বুধবার, ১৫ই জানুয়ারী, ২০২৫ ইং
০৮:৪২ এম
আজ, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, চারটি সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেবে। এই কমিশনগুলোর মধ্যে রয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ সংস্কার কমিশন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি জানান, সংস্কারের উদ্দেশ্যে গঠিত চারটি কমিশন বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।
শফিকুল আলম আরও উল্লেখ করেন যে, প্রতিবেদন হস্তান্তরের পর কমিশনগুলোর প্রতিনিধিরা তাদের গবেষণার ফলাফল নিয়ে আলোচনা করবেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দুপুর তিনটায় সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলন করে কমিশনের প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন। তবে, সংবাদ সম্মেলনে কোন উপদেষ্টাগণ উপস্থিত থাকবেন তা এখনও নিশ্চিত নয়।
এছাড়া, জানা গেছে যে, সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন পাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে। চলতি মাসেই এই আলোচনা শুরু হতে পারে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মন্তব্য করেছেন যে, সংস্কার প্রস্তাব ও তাদের বাস্তবায়ন নিয়ে একটি ঐকমত্য তৈরি হলে সংলাপ থেকে একটি রূপরেখা উদ্ভূত হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর, নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয় এবং দুর্বল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ১৫টি সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথম ছয়টি কমিশন, যা সংবিধান, নির্বাচনী ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কারের জন্য গঠিত হয়, ৩ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়। কমিশনগুলোকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ৯০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। পরে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এবং বাকি পাঁচটি কমিশনের সময়সীমা ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে তদন্তকারী কর্মকর্তারা ও পুলিশছবি: রয়টার্স
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনা আজ বুধবার ঘটেছে, যখন তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাঁর বাসভবনের সামনে উপস্থিত হন।
প্রাথমিকভাবে ইউনের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা, যাদেরকে প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস (পিএসএস) বলা হয়, তদন্তকারীদের গ্রেপ্তার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করেন। তবে পরে তদন্তকারী কর্মকর্তারা সফলভাবে ইউনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুতে, তদন্তকারী কর্মকর্তারা ইউনকে গ্রেপ্তারের জন্য তাঁর বাসভবনে কয়েক ঘণ্টার অভিযান চালান। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার কারণে সেই অভিযান ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলো।
গত ৩ ডিসেম্বর, ইউন সুক-ইওল দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন, যা সকলকে হতবাক করে দেয়। কিন্তু দেশের জনগণের তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় তিনি এই সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।
এই স্বল্পস্থায়ী সামরিক আইন জারির ফলস্বরূপ, ১৪ ডিসেম্বর ইউনকে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে অভিশংসন করা হয় এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
রাষ্ট্রদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ইউনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে ইউন অস্বীকৃতি জানান। এর ফলস্বরূপ, ৩১ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মেয়াদ ৬ জানুয়ারি শেষ হয়, তবে আদালত পরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়, যা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।- বিবিসি
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান এবং তার স্ত্রী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ, গ্রেপ্তার হয়েছেন। এই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তারা বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এবং সেই সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে।
তবে, এই দম্পতিকে গ্রেপ্তারের পেছনে কোন বিশেষ মামলার তথ্য প্রদান করতে পারেননি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। উল্লেখ্য, মতিউর রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সর্বশেষ তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেছে। মামলাগুলোতে অভিযোগ করা হয়েছে যে মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ এবং তাদের সন্তানদের বিরুদ্ধে ১২৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সেই সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থানকে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বিভিন্ন কারণে ঘটছে। দীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এই সমস্যা মোকাবিলা করছে। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে বায়ুদূষণের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। সম্প্রতি, ঢাকা বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে।
বর্তমানে, ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। আজ, ১৫ জানুয়ারি, বুধবার সকালে শহরের বাতাসের দূষণ পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সকাল ৮টা ১৩ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, ঢাকার একিউআই স্কোর ২১২, যা বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে।
আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মিসরের কায়রো, যার স্কোর ২৬৮। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, যার স্কোরও ২৬৮। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি, যার স্কোর ২৬৬। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়, যার স্কোর ২৩৫।
একিউআই স্কোরের মানদণ্ড অনুযায়ী, শূন্য থেকে ৫০ স্কোরকে ভালো হিসেবে গণ্য করা হয়। ৫১ থেকে ১০০ স্কোরকে মাঝারি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এবং ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ স্কোর ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়, এবং অন্যদের জন্য বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বায়ুদূষণ মানব স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা। এটি সব বয়সের মানুষের জন্য ক্ষতিকর, তবে বিশেষ করে শিশু, প্রবীণ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য এর প্রভাব অত্যন্ত মারাত্মক।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় একটি রেস্তোরাঁর ডিজিটাল সাইনবোর্ডে একটি বিতর্কিত বার্তা প্রদর্শিত হয়েছে। সাইনবোর্ডে লেখা ছিল, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আবার ভয়ঙ্কর রূপে ফিরবে, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’।
এই ঘটনা মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, থাইংখালী বাজারের সাইফ হোটেল নামক রেস্তোরাঁয় ঘটে। স্থানীয়রা বিষয়টি লক্ষ্য করে থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর সাইনবোর্ডটি খুলে ফেলে এবং রেস্তোরাঁর মালিক বেলাল উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আরিফ হোছাইন জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাইনবোর্ডসহ রেস্তোরাঁর মালিককে থানায় নিয়ে আসে। তিনি বলেন, "এ ঘটনায় কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।"
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করে।
তালাশ বিডি/মিডিয়া লিঃ