মঙ্গলবার, ১৪ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং
০৬:২৪ পি.এম
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় একটি চিকিৎসকের বাড়িতে কেয়ারটেকার ওহাব মাতুব্বরের হত্যার ঘটনা নিয়ে তদন্তের পর রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। জানা গেছে, চুরি করতে গিয়ে কেয়ারটেকারকে দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি সকালে গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য প্রকাশ পায়।
পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গ্রেফতারকৃতরা হলেন: আল আমিন কাজী (৪০), অভি হাওলাদার (২৪) এবং আব্দুর রহমান (২০)। আল আমিন ভাঙ্গা উপজেলার আলেখারকান্দা গ্রামের মৃত রাজ্জাক কাজীর ছেলে, অভি সদরপুর উপজেলার চরব্রাক্ষ্মনদী গ্রামের আব্দুল কাইযুম হাওলাদারের ছেলে এবং আব্দুর রহমান সদরপুর উপজেলার হাজিরকান্দি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ৮ জানুয়ারি ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের আলেখারকান্দা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে কেয়ারটেকার ওহাব মাতুব্বরের (৭০) হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাড়িটির মালিক ঢাকায় বসবাস করায় ওহাব মাতুব্বর ওই বাড়ির দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতেন।
হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশ মাঠে নামে এবং সোমবার আল আমিন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যানুসারে, সদরপুর উপজেলা থেকে অভি হাওলাদার এবং কোতোয়ালি এলাকা থেকে আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও স্ক্রু ড্রাইভার উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানান, তারা ওই বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন। কেয়ারটেকার ওহাব মাতব্বর তাদের দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়। নিহতের বোন নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর ভোর রাতে অভিযুক্ত তিনজন ওই বাড়িতে চুরি করতে যান এবং একই রাতে কেয়ারটেকার ওহাব মাতব্বরকে হত্যা করা হয়। নিহত ওহাব মাতব্বর অবিবাহিত ছিলেন এবং তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী তুজারপুর গ্রামে।
বাড়ির মালামাল চুরি হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার জানান, বাড়ির মালিক মৃত চিকিৎসক জামাল উদ্দিনের মেয়ে ফারহার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানান, বাড়িটিতে কিছু আসবাবপত্র এবং থালাবাসন ছাড়া তেমন কিছুই নেই, ফলে তেমন কিছুই খোয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি সকালে নুরজাহান বেগম ভাইকে দেখতে ভিজানো চিতই পিঠা নিয়ে ওই বাড়িতে যান। ডাকাডাকি করে ভাইকে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন এবং চিকিৎসকের স্ত্রী কামরুন্নাহার হেনাকে মোবাইলে কল করে ভাই কোথায় জিজ্ঞাসা করেন। পরে কামরুন্নাহার হেনা জনৈক মনিরুজ্জামানকে ফোন করে তার বাড়িতে যেতে বলেন। মনিরুজ্জামান আরও কয়েকজনকে নিয়ে ওই বাড়িতে যান। ডাকাডাকি করে ওহাব মাতুব্বরকে না পেয়ে একপর্যায়ে বাড়ির দ্বিতীয় তলার কক্ষের দরজা খোলা পেয়ে ভেতরে দুর্গন্ধ পান। এক পর্যায়ে চিলেকোঠায় রশি দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে ৯৯৯ এ কল করে বিষয়টি জানানো হয়। ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মাদ ইমদাদ হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ বিন কালাম, সহকারী পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) আসিফ ইকবাল, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকছেদুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) অষ্টম আসরে ২২ উইকেট শিকার করে ক্রিকেট বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন ইহসানউল্লাহ। ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বল করার ক্ষমতা নিয়ে তিনি পাকিস্তানের ক্রিকেটের পরবর্তী বড় তারকা হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের ফলে পাকিস্তান জাতীয় দলের জন্য খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল। তবে, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে কনুইয়ের ইনজুরির কারণে তার ক্যারিয়ারে একটি বড় পরিবর্তন আসে।
পিএসএলে আর কখনোই খেলবেন না বলে ঘোষণা করেছেন ইহসানউল্লাহ। তিনি বলেন, "আমি পিএসএল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে চাই না। আমার লক্ষ্য হচ্ছে পিএসএলের ওপর নির্ভর না করেই পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করা।" এই ফাস্ট বোলার ২০২৩ সালের পিএসএলে মুলতান সুলতানসের হয়ে ১৪ ম্যাচে ২২ উইকেট শিকার করেন এবং তার গড় রান ছিল প্রতি ওভারে ৭.৫৯। তার এই পারফরম্যান্স তাকে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে স্থান করে দিয়েছিল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে অভিষেকের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকও ঘটে। কিন্তু ইনজুরির কারণে তার ক্যারিয়ার বাধাগ্রস্ত হয়।
ইহসানউল্লাহ জানান, "অতীতে ভালো পারফরম্যান্স করার পরেও আমাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। যদি আপনি পারফর্ম করেন, তাহলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর উচিত আপনার পেছনে ছোটানো। কিন্তু কেউই আমার কাছে পৌঁছেনি।" তিনি মনে করেন যে ইনজুরির কারণে তার গতির হারানোর আশঙ্কা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আগ্রহকে কমিয়ে দিয়েছে।
তবে, তিনি ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার প্রতিজ্ঞা করেছেন। তিনি বলেন, "আমি ১৫০-১৬০ কিলোমিটার গতিতে বল করব। যারা আমাকে নিয়ে সন্দেহ করছেন যে, আমি ১৩০-১৩৫ কিলোমিটার গতির বোলার, আমি তাদের দেখিয়ে দেব যে, আমি আগের চেয়েও শক্তিশালী। দেড় মাসের মধ্যেই আমি আগের চেয়েও ভালো বোলার হয়ে উঠব।" সোয়াত উপত্যকায় জন্ম নেওয়া ইহসানউল্লাহ সর্বশেষ গত বছর ডিসেম্বরে খেলেছেন এবং ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে চার ম্যাচে মাত্র ২টি উইকেট শিকার করেছেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানান যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্ধারণের দায়িত্ব সরকারের এবং রাজনৈতিক দলের। তিনি উল্লেখ করেন যে, জাতিসংঘ নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চায় না, বরং এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা সরকারের এবং রাজনৈতিক দলের হাতে রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "নির্বাচন কখন হবে, সেটা সরকার ও রাজনৈতিক দল ঠিক করবে।" তিনি আরও বলেন, "আমরা নির্বাচনে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিতে চাই।" জাতিসংঘের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
গোয়েন লুইস জানান, জাতিসংঘ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য কারিগরিসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, "আজ আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী আমরা সহযোগিতা দেব।"
এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন যে, নির্বাচনে সহায়তার জন্য একটি প্রতিনিধিদল আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রাম সফর করবে। সেখানে প্রতিনিধিদল রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে। এই বৈঠকের পর প্রতিনিধিদল একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বর্তমানে তিনি মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী এবং হাসিখুশি অবস্থায় রয়েছেন। হাঁটার সময়ও তিনি নিয়মিতভাবে হাঁটাচলা করছেন। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এবং খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এম এ মালেক এই তথ্য প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে এম এ মালেক বলেন, "মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে সার্বক্ষণিক রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং নাতনি ব্যারিস্টার জায়মা রহমানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য। সবার সঙ্গে খালেদা জিয়ার সময় কাটানো খুব ভালো যাচ্ছে।"
এদিকে, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, নিয়মিত ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, ন্যাপ্রলজি কনসালটেন্ট, হেপাটোলজি কনসালটেন্ট এবং লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন চিকিৎসক প্রতিদিন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে চিকিৎসায় কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
ডা. জাহিদ হোসেন আরও বলেন, "অতীতে বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার যে চিকিৎসা হয়েছে, সেগুলোর কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার লিভার ডিজিজ এবং হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে রিপোর্ট এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।" তিনি উল্লেখ করেন যে, খালেদা জিয়ার সমস্ত রিপোর্ট হাতে পেতে আগামী শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এই সময়ের মধ্যে চিকিৎসকরা পরবর্তী চিকিৎসা সম্পর্কে একটি পরিকল্পনা তৈরি করার চেষ্টা করবেন।
চিকিৎসকরা বর্তমানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় দ্রুত পরিবর্তন আনতে কাজ করছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে দেশের জনগণের উদ্বেগ যেমন রয়েছে, তেমনি এখানকার চিকিৎসকরা তার টেক কেয়ার নিয়ে যথেষ্ট মনোযোগী রয়েছেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
মডেল ও অভিনেত্রী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব, যিনি তিন্নি নামে পরিচিত, তাঁর হত্যা মামলায় বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভির খালাসের রায় ঘোষণা করেছে আদালত। এই রায়ের বিষয়ে তিন্নির বাবা, মামলার বাদী সৈয়দ মাহবুব করিম, অবগত ছিলেন না। তিনি জানিয়েছেন যে, রায়ের খবরটি তিনি প্রথমে একটি সাংবাদিকের মাধ্যমে জানতে পারেন।
ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহীনুর আক্তার ২২ বছর পর এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আসামি অভির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীত প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে, যার কারণে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পূর্বে চার্জশীটের ৪১ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম বলেন, "আজ রায় তা আমি জানতামই না। আমাকে কেউ জানায়নি। রায় হওয়ার পর এক সাংবাদিক আমাকে ফোন করে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিষয়টি জানতে পারি।" তিনি অভিযোগ করেন যে, তিন্নি হত্যার পর অভিকে বিদেশ পালাতে সাহায্য করে তৎকালীন সরকার। তিনি আরও বলেন, "আমার মেয়েকে যে খুন করা হয়েছে সেটা তো সত্য। তাহলে আমার মেয়ের খুনি কে? তা জানার অধিকার কি আমার নাই? আমি কি মেয়ে হত্যার বিচার পাব না?"
আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, "আমার বয়স ৭৮। শরীর ও মাথা আগের মতো কাজ করছে না। এই বয়সে এসে আর দৌড়াদৌড়িও করতে পারব না। আমার বড় ভাই সৈয়দ রেজাউল করিমের অবস্থা আরও খারাপ। তিন্নির আরেক বোন তার মাকে নিয়ে আমেরিকার সানফ্রানসিস্কোতে থাকে। আবার নতুন করে দৌড়াদৌড়ি করার কেউ নাই। মৃত্যুর আগে আমার মেয়ের খুনিকে দেখে যেতে পারব না।"
রায়ের বিষয়ে অতিরিক্ত পিপি সৈয়দ আবু জাফর রিজভী জানান, তিনি আদালতের এই রায়ে সন্তুষ্ট নন এবং রায়ের কপি হাতে পেয়ে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। অন্যদিকে, অভির পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী শাহ ইলিয়াস রতন জানান, তিনি অভির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন এবং অভি খালাস পাওয়ায় তিনি খুশী।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার কেরানীগঞ্জের ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে তিন্নির লাশ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানার এএসআই সফি উদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রথমে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত শুরু করলেও পরে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তরিত হয়। ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সিআইডি একমাত্র গোলাম ফারুক অভিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দেয়। তবে মামলায় তিন্নির স্বামী শাফকাত হোসেন পিয়ালসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো সত্যতা না পাওয়ায় তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তদন্তে প্রাথমিকভাবে অভি অভিযুক্ত হলেও তাকে ধরতে পারেনি পুলিশ। অভির অবর্তমানে ২০১০ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ 'তিন্নি হত্যা ও লাশ গুম সংক্রান্ত মামলা'য় গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ