সোমবার, ২০ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং
০৯:৫৫ পি.এম
দেশে খাদ্যপণ্যের বাজার ক্রমাগত সম্প্রসারিত হওয়ার ফলে গম আমদানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৪ সালে বিশ্ববাজারে গমের দাম নিম্নমুখী থাকায়, আমদানিকারকরা রেকর্ড পরিমাণ গম আমদানি করেছেন। গত বছর প্রায় ৭২ লাখ ৭৫ হাজার টন গম আমদানি করা হয়েছে, যা ২০২৩ সালে আমদানি করা ৫৪ লাখ ১৭ হাজার টনের তুলনায় প্রায় ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি। এটি গত আট বছরে আমদানির বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হার।
সরকারি এবং বেসরকারি উভয় খাতেই গম আমদানি করা হয়। ২০২৪ সালে সরকারি খাতে গম আমদানি ২০২৩ সালের তুলনায় ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় নয় লাখ টনে পৌঁছেছে। অপরদিকে, বেসরকারি খাতে গম আমদানি প্রায় ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৩ লাখ ৭৭ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশে গমের চাহিদার ১৪-১৫ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়, এবং বাকি ৮৫ শতাংশ আমদানি করা হয়। গত বছর উৎপাদন ও আমদানি মিলিয়ে গমের সরবরাহ ছিল ৮৪ লাখ ৪৭ হাজার টন, যা এখন পর্যন্ত সর্বাধিক। গত বছর রাশিয়া থেকে আমদানি হওয়া গমের অর্ধেকই এসেছে, যা মোট আমদানির প্রায় ৫০ শতাংশ।
সূত্র জানায়, দেশের মানুষ বর্তমানে গমের খাদ্যপণ্য বেশি গ্রহণ করছে। স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে মানুষ ভাতের তুলনায় গমের খাবারের প্রতি বেশি ঝুঁকছে। ধনীদের খাবারের তালিকায় রুটি প্রাধান্য পাচ্ছে, এবং দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রতিবছর আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে, ফলে তারা এক বেলা ভাতের পরিবর্তে রুটি গ্রহণ করছেন। বর্তমানে দেশে প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছে।
দামের কারণে গরিব মানুষও আটার রুটির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, কারণ বাজারে চালের তুলনায় আটার দাম কম। তবে, গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরের মানুষ গমের খাদ্যপণ্য বেশি গ্রহণ করছে। ছয় বছরের ব্যবধানে শহরে গমের খাবারের ব্যবহার ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে চালের ভোগ ১০ দশমিক ৪৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী গ্রুপগুলো এখন খাদ্যপণ্যের বাজারে নজর দিচ্ছে। চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এসব শিল্প গ্রুপ খাদ্যপণ্য তৈরির জন্য প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ গম আমদানি করছে। খাদ্যপণ্য তৈরিতে শুধুমাত্র প্রাণ-আরএফএল গ্রুপেরই বছরে দেড় লাখ টনের বেশি আটার প্রয়োজন হয়। এই খাদ্যপণ্য দেশীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। বর্তমানে নুডলস, বিস্কুট, পাউরুটি, চানাচুরসহ শুকনা খাবার এবং হিমায়িত খাদ্যপণ্য গম দিয়ে তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশে তৈরি খাদ্যপণ্য বর্তমানে বিশ্বের ৯৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে, যার ফলে বছরে রপ্তানি আয় প্রায় ২০ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে শুকনা খাবার রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১১ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি।
এদিকে, ব্যবসায়ীদের মতে, দেশে গমের তৈরি খাদ্যপণ্যের বিশাল শিল্প গড়ে উঠেছে। দেশীয় ভোগের পাশাপাশি গমের তৈরি খাদ্যপণ্য রপ্তানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গম আমদানি বাড়লে খাদ্যপণ্য তৈরির বড় কারখানা, বেকারি, কনফেকশনারি ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কর্মব্যস্ততা বৃদ্ধি পায়। গমের উপজাত ভুসি প্রাণী ও পশুখাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ আমিষযুক্ত গমেরও ব্যবহার হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গম আমদানি বাড়ানোর বিষয়টি ইতিবাচক। সরকার গত বছর খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গম আমদানি বৃদ্ধি করেছে, এবং বেসরকারি খাতেও গমের ব্যবহার বেড়েছে। গমের তৈরি পণ্যে মূল্য সংযোজন হচ্ছে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
দিনাজপুরের বিরলে, আসাদুল হক বাবুর মরদেহ দাফনের পাঁচ মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। গত ২০ জানুয়ারী, ২০২৫ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইইশতিয়াক আহমেদ এর উপস্থিতিতে এই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। আসাদুল হক বাবু, যিনি জুলাই আগস্ট বিপ্লবে ঢাকায় নিহত হন, তার মরদেহ বিরল উপজেলার ভান্ডারা ইউনিয়নের পাকুড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয় এবং দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ সময় ঢাকা সিআইডি’র ইন্সপেক্টর ইরফান আলী এবং বিরল থানার ওসি আব্দুস ছবুর উপস্থিত ছিলেন। সিআইডি’র ইন্সপেক্টর ইরফান আলী জানান, আসাদুল হক বাবুর মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। তাই বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহটি উত্তোলন করা হয়েছে। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে মরদেহটি পাঠানো হবে এবং ময়নাতদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে মিছিলে যোগদানের উদ্দেশ্যে আসাদুল হক বাবু বের হন। তিনি যখন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছান, তখন গুলির আঘাতে তিনি নিহত হন। পরবর্তীতে, তার পিতা জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার দায়িত্ব পরে সিআইডিকে দেওয়া হয় এবং মামলার প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় জ্ঞানগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসা হলরুমে ভোটগ্রহণের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক লুৎফর রহমান।
এ নির্বাচনে মোট ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সভাপতি পদে নির্বাচিত হন আমিনুল ইসলাম, যিনি ৯০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন একরামুল ইসলাম, যিনি ৭৫ ভোট অর্জন করেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো: জাহাঙ্গীর আলম, যিনি ৭২ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল আলিম আলম, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোকারুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শাহ নুরে আলম সিদ্দিকী, যুগ্ম আহবায়ক শাহেদুর রহমান, মোবাইদুল ইসলাম, আবু সাঈদ এবং রানা সরকার। তাদের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
পীরগাছা উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে বিএনপির নির্বাচন একটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় ইটাকুমারী হাইস্কুলের হলরুমে সকাল থেকে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জাকির আহম্মেদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মান্নান সরদার, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক, সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা গোলাপ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা, যুগ্ম আহবায়ক গোলাপ পাটোয়ারী, দেলোয়ার হোসেন, নাজিউর রহমান এবং মিঠুন মিয়া। তারা নির্বাচনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন।
এ নির্বাচনে মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম ৯৪ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া ৭০ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সিরাজুল ইসলাম এবং গোলজার রহমান ৭৮ ভোট পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে একটি শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান এবং দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানটি ২০ জানুয়ারি সোমবার রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের মুক্ত মঞ্চে আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শাহাজাহান আলী। তিনি বক্তব্যে শহীদ জিয়াউর রহমানের অবদান ও রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান, সম্পাদক আল্লামা আল ওয়াদুদ বিন নুর আলিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর বকুল মজুমদার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলী, মহিলা দলের আহবায়ক মনিরা বিশ্বাসসহ যুবদল, ছাত্রদল এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শীতবস্ত্র বিতরণের পর দোয়া অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ শহীদ জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলো সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ