ঢাকা সোমবার, ১৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫খ্রিষ্টাব্দ ০৪ই ফাল্গুন, ১৪৩২বঙ্গাব্দ ১৮ই শাবান, ১৪৪৬হিজরী
সোমবার, ১৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ইং ০৪ই ফাল্গুন, ১৪৩২বাং

দেশে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী শিক্ষার মূলধারা থেকে ছিটকে পড়ছে


দেশে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী শিক্ষার মূলধারা থেকে ছিটকে পড়ছে

লেখাপড়া থেকে ছিটকে পড়ার ঘটনা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। প্রতিবছর গড়ে ২ লাখ শিক্ষার্থী লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই সমস্যা মূলত বাল্যবিবাহ এবং পরিবারের দারিদ্র্যের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে। গত সাত বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ কমেছে। ২০১৬ সালে পঞ্চম শ্রেণি শেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী পরীক্ষায় ২৮ লাখ ২ হাজার ৭১৫ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিল। চলতি বছরে তাদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। ফলে গত সাত বছরের শ্রেণি কার্যক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার স্বাভাবিক পথ থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।

গত বছর মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ছিল প্রায় ৩৩ শতাংশ। শিক্ষাখাত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারলে উচ্চমাধ্যমিকে গিয়ে ঝরে পড়ার হার কিছুটা কম থাকে। তবে চার বছরের ব্যবধানে উচ্চমাধ্যমিকে ঝরে পড়ার হার বেড়ে ২১ শতাংশের বেশি হয়েছে, যা চার বছর আগে ছিল প্রায় ১৮ শতাংশ। ২০১৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করা সাড়ে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৯ জন অষ্টম শ্রেণি শেষ করে ২০১৮ সালে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাশ করে ২২ লাখ ৩০ হাজার ৮২৯ জন।

অষ্টম শ্রেণির গণ্ডি শেষ করে ২০২২ সালে নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করেছিল ২২ লাখ ৪৪ হাজার ৭৩৩ শিক্ষার্থী। ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এসএসসি) তাদের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৭ লাখ ১০ হাজার ২৯৬ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এর মানে হলো, মাধ্যমিক পর্যায়ে গত ২ বছরে ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৭ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে, যা মোট শিক্ষার্থীর ২৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। শিক্ষাবিদরা এই বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়াকে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন।

আরও পড়ুন: স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে আলোচনা আমাদের জন্য দুঃখজনক: ফারুকী

তাদের মতে, প্রাথমিক স্তরে ভর্তির হার প্রায় শতভাগ নিশ্চিত করা গেলেও মাধ্যমিকে ঝরে পড়ার হার কমানো যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে সরকারের আরও বেশি মনোযোগী হওয়া জরুরি। যদিও শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করা ও ধরে রাখার জন্য সরকার প্রতি বছর উপবৃত্তি, বিনা মূল্যে বই, খাবার দেওয়াসহ অন্যান্য খাতে হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে, তথাপি বিভিন্ন পর্যায়ে এত অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে।

গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। তাতে বলা হয়, গত বছরের ১ জুলাই দেশে ৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী ৬ কোটি ৩৭ লাখ মানুষ ছিল। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ২৮ শতাংশ শিক্ষায় রয়েছে, অর্থাৎ তারা আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করছে। বাকি ৪০ দশমিক ৭২ শতাংশ বা ২ কোটি ৬২ লাখ শিশু ও তরুণ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে রয়েছে। ২০২২ সালে এই হার ছিল ৪০ দশমিক ৯১। মহামারির ঠিক আগে ২০১৯ সালে দেশে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমে না থাকা জনগোষ্ঠীর হার ছিল ২৯ দশমিক ২৭। ওই হিসাবে শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর হার গত পাঁচ বছরে প্রায় ১১ শতাংশ বেড়েছে।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের জানান, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার বাড়ছে। শিক্ষার্থীরা এখান থেকে কওমি মাদ্রাসায় চলে যাচ্ছে। যে শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সাধারণ শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষাজীবন শুরু করেছিল, তারা একটু বড় হয়ে সাধারণ শিক্ষায় না থেকে মাদ্রাসায় কেন চলে যাচ্ছে, তার কারণ খোঁজা জরুরি। যারা সাধারণ শিক্ষা দিয়ে অর্থাৎ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষাজীবন প্রবেশ করছে, তারা যেন সেখান (স্কুল-কলেজ) থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারে, সেদিকে নজর দিতে হবে। ওই লক্ষ্যে কারণ চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

আরও পড়ুন: ভাষা দিবস জাতীয় বিতর্কে চ্যাম্পিয়নের শিরোপা জিতলো অস্টডিসি কালপুরুষ

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

পরবর্তী খবর

সমন্বয়ক পরিচয়ে উঠান বৈঠক, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা পুলিশের হাতে সোপর্দ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অনলাইন ডেস্ক

সোমবার, ৬ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং

০২:৩৩ এম


সমন্বয়ক পরিচয়ে উঠান বৈঠক, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা পুলিশের হাতে সোপর্দ

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি উঠান বৈঠকে অংশগ্রহণ করার কারণে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় ছাত্র-জনতা তাকে আটক করে পরে পুলিশে সোপর্দ করে। প্রথমে তিনি নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, কিন্তু পরে জানা যায় তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য।

ঘটনাটি ঘটে রোববার (০৫ জানুয়ারি) রাতে, বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের মালিররচর নয়াপাড়া এলাকায়। আটককৃত মাহফুজ রহমান বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। জানা যায়, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জামালপুর জেলা শাখার সদস্য পদেও রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, ওই রাতে ছাত্র-জনতা মাদকবিরোধী একটি উঠান বৈঠকের আয়োজন করে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ। বৈঠকে মাহফুজ রহমান নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয়ে উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছাত্র-জনতার সন্দেহ হলে তারা তার মোবাইল ফোন চেক করে এবং বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এলাকার মানুষের চাপের মুখে তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। পরে ছাত্র-জনতা তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ‘মালিরচরে স্থানীয় এলাকাবাসীর মাদকবিরোধী একটি উঠান বৈঠক ছিল। সেখানে ছাত্র-জনতার সাথে তিনিও প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে ছাত্র-জনতাই তাকে চিহ্নিত করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় আমরা প্রাথমিক তদন্তে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ততা পেয়েছি। এছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়কের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলারও প্রমাণ পেয়েছি। তাকে আটক করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

এদিকে, ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে মাহফুজ রহমান কীভাবে সমন্বয়ক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জামালপুর জেলা শাখার কমিটিতে স্থান পেলো, এ বিষয়ে জামালপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস মন্তব্য করেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে তার ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

পরবর্তী খবর

১৫ পুলিশ হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাস কারাগারে প্রেরিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অনলাইন ডেস্ক

সোমবার, ৬ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং

০২:৫৬ এম


১৫ পুলিশ হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাস কারাগারে প্রেরিত

সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ১৫ পুলিশ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি, রোববার সন্ধ্যায় তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রওশন ইয়াজদানী এবং আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযান চালিয়ে বেলকুচি পৌর এলাকার কামারপাড়া থেকে আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে আটক করে যৌথ বাহিনী। আটক হওয়ার পর তাকে সিরাজগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ১৫ পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার সমৃদ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

আসাদুজ্জামান জানান, তাকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আদালতে প্রেরণ করা হয় এবং বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ১৫ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয় যে, হামলায় থানায় চার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মামলায় এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুল্লুক চাঁদ, বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ভূঁইয়ার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। যদিও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এজাহার নামীয় আসামি নন, তথাপি তাকে সমৃদ্ধ আসামি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

পরবর্তী খবর

গবেষণায় দাবি: ফেসবুক ব্যবহারকারী নারীরা ভালো স্ত্রী হতে পারেন না

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অনলাইন ডেস্ক

সোমবার, ৬ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং

০৩:০২ এম


গবেষণায় দাবি: ফেসবুক ব্যবহারকারী নারীরা ভালো স্ত্রী হতে পারেন না

সম্প্রতি সেন্টার ফর সোসাইটি অ্যান্ড কালচারাল রিসার্চ (সিসি) একটি গবেষণার মাধ্যমে দাবি করেছে যে, ফেসবুক ব্যবহারকারী নারীরা পারিবারিক জীবনে "ভালো স্ত্রী" হতে অক্ষম। এই বিতর্কিত গবেষণার ফলাফল সমাজে ব্যাপক আলোচনা এবং সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

গবেষণার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেসবুক ব্যবহারকারী নারীরা অতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগ এবং ভার্চুয়াল জগতে সময় ব্যয় করার কারণে পরিবার ও সম্পর্কের প্রতি যথাযথ মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হন। গবেষকরা উল্লেখ করেছেন যে, ফেসবুকের মাধ্যমে গড়ে ওঠা সামাজিক প্রত্যাশা ও ভার্চুয়াল প্রতিযোগিতা অনেক সময় পারিবারিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

গবেষণার পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হয়েছে যে, সিসি গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি ১,০০০ বিবাহিত দম্পতির ওপর জরিপ পরিচালনা করেছে। জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, ৬৫% নারী ছিলেন নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহারকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ফেসবুকে প্রতিদিন গড়ে ২ ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় করেন, তাদের মধ্যে দাম্পত্য জীবনে সন্তুষ্টির হার তুলনামূলকভাবে কম।

গবেষণার অন্যতম প্রধান গবেষক ড. মাহিনুর রহমান মন্তব্য করেছেন, "ফেসবুক একটি কার্যকর যোগাযোগের মাধ্যম হলেও এটি পরিবারকে অবহেলার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। অধিকাংশ নারী তাদের স্বামীর চেয়ে ফেসবুকে বেশি সময় ব্যয় করেন, যা দাম্পত্য জীবনে দূরত্ব তৈরি করতে পারে।"

এই গবেষণা সমাজে ফেসবুকের প্রভাব এবং নারীদের পারিবারিক জীবনে এর প্রভাব নিয়ে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে।

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

পরবর্তী খবর

আজকের (৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশি টাকার মুদ্রা বিনিময় হার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অনলাইন ডেস্ক

সোমবার, ৬ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং

০৮:১৮ এম


আজকের (৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশি টাকার মুদ্রা বিনিময় হার

বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারিত হচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত। এই প্রসঙ্গে, ব্যবসায়িক লেনদেনের সঠিকতা বজায় রাখতে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসীরা নিয়মিতভাবে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশি টাকার সঙ্গে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিনিময় হার নিম্নরূপ:

- **ইউ এস ডলার**: ১২৩ টাকা ২০ পয়সা

- **ইউরোপীয় ইউরো**: ১২৭ টাকা ১৫ পয়সা

- **ব্রিটেনের পাউন্ড**: ১৫১ টাকা ২৫ পয়সা

- **ভারতীয় রুপি**: ১ টাকা ৪০ পয়সা

- **মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত**: ২৭ টাকা ৩০ পয়সা

- **সিঙ্গাপুরের ডলার**: ৮৯ টাকা ৩০ পয়সা

- **সৌদি রিয়াল**: ৩২ টাকা ৫০ পয়সা

- **কানাডিয়ান ডলার**: ৮৭ টাকা ২৫ পয়সা

- **অস্ট্রেলিয়ান ডলার**: ৭৬ টাকা ৭০ পয়সা

- **কুয়েতি দিনার**: ৩৯৮ টাকা ১৫ পয়সা

উল্লেখ্য যে, মুদ্রার বিনিময় হার যেকোনো সময় পরিবর্তিত হতে পারে। এই তথ্যগুলো ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সঠিক বিনিময় হার জানা থাকলে ব্যবসায়ীরা তাদের লেনদেনকে আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে পারেন।

তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ

আর্কাইভ

Please select a date!

নামাজের সময়সূচী

তারিখঃ ১৮ই শাবান, ১৪৪৬হিঃ
ফজর ০৫:১৪
জোহর ১২:১৩
আসর ০৪:১৮
মাগরিব ০৫:৫৫
ইশা ০৭:০৭
সূর্যোদয় : ০৬:৩০ সূর্যাস্ত : ০৫:৫৫
অনলাইন জরিপ
ফলাফল
থার্টি-ফার্স্ট নাইটে তরুণদের জন্য প্রকাশ্যে পানি-টানি খাওয়ার বিরুদ্ধে আহ্বান। আপনার মন্তব্য দিন
হ্যা
100%
না
0%
মন্তব্য নেই
0%