বুধবার, ২৬শে ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ইং
১০:৪৭ পি.এম
নাহিদ ইসলাম, যিনি সম্প্রতি ছাত্রদের নতুন দলে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, তিনি তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগের পর, তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করে তার আর্থিক অবস্থা তুলে ধরেন।
ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলাম উল্লেখ করেছেন যে, উপদেষ্টা পদে যোগদানের পূর্বে তার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না। তিনি ২১ আগস্ট উপদেষ্টা পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সোনালী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। তিনি উক্ত অ্যাকাউন্টে ২১ আগস্ট ২০২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত লেনদেনের হিসাব জনগণের কাছে উপস্থাপন করেছেন।
নাহিদ ইসলামের পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার অ্যাকাউন্টে মোট ১০ লাখ ৬ হাজার ৮৮৬ টাকা জমা হয় এবং তিনি ৯ লাখ ৯৬ হাজার ১৮৮ টাকা উত্তোলন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, সোনালী ব্যাংকের ওই অ্যাকাউন্ট ছাড়া তার আর কোনো ব্যাংক হিসাব নেই।
এছাড়াও, নাহিদ ইসলাম তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন, ‘উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে, আমার বা আমার পরিবারের কোনো সদস্যের (স্ত্রী/মা/বাবা) নামে বাংলাদেশের কোথাও জমি বা ফ্ল্যাট নেই বা আমার বা আমার পরিবার কর্তৃক ক্রয় করা হয়নি।’ তিনি আরও জানান যে, তার একান্ত সচিবের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের হিসাবে ৩৬ হাজার ২৮ টাকা রয়েছে এবং উনি একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর উনার নিজের নামে বা উনার পরিবারের (স্ত্রী/মা/বাবা) কারো নামে বাংলাদেশের কোথাও কোনো সম্পত্তি ক্রয় করা হয়নি।
নাহিদ ইসলাম এই পোস্টের মাধ্যমে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট যেকোনো সম্পদের স্বচ্ছ হিসাব প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং প্রয়োজনে তা উন্মুক্ত করার কথাও উল্লেখ করেছেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন তামিম ইকবালের অনুরোধে আবাহনী ক্লাব ত্যাগ করে মোহামেডানে যোগ দিয়েছেন। তিনি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) সেরা পারফরম্যান্স প্রদানের লক্ষ্যে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে চান। দীর্ঘ সময় ধরে শিরোপা খরায় থাকা মোহামেডানকে তামিমের নেতৃত্বে এবার শিরোপা জেতানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সাইফউদ্দিন।
মোহামেডান ক্লাব ডিপিএল-এর জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুশীলন শুরু করেছে। সাইফউদ্দিন গণমাধ্যমের কাছে তার পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। এদিকে, তামিম ইকবাল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একুশে সম্মাননা স্মারক গ্রহণের জন্য চট্টগ্রামে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও, তিনি মোহামেডানের প্রথম অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন। বরিশালকে ব্যাক টু ব্যাক বিপিএল চ্যাম্পিয়ন করার পর, তামিম এবার মোহামেডানকে দীর্ঘ সময় পর শিরোপা এনে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিপিএল ফাইনালের পর প্রথমবারের মতো ব্যাট হাতে মাঠে ফিরে দীর্ঘ সময় ব্যাটিং অনুশীলন করেন তামিম। অনুশীলনের সময় তিনি নতুন দলের সতীর্থ ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং বিশেষভাবে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দিকে নজর রাখেন। সাইফউদ্দিন বলেন, ‘তিনি আমাকে বিশ্বাস করেন বলেই হয়তো মোহামেডানে নিয়েছেন। একজন অধিনায়ক যদি তার খেলোয়াড়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করেন, তবে তার থেকে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স আদায় করা সম্ভব।’
গত বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলা সাইফউদ্দিন এবার রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। নির্বাচকদের বিবেচনায় থাকার পরও তার পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো না হওয়ায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুযোগ হয়নি। ওয়ানডে ক্রিকেট থেকেও তিনি দীর্ঘদিন দূরে রয়েছেন, সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন ২০২১ সালে। এ নিয়ে তার মধ্যে আক্ষেপ রয়েছে। তাই, এবারের ডিপিএলকে তিনি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
সাইফউদ্দিন বলেন, ‘পারফরম্যান্স নিয়ে আমি নিজেও খুশি নই। ব্যাটে-বলে আরও ভালো করা সম্ভব ছিল। যা চলে গেছে, তা নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। এখন ডিপিএল-ই আমার বাঁচা-মরা। অন্যথায়, পরবর্তী মৌসুমের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। আমি ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছি, ইনশা-আল্লাহ চেষ্টা করব।’
গত বছরগুলোতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ঢাকা আবাহনীর একক আধিপত্য ছিল। তারা একটানা বেশ কয়েকটি শিরোপা জিতেছে। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ ও তামিমদের নিয়ে মোহামেডান একটি শক্তিশালী দল গঠন করেছে। তাই, সাইফউদ্দিন শিরোপার দিকে নজর রাখতে চান। তিনি বলেন, ‘ফরচুন বরিশালের ছায়া টিম মোহামেডান। দলটি অনেক বছর ধরে চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পায়নি। ইনশা-আল্লাহ চেষ্টা করব, আমার হাত ধরে হোক বা সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হোক, এবার যেন শিরোপা ঘরে তুলতে পারি।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুম আগামী তিন মার্চ থেকে শুরু হবে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি একুশের গ্রন্থমেলার একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো বিভক্তি বা বিভাজন সৃষ্টি না হওয়ার জন্য সকলের উচিত সতর্ক থাকা।
মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব হয়েছে। তবে, বর্তমানে আমাদের দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের সময় ইতিহাসকে বিকৃত করার একটি চক্রান্ত চলছিল, যা আওয়ামী লীগ সরকার গত পনেরো বছর ধরে বাস্তবায়ন করেছে। তবে, তিনি উল্লেখ করেন যে, সঠিক ইতিহাসকে ভুলে যাওয়া বা বিকৃত করা সম্ভব নয়। মুক্তচিন্তার মাধ্যমে সঠিক ইতিহাস জানা সম্ভব, যা আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচন ও সংস্কারের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ছিল বাকশাল। জিয়াউর রহমান সেই সময় সংস্কার শুরু করেছিলেন, যা অনেকেই ভুলে গেছেন। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই জানে না যে, বাকশাল শাসনের সময় সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। জিয়াউর রহমান সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি এনে মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া পরিবর্তনের মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছিলেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে সন্নিবেশিত করেছিলেন।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশন (বিএমজিটিএ) মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে। সংগঠনটির নেতারা বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিএমজিটিএ’র মহাসচিব শান্ত ইসলাম বলেন, "শিক্ষকরা রাজনীতি করেন না এবং এটি তাদের কাজও নয়। তবে বছরের পর বছর ধরে তারা রাজনীতির মারপ্যাঁচে পিষ্ট হয়ে যাচ্ছেন। সরকার আসে এবং যায়, কিন্তু শিক্ষকদের অমানবিক কষ্ট, সীমাহীন দুর্ভোগ ও মানবেতর জীবন-যাপন থেকে বের হতে পারছেন না। শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা ও অর্থনৈতিক মুক্তি যেন সোনার হরিণ।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বিএমজিটিএ ২০১৩ সাল থেকে মাদরাসায় কর্মরত বৈষম্যের শিকার জেনারেল শিক্ষকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। তিনি প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, "আপনি বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিমণ্ডলে মানবতাকামী, পরিচ্ছন্ন ও মুক্তিকামী মানুষ হিসেবে বহুল পরিচিত।"
শান্ত ইসলাম বলেন, "আপনি অবগত রয়েছেন যে, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও মুক্তিকামী মানুষ স্বাধীনতার সুফল থেকে বঞ্চিত। মুক্তিকামী মানুষের স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে আপনার কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি।" তিনি বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা ও সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ।
২. বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদান।
৩. সম্মানজনক বাড়ি ভাড়া প্রদান।
৪. চিকিৎস্যা ভাতা প্রদান।
৫. মহার্ঘ ভাতা প্রদান।
৬. মাদরাসায় কর্মরত বৈষম্যের শিকার সহকারি শিক্ষকদের ১৬ বছরে অষ্টম গ্রেড প্রদান।
৭. মাদরাসায় কর্মরত বৈষম্যের শিকার সকল প্রভাষকদের ১৬ বছরে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি।
৮. এবতেদায়ী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড প্রদান।
৯. অবসরের তিন মাসের মধ্যে কল্যান ও অবসারের ভাতা প্রদান।
১০. ই এফ টি-তে বেতন ভাতা প্রদান।
সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমজাদ হোসেন, শাহ মোহাম্মদ কবির, তাজুল ইসলাম, সহসভাপতি খন্দকার বিল্লাল আহমেদ পলাশ, মো. আবু বকর সিদ্দিক, আব্দুল লতিফ, মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো. মনিরুজ্জামান, সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে সংগঠনের নেতারা প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
আফগানিস্তান এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত একটি রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষ হাসি হাসলো আফগানিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে তারা তাদের আশা বাঁচিয়ে রাখলো।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ইংল্যান্ড আফগানিস্তানের কাছে পরাজিত হলো। লাহোরে অনুষ্ঠিত ‘বি’ গ্রুপের এই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৮ রানের ব্যবধানে হারিয়ে দেয় আফগানিস্তান। ইংল্যান্ড ৩২৬ রান তাড়া করতে নেমে ৪৯.৫ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ৩১৭ রানে থেমে যায়। জো রুটের ১২০ রানের ইনিংসটি দলের জন্য যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি।
আফগানিস্তানের পক্ষে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ৫৮ রান খরচ করে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন, যা দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মোহাম্মদ নবি আরও ২ উইকেট নেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের এই জয় তাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ার পর এবার তারা প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হলো।
ম্যাচের শুরুতে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ চাপের মধ্যে পড়ে। ফিল সল্ট এবং জেমি স্মিথ দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ার পর দলের খাতায় মাত্র ৩০ রান যোগ হয়। বেন ডাকেট এবং জো রুট তৃতীয় উইকেটে কিছুটা চাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু রশিদ খানের বোলিংয়ে ডাকেট ৩৮ রানে বিদায় নেন।
দলীয় ১৩৩ রানে হ্যারি ব্রুক আউট হলে ইংল্যান্ডের পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। রুটের নেতৃত্বে কিছুটা আশা দেখা গেলেও, তিনি একা লড়াই করে ১২০ রান করে আউট হন। ইংল্যান্ডের শেষ চেষ্টা চললেও, তারা ৩০৯ রানে পৌঁছানোর পর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে।
অন্যদিকে, আফগানিস্তানের ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ৩৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারানোর পর দলের জন্য একটি শক্তিশালী পুঁজি গড়ে দেন। তিনি ১৪৬ বলে ১৭৭ রান করেন, যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। এছাড়া আজমতউল্লাহ ৪১, হাশমতউল্লাহ শহীদি এবং মোহাম্মদ নবি প্রত্যেকে ৪০ রান করেন।
ইংল্যান্ডের পক্ষে জফরা আর্চার ৬৪ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন। লিভিংস্টোন ২ উইকেট নেন। এই পরাজয়ের ফলে ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের পরবর্তী ম্যাচটি শুধুমাত্র নিয়মরক্ষার জন্য হবে। অন্যদিকে, আফগানিস্তান যদি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের শেষ ম্যাচে জয়লাভ করে, তবে তারা সেমিফাইনালে পৌঁছানোর সুযোগ পাবে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ