শনিবার, ১ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ইং
১১:৫৮ পি.এম
বর্তমান পরিস্থিতিতে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন ধরনের চালের দাম, সরু থেকে মোটা, বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত এক মাসে সব জাতের চালের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১২ টাকা বেড়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মিনিকেট চাল মানভেদে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, নাজিরশাইল জাতের চালের খুচরামূল্য মানভেদে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। মাঝারি বা ব্রি-২৮ ও পায়জাম জাতের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৬ টাকায়। এই অবস্থায় বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকে ৭ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ৩ লাখ টন গম আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে রয়েছে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়া, হাট-বাজার-সড়কে অব্যাহত চাঁদাবাজি, আমদানি করা চালের অভাব, সরকারের সংগ্রহ টার্গেট পূরণে ব্যর্থতা, এবং কয়েক স্তরে হাতবদল। সূত্র জানাচ্ছে, চালের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে ধানসহ চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে চালের উৎপাদন খরচ ১২ শতাংশ বেড়েছে। যদি এটি সত্য হয়, তবে স্বাভাবিকভাবেই চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কথা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবহন খরচ, কৃষি শ্রমিকের মজুরি, কৃষি যন্ত্রপাতির দাম, সার ও কীটনাশকের দাম, এবং ক্ষেতে পানি সরবরাহের জন্য ডিজেল, কেরোসিন ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। এছাড়া, সার্বিকভাবে জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে চালের দাম বেড়েছে। কৃষককে ধান বা চাল বিক্রি করেই সারা বছর জীবন চালাতে হয়, তাই বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে চাল ছাড়া অন্য পণ্য কিনতে হলে কৃষককে ধান ও চাল বিক্রি করেই উপার্জন করতে হবে।
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে না আসার পেছনে চাঁদাবাজির বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র জানাচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের নানামুখী উদ্যোগ সত্ত্বেও চাঁদাবাজি কমেনি। হাতবদলের পরে চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, যার প্রভাব বাজারে পড়ছে। ফলে ব্যবসায়ীরা চালসহ প্রায় সব ধরনের পণ্য চড়া দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের হাটে, বাজারে, সড়কে, মহাসড়কে, আড়তে, পাইকারি বাজারে, খুচরা বাজারে এবং মহল্লার দোকানে বিভিন্ন কায়দায় চাঁদা দিতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজির কারণে পণ্যের দাম ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি হওয়ায় সরকারের সিদ্ধান্তের পরেও চাল আমদানি পরিস্থিতি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি, ফলে চালের বাজারে প্রভাব পড়ছে। উৎপাদনকারী কৃষকের মাঠ থেকে খুচরা বিক্রেতার মাধ্যমে ভোক্তার হাতে চাল পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কয়েক স্তরে হাতবদল হয়। প্রত্যেক স্তরেই মুনাফা লাভের কারণে সার্বিকভাবে বেড়ে যায় চালের দাম।
সরকারের উদ্যোগ সত্ত্বেও হাতবদলের এই স্তর সংখ্যা কমানো যাচ্ছে না। কৃষকের গোলার ধান মিলারদের কাছে যায়, সেখান থেকে মোকামের আড়তদার, তারপর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের চালের আড়তদার, পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী, এবং শেষে খুচরা ব্যবসায়ী হয়ে ভোক্তার হাতে পৌঁছায় চাল। পরিবহন খরচ বাদ দিয়ে প্রত্যেক স্তরেই কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা মুনাফা ধরে হাতবদল হওয়ার কারণে প্রতি কেজি চালের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে যায়। ফলে ৫০ টাকার চালের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫ থেকে ৭০ টাকা।
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে না আসার আরেকটি কারণ হলো সরকারি মজুদ কম হওয়া। খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানিয়েছেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চাল সংগ্রহে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, চালের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি কৃষি উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি সরু ও মোটা চালের দাম বৃদ্ধির তথ্য দিয়েছেন এবং দাম বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেটের হাত থাকার কথাও উল্লেখ করেছেন। চালের দাম নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকার গত ৩১ অক্টোবর আমদানি শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করে। কিন্তু চালের বাজারে তার দৃশ্যমান প্রভাব নেই। গত ৭ জানুয়ারি ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এছাড়া, গত ২৫ ডিসেম্বর ভারত থেকে ২৪ হাজার ৬৯০ টন সিদ্ধ চাল এবং ১২ জানুয়ারি ২৬ হাজার ৯৩৫ মেট্রিক টন চালের আরেকটি চালান এসেছে। কিন্তু এসব উদ্যোগ চালের বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে পারেনি।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
বিপিএলে ফিক্সিংয়ের গুঞ্জন নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ মন্তব্য করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, নতুন নেতৃত্বের অধীনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ভক্তদের জন্য নতুন ধারার বিপিএল আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিলেও, বাস্তবে এবারের বিপিএল অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে হতাশাজনক অবস্থায় রয়েছে।
এবারের বিপিএলে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ নতুন নয়, তবে এত সংখ্যক খেলোয়াড় এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে অভিযোগ আগে কখনোই ওঠেনি। চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজির আটটি ম্যাচকে কেন্দ্র করে এবারের বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে, যা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এর অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট ইতোমধ্যে এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত চলমান অবস্থায় আসিফ মাহমুদ বলেন, "এনএসসি থেকে একটি সত্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফিক্সিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বিসিবি একটি স্বাধীন স্বতন্ত্র কমিটি গঠন করবে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা বিসিবিকে যথাসম্ভব সহযোগিতা প্রদান করব। যত দ্রুত সম্ভব এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলোর সমাধান করা হবে।"
এছাড়া, এবারের বিপিএল শুধু ফিক্সিংয়ের কারণে নয়, খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বকেয়া রাখার বিষয়েও আলোচনায় এসেছে। আসিফ মাহমুদ বলেন, "আমরা রাজশাহীর মালিকের সাথে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি পেমেন্টটি ক্লিয়ার করবেন। যদি তিনি পরবর্তীতে পেমেন্ট না করেন, তাহলে আমাদের আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি স্পষ্টভাবে বলেছি যে, যদি আপনারা পেমেন্ট করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আমাদের আইনি প্রক্রিয়ার দিকে যেতে হবে।"
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনে সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ব্যক্তিরা। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা এই অবরোধ শুরু করেন। এ সময় পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কের দুই লেনই বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে আগারগাঁও থেকে শিশু মেলা লিংক রোডে যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পঙ্গু হাসপাতাল, নিউ সায়েন্স ও চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শতাধিক আহত ব্যক্তি রাস্তায় নেমে এসেছেন। তারা সড়কে শুয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন এবং কেউ কেউ স্ট্রেচারে ভর করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের স্লোগানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দালালি না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আস্থা নাই রে আস্থা নাই’ ইত্যাদি।
আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের কারণে আগারগাঁওগামী ও আগারগাঁও থেকে শিশুমেলা মোড় পর্যন্ত লিংক রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে গাড়িগুলোকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা যানজটের সৃষ্টি করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আহতদের মধ্যে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে পতন ঘটানোর আন্দোলনের আহতরা টাকা-পয়সা কিছুই চাই না, শুধু সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন চাই। শেখ হাসিনার পতনের পর যে সরকার আমাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারেনি তাদের কাছে আমাদের আর কোনো আস্থা নাই।’
এ সময় আহতরা জানান যে, তারা উপদেষ্টাদের প্রতি কোনো আস্থা রাখেন না, এবং এজন্যই তারা আজ রাস্তায় নেমেছেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণার সংগীত 'জয় বাংলা জিতবে এবার নৌকা' গানের সাথে ছাত্রীদের নাচ ও গানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
ভিডিওটি ২০ সেকেন্ডের একটি অংশ, যা শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এবং মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার (২৬ জানুয়ারি) ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান মোল্লা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, প্রতিযোগিতার দিন অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে একদল মেয়ে উল্লাস করছে, এবং মাইকে বাজছে গান 'কোটি মানুষের একটাই ডিসিশন, জিতবে নৌকা নাই কোন টেনশন, জয় বাংলা জিতবে এবার নৌকা।' প্রথমে ভিডিওটি এডিট করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও পরে জানা যায় যে, এটি ওই অনুষ্ঠানের একটি মুহূর্তের ধারণা। ঘটনার পাঁচ দিন পরে আল আমীন রহমান নামে এক ব্যক্তি ভিডিওটি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন, যিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
এ বিষয়ে ভিডিও পোস্টকারী আল আমীন রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি তার ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসিমা বেগম বলেন, ওইদিন দুপুরে টিফিনের সময় মেয়েরা স্কুলের মাঠে আনন্দ করছিল। এ সময় মাইকে অন্য গান বাজছিল। হঠাৎ করে ওই গানটি মাইকে বেজে ওঠে। বিষয়টি টের পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মাইকের গানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি এ ঘটনাকে অসাবধানতাবশত ঘটেছে বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, "এটি ইচ্ছাকৃত নয়।"
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি সত্যি। তবে আমাদের প্রশ্ন, ওই ভিডিওটি ধারণ করল কে এবং সেটি প্রচার করল কে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক পাপড়ি বাড়ৈকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে রোববারের (০২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
লোকসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন, যিনি লালন-সম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি হয়েছেন। তার স্বামী, যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে, এবং জানা গেছে যে তার ফুসফুসে পানি জমেছে। এ ছাড়া, তিনি বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। তীব্র শ্বাসকষ্টের কারণে শনিবার ভোরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিকভাবে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন এবং তার অবস্থার গুরুতরতা বিবেচনা করে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করেন।
ফরিদা পারভীনের ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে, এবং তার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যা রয়েছে। বর্তমানে তিনি একজন বক্ষব্যাধি, কিডনি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে তার অবস্থা কিছুটা জটিল, এবং তাকে ডায়ালাইসিসের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ফরিদা পারভীনের চিকিৎসক, আশীষ কুমার চক্রবর্তী, বলেন, ‘তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ফরিদা পারভীনকে ভর্তি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার ফুসফুস আক্রান্ত, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং থাইরয়েডের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যা আছে।’
উল্লেখ্য, ফরিদা পারভীন ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত পরিবেশন শুরু করেন। ১৯৭৩ সালের দিকে তিনি দেশের গান গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ১৯৮৭ সালে সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক লাভ করেন। ২০০৮ সালে, জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। ১৯৯৩ সালে সিনেমার গানের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ