজান, ১৪৪৬হিঃ
ফজর ০৪:৪৭
জোহর ১২:০৭
আসর ০৪:২৮
মাগরিব ০৬:১০
ইশা ০৭:২০
সূর্যোদয় : ০৬:০৩ সূর্যাস্ত : ০৬:১০
অনলাইন জরিপ
ফলাফল
থার্টি-ফার্স্ট নাইটে তরুণদের জন্য প্রকাশ্যে পানি-টানি খাওয়ার বিরুদ্ধে আহ্বান। আপনার মন্তব্য দিন
হ্যা
100%
না
0%
মন্তব্য নেই
0%